Fuel Saving Tips: গাড়ির তেল খরচ কমান এই 5 সহজ উপায়ে, কাজ করবে ম্যাজিকের মতো
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন কারণে গাড়ির জ্বালানির অপচয় অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৪১ কোটির এই দেশে রাস্তায় মাত্রাতিরিক্ত যানবাহনের ভিড় বেশিরভাগ সময় গাড়ির গতি স্তব্ধ করে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে একজন চালকের অবশ্যই জানা উচিত কিভাবে তার গাড়ির জ্বালানি সাশ্রয় করা যায়। পেট্রল ও ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও পরিবেশ দূষনের কথা মাথায় রেখে গাড়ির জ্বালানি বাঁচানোর উপায় জানাটা খুবই জরুরী। এক দূষণমুক্ত দেশ গড়ার কারিগর হতে চাইলে এমন কিছু উপায় মানতে হবে যাতে জ্বালানি সাশ্রয়ের পাশাপাশি আমাদের টাকাও বাঁচে খানিকটা। এই প্রতিবেদনে গাড়ির চালকদের সুবিধার্থে কিছু সহজ টিপস রইল। যা মেনে চললে যানবাহনের ভিড় থাকা সত্বেও অনায়াসে গাড়ির জ্বালানি বাঁচানো যাবে।
গাড়ির তেল খরচ কমানোর 5 সহজ টিপস
আপনার যাত্রাপথ এবং সময়ের সঠিক নির্বাচন:
এমন অনেক সময় দেখা যায় যে গাড়ির নির্ধারিত যাত্রাপথ ট্রাফিক জ্যাম এর কারণে প্রায় অচল হয়ে থাকে। সেই জন্য যাত্রা শুরু করার আগেই আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অ্যাপস থেকে ট্রাফিক আপডেট নিতে হবে। যে রাস্তায় তুলনাগুলো কম ভিড় রয়েছে সেই বিকল্প রাস্তা আমরা নির্বাচন করলে নিশ্চয়ই কিছুটা জ্বালানি বাঁচতে পারব। সম্ভব হলে যে সময় রাস্তায় মানুষের ব্যস্ততা সবচেয়ে বেশি থাকে সেই সময়টা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। আরো ভালো হয় যদি গন্তব্যে পৌঁছানোর কিছু শর্টকাট বা বাইপাস রাস্তা উপলব্ধ থাকে। এতে করে আমাদের সময় এবং গাড়ির জ্বালানি দুটোই বাঁচানো যায়।
দীর্ঘ সময়ের বিরামে ইঞ্জিন বন্ধ রাখা:
ভারতের রাস্তায় সুনিয়ন্ত্রিত ট্রাফিক ব্যবস্থা পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় সিগন্যালিং এর ব্যবস্থা রয়েছে। যদি সিগন্যালিংয়ে বা ট্রাফিক জ্যামের কারণে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তখন গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ করে রাখা উচিত। এটি একটি সুঅভ্যাস। এমনটা না করলে অপ্রয়োজনীয় ভাবে জ্বালানি খরচা হওয়ার সাথে কার্বনের নির্গমন আটকানো বাড়তে থাকবে। তবে গাড়ির ইঞ্জিন অফ করার সময় অবশ্যই নিরাপত্তা এবং ট্রাফিক নিয়মাবলী সম্পর্কে অবগত হওয়া দরকার।
স্মার্ট ব্রেকিং পদ্ধতি অভ্যাস রাখা:
রাস্তায় দক্ষতার সাথে গাড়ি চালানোর অন্যতম প্রধান বিষয় হলো বেকিং পদ্ধতির সম্পর্কে সচেতন হওয়া। স্মার্ট পদ্ধতিতে ব্রেকিং সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করাও জ্বালানি সাশ্রয়ের একটি বিশেষ উপায়। সাডেন বা হার্ড ব্রেক প্রয়োগ করার বদলে এক্সিলেটর প্যাডেল নিয়ন্ত্রণে রেখে আস্তে আস্তে গাড়ির স্পিড কমানো বিশেষ দক্ষতার পরিচয়। এই উপায় অবলম্বন করতে পারলে নিঃসন্দেহে আপনার গাড়ির জ্বালানি বাঁচাতে পারবেন।
হঠাৎ গাড়ির গতি বৃদ্ধি বন্ধ করা:
গাড়ির জ্বালানি দীর্ঘ সময় অবধি মজুত রাখতে আমাদের অবাঞ্ছিত কারণে গাড়ির গতি বৃদ্ধি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যদিও এই দেশের ট্রাফিক সিস্টেম বারংবার আমাদের গাড়ির ইঞ্জিন অফ এবং অন করাতে বাধ্য করে। তবুও রাস্তা ফাঁকা থাকলে ভয়ংকর গতিতে গাড়ি না চালিয়ে যদি আমরা একটি সুস্থির গতি বজায় রাখি তাহলে সেটা গাড়ির পক্ষে ভালো।
শীততাপ নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করা:
দেশে প্রচন্ড আর্দ্রতা এবং গরমের কারণে প্রায় সারা বছর অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় কাটাতে হয়। এমনতাবস্থায় শীততাপ নিয়ন্ত্রক গাড়ি ব্যবহার করতেই অভ্যস্ত আমরা। কিন্তু এটা হয়তো প্রায় সকলেরই অজানা যে এতে প্রচুর পরিমাণে জ্বালানি খরচা হয়। তাছাড়াও গাড়ির ইঞ্জিনের উপরেও চাপ তৈরি হয়। তাই কিছুটা জ্বালানি সাশ্রয় করতে কখনো কখনো শীততাপ নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার বদলে প্রাকৃতিক হাওয়া উপভোগ করা উচিত। এই দিক থেকে শীতের সময় অবশ্য জ্বালানি বেশ কিছুটা বাঁচানো যায়।