Royal Enfield in Bangladesh: বাংলাদেশে ‘বয়কট ভারত’ স্লোগানে জল ঢেলে দিল রয়্যাল এনফিল্ড, দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি কি হবে?
Royal Enfield in Bangladesh - বাংলাদেশে হাজির রয়্যাল এনফিল্ড। ঢাকাতে খোলা হয়েছে শোরুম। দূর-দূরান্ত থেকে বাইক কিনতে আসছে মানুষ। আপাতত চারটি মডেল সেদেশে লঞ্চ করেছে কোম্পানি।
বহু প্রতীক্ষার পর বাংলাদেশি বাইকপ্রেমীদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে রয়্যাল এনফিল্ড। শতাব্দীপ্রাচীন এই সংস্থার বাইক পেয়ে উচ্ছ্বসিত সে দেশের জনগণ। আপাতত চারটি মডেল লঞ্চ করেছে রয়্যাল এনফিল্ড - হান্টার, ক্লাসিক, বুলেট এবং মিটিওর। দাম রাখা হয়েছে ৩.৪ লাখ বাংলাদেশি টাকা থেকে ৪.৩৫ লাখ টাকা।
আজ থেকে ১৩১ বছর আগে ১৮৯৩ সালে ইংল্যান্ডে যাত্রা শুরু হয় এনফিল্ডের। তারপর ১৯৫৫ সালে এই সংস্থাকে কিনে নেয় চেন্নাইয়ের এইচার মোটরস। যুগ যুগ ধরে ভারতীয়দের মন জিতে এসেছে এই বাইক। কবীর সিং-সহ একাধিক জনপ্রিয় ভারতীয় সিনেমাতেও দেখা গিয়েছে এই কোম্পানির একাধিক মোটরসাইকেল। এবার রয়্যাল এনফিল্ডের বাইক নিয়ে বাঁধভাঙ্গা উল্লাস বাংলাদেশেও।
ঢাকার তেজগাঁও-এ শোরুম খুলেছে কোম্পানি। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেলিভারি শুরু হবে ৪৫ দিন পর। ফেসবুকে এক ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে রংপুর থেকে ঢাকাতে বাইক কিনতে এসেছেন এক বয়স্ক ক্রেতা। তিনি জানান, ১৪০ কিমি গতিতে রয়্যাল এনফিল্ড বাইক চালিয়ে ফিরতে চান তিনি। বাংলাদেশে রয়্যাল এনফিল্ড পা রাখতে ব্যাপক উন্মাদনা লক্ষ্য করা গেছে।
বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বয়কট
বাংলাদেশে রয়্যাল এনফিল্ডের সূচনা কী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ভালো করবে? এই নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। কারণ শেখ হাসিনার পদত্যাগের সময় ভারতীয় পণ্য বয়কটের স্লোগান উঠেছিল সেদেশে। ইন্ডিয়া আউট স্লোগান তুলে উত্তাল হয়ে উঠেছিল মানুষজন। তার একদম উল্টো চিত্র দেখা যায় কিছুদিন পরেই। যখন ঢাকাতে প্রথম শোরুম খোলে এনফিল্ড। বাইক দেখতে ও কিনতে শোরুমের বাইরে লম্বা লাইন পড়ে যায় মানুষের।
সামাজিক মাধ্যমে নানা তর্ক-বিতর্ক হলেও, বাস্তবে একটি ভারতীয় সংস্থার মোটরসাইকেলকে ঘিরে এমন উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে সকল বয়সী ক্রেতাদের মন কেড়েছে রয়্যাল এনফিল্ড। তাই আশা করা যায় আগামীদিনেও সুসম্পর্ক বজায় রাখবে দুই দেশ।