লঞ্চের আগে নতুন Hero Xpulse 200 4V-এর ছবি প্রকাশ্যে, ফিচার ও দাম জেনে নিন
কয়েকদিন আগেই ভারতের সবচেয়ে সস্তা অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরার মোটরসাইকেল Xpulse 200-এর সওয়ারি করতে দেখা গিয়েছিল দু'জনকে। আর তার কতগুলি ছবিও এসেছিল সামনে৷ বাইক তো রাস্তায় চালানোর জন্যই, এতে নতুন খবর কী আছে - প্রথম বাক্যটা পড়ার পর পাঠকদের মনে ঠিক এরকমই প্রশ্ন আসতে বাধ্য। সে ক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, সেই ছবিতে Xpulse 200-এর ফুয়েল ট্যাঙ্কে '4-Valve’-এর স্টিকার লক্ষ্য করা হয়েছিল। পাশাপাশি বাইকটির শরীরে নতুন পেইন্ট স্কিমের উপস্থিতি ইঙ্গিত করেছিল, এটি Xpulse 200-এর নতুন ভার্সন৷ যা Hero Xpulse 200 4V নামে আত্মপ্রকাশ করতে পারে।
ডিলারদের সভা থেকে Hero Xpulse 200 4V এর ছবি সামনে এল
এখন এই এন্ট্রি-লেভেল অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরারের অফিসিয়াল লঞ্চ খুব কাছেই মনে হচ্ছে। কারণ, হিরোর ডিলারদের একটি সভায় Xpulse 200 4V-কে সশরীরে হাজির থাকতে দেখা গিয়েছে। নতুন মডেলটির ছবিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, Xpulse 200 4V-এর বহিরঙ্গে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হিসেবে রয়েছে নয়া কালার স্কিম৷ ডুয়েল টোনের এই পেইন্ট স্কিমে সাদা ও নীল রঙের কম্বিনেশন আছে৷ সাদা রঙটিই চোখে পড়ছে বেশি।
এছাড়া রাস্তায় স্পট করা টেস্ট মডেলটিতে ব্লু কালারের সঙ্গে সাইড প্যানেল, টেল সেকশন, এবং ট্যাঙ্ক শ্রাউড ব্ল্যাকড আউট করা ছিল। একই সঙ্গে গিয়ারবক্স অ্যাসেম্বলি, হিট শিল্ড, এবং এগজস্ট ক্যানিস্টারের একটি অংশে গ্রে শেড দেওয়া হয়েছিল। এতএব, একাধিক কালার ভ্যারিয়েন্টে আসতে পারে হিরো এক্সপালস ২০০ ৪ভি।
Hero Xpulse 200 4V ইঞ্জিন আপডেট
হিরো এক্সপালস ২০০-এর অফ রোড ক্যাপাবিলিটি নিয়ে প্রশ্ন তোলার জায়গা নেই। কিন্তু এই সেগমেন্টে কম পাওয়ার দেওয়ার জন্য বাইকটি সমালোচনার মুখে পড়েছে। যার ফলে এক্সপালসে পুরাতন টু-ভালভ সেটআপের জায়গায় নতুন ফোর-ভালভ ইঞ্জিন দিয়ে সমস্ত খামতি ঢাকার লক্ষ্য নিয়েছে হিরো।
নয়া হিরো এক্সপালস ২০০ ৪ভি-তে ইঞ্জিনের সিলিন্ডার হেড এখন আরও ভালভ পাবে যা কম্বাশন চেম্বারে আগের চেয়ে বেশি পরিমাণে বাতাস ও জ্বালানির দহন ঘটাতে পারবে। এর ফলে আরও বেশি জ্বালানি পুড়ে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। আবার ইঞ্জিনের ব্রিদিং পাওয়ার বৃদ্ধি হওয়ার ফলে ভাল মাইলেজ মিলবে। অ্যাডভেঞ্চার মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে যা খুব প্রয়োজনীয়।
বর্তমানে হিরো এক্সপালস ২০০ ট্যুরার বাইকে ১৯৯ সিসি-র অয়েল কুল্ড, ফুয়েল ইনজেকটেড ইঞ্জিন আছে, যা ৮,৫০০ আরপিএম গতিতে ১৭.৮ বিএইচপি পাওয়ার এবং ৬,৫০০ আরপিএম গতিতে ১৬.৪৫ এনএম টর্ক জেনারেট করতে পারে।
Hero Xpulse 200 4V অন্যান্য স্পেসিফিকেশন
ইঞ্জিন আপডেট ও নতুন পেইন্ট স্কিম বাদ দিলে হিরো এক্সপালস ২০০ ও নতুন হিরো এক্সপালস ২০০ ৪ভি-এর মধ্যে পার্থক্য থাকবে না বলেই ধরে নেওয়া যায়। বাইকটি তার ২১-১৮ ইঞ্চির স্পোকড হুইলের কম্বিনেশনে দুর্গম থেকে দুর্গমতর পথ পাড়ি দিতে সক্ষম। উভয় প্রান্তে রয়েছে লম্বা সাসপেনশন - সামনে ১৯০ মিমি ট্রাভেলের সাথে টেলিস্কোপিক ফোর্কস এবং পিছনে ১০-স্টেপ অ্যাডজাস্টেবল মনোশক ইউনিট। ব্রেকিংয়ের জন্য দু'চাকাতে প্রান্তেই ডিস্ক দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রাস্তায় স্কিডিং এড়ানোর জন্য বাইকটিতে রয়েছে সিঙ্গেল-চ্যানেল এবিএস।
Hero Xpulse 200 4V ফিচার
হিরো এক্সপালস ২০০-এ ফুল-এলইডি হেডল্যাম্প, ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, নেভিগেশন এবং কল এলার্টের জন্য ব্লুটুথ কানেক্টিভিটির মতো মডার্ন ফিচার রয়েছে। এর ফলে হিরো এক্সপালস ২০০ ৪ভি-তে কিছু অতিরিক্ত ফিচার যোগ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
Hero Xpulse 200 4V দাম
নতুন ফোর-ভালভ ইঞ্জিনে যোগ করার ফলে বাইকটির দাম কিছুটা বাড়ানো হবে। উল্লেখ্য, এখন হিরো এক্সপালস ২০০-এর দাম ১.২০ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)।
বর্তমানে Hero Xpulse 200-এর প্রধান প্রতিপক্ষ Honda-র CB 200X। তবে এর দাম Hero Xpulse 200-এর চেয়ে প্রায় ২৪,০০০ টাকা বেশি। নতুন Xpulse 200 4V নিয়ে এসে Hero এন্ট্রি-লেভেল অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরার সেগমেন্টে কতটা ধার জমাতে পারে, এখন সেটাই দেখার।