জুনে ১৫০-১৬০ সিসি মোটরসাইকেলের বাজারে কার্যত জোয়ার। সমস্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে ওই সময়ে ১৫০ সিসির প্রায় প্রতিটি মডেলের বিক্রিবাটায় দুই অঙ্কের বৃদ্ধি চোখে পড়েছে। এমনকি কারোর ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধির হার তিন অঙ্কের সংখ্যাতেও পৌঁছে গেছে। Yamaha FZ সিরিজের ১৫০ সিসি মডেলগুলি জনপ্রিয়তার নিরিখে বাকিদের পিছনে ফেলছে। জুনেও তার অন্যথা হয়নি।
চলতি বছরের জুন মাসে Yamaha FZ সিরিজের ১৯,৩০৫টি মোটরসাইকেল বিক্রি হয়েছে। তুলনাস্বরূপ, গত বছর ওই সময়ে ইয়ামাহা বেচেছিল ১১,০৮৪ ইউনিট। ফলে বিক্রিবাটা ৭৪% বেড়েছে। আবার ঠিক এর ঘাড়েই নিঃশ্বাস ফেলছে Bajaj Pulsar 150। গত মাসে এই স্টাইলিশ কমিউটার বাইকের ১৬,৯৭৬ ইউনিট বিক্রি হয়েছে। তবে ২০২১ এর জুন মাসের তুলনায় ২৯ শতাংশ পতন লক্ষ্য করা যায়।
তৃতীয় স্থানে TVS Apache সিরিজ। আগের বছরের এই সময়ের সঙ্গে তুলনায় বিক্রিবাটা ৪৫ শতাংশ কম। বিক্রি হয়েছে ১৬,৭৩৭টি। তালিকার চার নম্বরে থাকা Bajaj Pulsar NS 160 ও 200 দুর্নিবার গতিতে এগিয়ে চলেছে। জুনে তাদের নতুন গ্রাহক সংখ্যা ১৪,৮০২। আর বিগত বছরের এই সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে বিক্রিতে ২৩৩ শতাংশ উত্থান। বাজাজের পরে ক্রমান্বয়ে দু'টি স্থানে রয়েছে ইয়ামাহা R15 ও MT-15 V3। ২০২২ এর জুন মাসে মডেল দুটির মোট বিক্রির সংখ্যা যথাক্রমে ৮৩৩০ ও ৭৭৮৫। R15 এর ক্ষেত্রে গত বছরের জুনের তুলনায় বিক্রি বেড়েছে ৬৬ শতাংশ। আর অন্যদিকে MT-15 V3 এর ব্যবসায় ১১৫ শতাংশ।জোয়ার দেখা গেছে।
সাত নম্বরে রয়েছে বাজাজের আরেকটি জনপ্রিয় ক্রুজার মডেল- Avenger 160 Street। ৪৮২৮ ইউনিট বেচে অত্যাশ্চর্যভাবে এই তালিকায় ঢুকে পড়েছে অ্যাভেঞ্জার। এমনকি সবচেয়ে সস্তা ও ক্রুজার পরিবারের অন্তর্গত এই বাইকের বিক্রিতে ১৮১% বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। বেচাকেনায় ২৭৪ শতাংশ উন্নতি ঘটিয়ে অষ্টম Hero Xtreme 160R। গত মাসে ৩,৮০৬টি বিক্রি হয়েছে।
শেষ দুই স্থান হোন্ডার দখলে। জুনে Hornet 2.0 ও CB 200X বাইক দ্বয়ের মিলিত গ্রাহক সংখ্যা ২০৭৪। গত বছরের জুনের তুলনায় বিক্রি বেড়েছে ৭৩৯ শতাংশ। আর তালিকায় সবার শেষে থাকা হোন্ডা Xblade এর বিক্রি সবচেয়ে কম হলেও, এই মডেলটির বিক্রিতে বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি, যা ৯০১ শতাংশ৷ জুনে বিক্রি হয়েছে ৯১১টি।