রাস্তা দিয়ে গেলে গতির আগুন ছুটবে! এই 3 দুর্ধর্ষ টুইন সিলিন্ডার বাইকে গোটা দেশের নজর
সম্প্রতি ইয়ামাহা (Yamaha) তাদের একসময়কার জনপ্রিয় মোটরসাইকেল R3 ভারতের বাজারে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা করেছে। এছাড়াও তাদের লঞ্চের তালিকায় রয়েছে MT-03। আবার এপ্রিলিয়া (Aprilia)-ও এদেশে নতুন টুইন সিলিন্ডার বাইক লঞ্চের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সম্প্রতি টেস্টিং চলাকালীন মডেলটির দর্শন পাওয়া গিয়েছে। এই প্রতিবেদনে আগামী এক বছরের মধ্যে ভারতের বাজারে আসন্ন তিনটি টুইন সিলিন্ডার ইঞ্জিন যুক্ত মোটরসাইকেলের বিশদ বিবরণ রইল।
Yamaha YZF R3
জাপানি টু-হুইলার নির্মাতা ইয়ামাহা এবারে ভারতে তাদের YZF R3 প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত। ডিজাইনে আপডেট হিসেবে এতে থাকছে একটি স্লিক এলইডি ইন্ডিকেটর এবং নতুন পার্পেল কালার বডি পেইন্ট। এগিয়ে চলার শক্তি জোগাতে এতে থাকছে একটি ৩২১ সিসি, লিকুইড কুল্ড, প্যারালাল টুইন ইঞ্জিন। যা থেকে ১০,৭৫০ আরপিএম গতিতে ৪২ বিএইচপি শক্তি এবং ৯,০০০ আরপিএম গতিতে ২৯.৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। ডায়মন্ড ফ্রেমের উপর ভর করে আসতে চলা বাইকটিতে থাকছে একটি ৩৭ মিমি ইউএসডি ফ্রন্ট ফর্ক এবং প্রিলোড অ্যাডজাস্টেবল রিয়ার মোনোশক। এতে স্লিপার ক্লাচ, উভয় চাকায় ডিস্ক ব্রেক, ডুয়েল চ্যানেল এবিএস এবং একটি এলসিডি ডিসপ্লের দেখা মিলবে।
Yamaha MT-03
R3-র পর ইয়ামাহা MT-03-ও বাজারে আনবে। এই স্ট্রিট ফাইটার মোটরসাইকেলটি বিদেশ থেকে এদেশে আমদানি করে বিক্রি করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এতেও থাকছে একটি ৩২১ সিসি, প্যারালাল টুইন ইঞ্জিন। লিকুইড কুল্ড মোটরের সাথে সংযুক্ত থাকবে ৬-গতির গিয়ারবক্স। যা থেকে ৪২ বিএইচপি শক্তি এবং ২৯.৫ এনএম টর্ক পাওয়া যাবে। মোটরসাইকেলটি এলইডি ডিআরএল সহ এলইডি প্রোজেক্টর হেডলাইট, পেশীবহুল ফুয়েল ট্যাঙ্ক, ইউএসডি ফ্রন্ট ফর্ক এবং রিয়ার মোনোশক সমেত হাজির হবে। ডুয়েল চ্যানেল এবিএস সমেত সামনে ২৯৮মেমি এবং পেছনে ২০০ মিমি ডিস্ক ব্রেক থাকবে। ১৭ ইঞ্চি অ্যালয় হুইলের সাথে সামনে ও পেছনে যথাক্রমে ১১০/৭০ ও ১৪০/৭০ সেকশন টায়ারের দেখা মিলবে।
Aprilia RS440
Aprilia RS440 বর্তমানে উন্নয়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। যার চূড়ান্ত টেস্টিং চালাচ্ছে সংস্থা। এটি RS660-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। ফিচারের তালিকায় থাকছে স্প্লিট এলইডি হেডলাইট, বৃহৎ উইন্ডস্ক্রিন, ক্লিপ অন হ্যান্ডেল, স্প্লিট সিট, একটি ডিজিটাল টিএফটি স্ক্রিন, স্মার্ট ফোন কানেক্টিভিটি, ডুয়েল চ্যানেল এবিএস এবং গ্র্যাব রেল। এতে থাকতে পারে একটি ৪৪০ সিসি, প্যারালাল টুইন, লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন। যা থেকে প্রায় ৪৮ বিএইচপি শক্তি উৎপন্ন হবে। প্রতি ঘন্টায় এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৮০ কিলোমিটার হবে। ৬-গতির গিয়ারবক্স সহ এতে থাকছে স্লিপার ক্লাচ এবং কুইক শিফ্টার।