Royal Enfield Flying Flea C6: অপেক্ষার অবসান! রয়্যাল এনফিল্ডের প্রথম ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল হাজির, রইল ছবি
Royal Enfield Flying Flea C6 - প্রথম ইলেকট্রিক বাইক উন্মোচন করল রয়্যাল এনফিল্ড। নাম ফ্লাইং ফ্লি সি৬। জানা গিয়েছে, কোম্পানির সমস্ত ইলেকট্রিক বাইক ফ্লাইং ফ্লি ব্র্যান্ডের অধীনে লঞ্চ করা হবে।
দেশজুড়ে বাড়ছে ইলেকট্রিক বাইকের সংখ্যা। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবার রয়্যাল এনফিল্ডও নিয়ে এল তাদের প্রথম ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল। নাম ফ্লাইং ফ্লি সি৬। কোম্পানি জানিয়েছে, সমস্ত রয়্যাল এনফিল্ড ইলেকট্রিক বাইক এই ফ্লাইং ফ্লি ব্র্যান্ডের অধীনে লঞ্চ করা হবে। ১৯৪০ সালে রয়্যাল এনফিল্ডের ফ্লাইং ফ্লি মোটরসাইকেল থেকে অনুপ্রাণিত এই ব্র্যান্ড।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই বাইক ব্যবহার করতেন সেনারা। ওজন ছিল বেশ কম। যুদ্ধ বিমান থেকে মাটিতে ফেলা হত এই বাইকের পার্টস। তারপর সেগুলি একত্রিত করে প্রস্তুত করত সেনারা। সেই বাইক থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই প্রথম ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করল রয়্যাল এনফিল্ড।
এদিন বাইকের ফার্স্ট লুক প্রকাশ করেছে কোম্পানি। রেট্রো ডিজাইনের পাশাপাশি আধুনিকতার ছোঁয়া রয়েছে বাইকের সর্বত্র। রয়েছে গোলাকার এলইডি হেডলাইট, ১৭ ইঞ্চি টায়ার এবং অ্যালমুনিয়াম ফ্রেম। বাইকটির চেহারা আর পাঁচটা এনফিল্ড মোটরসাইকেলের থেকে বেশ আলাদা। যে কারণে প্রথম লুকেই নজর কেড়েছে ফ্লাইং ফ্লি সি৬। বাইকের সিটের উচ্চতা খুব বেশি নয়। পাশাপাশি এটি নিত্য যাতায়াতে ভালো সঙ্গী হতে পারে বলে মনে করছে রয়্যাল এনফিল্ড।
সূত্র মারফত খবর, বাইকে ফিক্সড ব্যাটারি প্রযুক্তি থাকতে পারে। বাইকের রেঞ্জ নির্ভর করতে পারে ১০০ থেকে ১৫০ কিলোমিটারের মধ্যে। যদিও এনফিল্ডের তরফ থেকে এখনও বিস্তারিত স্পেসিফিকেশন ও ফিচার্স প্রকাশ করা হয়নি। বাইকটি কবে শোরুমে আসবে তাও এখনও অস্পষ্ট। ইলেকট্রিক বাইকের বাজারে নামার জন্য অনেকদিন আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছে এনফিল্ড। খোলা হয়েছে আলাদা ব্র্যান্ড এবং ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট। সুতরাং, এই ক্ষেত্রে বাইক-প্রেমীদের খুব একটা নিরাশ করবে রয়্যাল এনফিল্ড তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
উল্লেখ্য, দেশের বাজারে এনফিল্ডের এই ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলকে লড়াই দেবে একাধিক টু হুইলার। যেমন রিভোল্ট আরভি৪০০, ম্যাটার এরা ৫০০০, ওবেন রর, ওলা রোডস্টার, টর্ক ক্রাটোস ইত্যাদি। এখন দেখার বাইকারদের মন জিততে ফ্লাইং ফ্লি সি৬ বাইকের দাম কত রাখে রয়্যাল এনফিল্ড।