Malware: শরীরের মতো সংক্রমণ হচ্ছে শখের স্মার্টফোনেও, সাবধান থাকুন এভাবে
এই দশকে স্মার্টফোনের বহুল ব্যবহারের মাথাব্যথার একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ম্যালওয়্যার। কীভাবে বাঁচবেন?
সময়ের সাথে মোবাইলের ধরণ-ধারণ বদলে স্মার্টফোন যেমন মানব জীবনের একটা জরুরি অঙ্গ হয়ে উঠেছে, তেমনই ফোন ব্যবহারে বেড়েছে নানাবিধ ঝুঁকিও। যেমন ধরুন, এই দশকে মাথাব্যথার একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ম্যালওয়্যার। আসলে কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া যেভাবে আমাদের শরীরে রোগ-সংক্রমণ সৃষ্টি করে, কার্যত একইভাবে ম্যালওয়্যার থেকেও স্মার্টফোনের সমূহ ক্ষতি হতে পারে। কেননা এটি কোনো অ্যাপ্লিকেশন বা অন্যান্য মাধ্যমে ডিভাইসে পৌঁছে সেটির কর্মক্ষমতা এবং ইউজারের গোপনীয়তার সাথে কাটাছেঁড়া করতে পারে। সেক্ষেত্রে আজকের প্রতিবেদনে আমরা ম্যালওয়্যার সম্বন্ধিত কিছু কথা এবং এর হাত থেকে ফোনকে রক্ষা করার উপায় সম্পর্কেই আলোচনা করব।
ম্যালওয়্যার কী?
ম্যালওয়্যার হচ্ছে এমন এক ধরনের সফ্টওয়্যার, যা ফোনের বিভিন্ন ক্ষতি করতে সক্ষম। এটি ইউজারের ডেটা চুরি করতে পারে, আবার ডিভাইসকে স্লো এমনকি সম্পূর্ণ অকেজোও করে দিতে পারে। তাই এই ধরণের অযাচিত দূষিত বিষয়কে এড়িয়ে চলাটা জরুরি।
ম্যালওয়্যার সংক্রমণ থেকে বাঁচার উপায় কী?
১. ফোন এবং অ্যাপ আপডেট: সবসময় নিজের স্মার্টফোন এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলি লেটেস্ট ভার্সনে আপডেট করে রাখুন। এতে অনেক সিকিউরিটি ইস্যুও মিটবে।
২. অজানা উৎস থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না: যেখান-সেখান থেকে ইচ্ছেমতো অ্যাপ ডাউনলোড না করে শুধুমাত্র গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোরের সাহায্য নিন।
৩. পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করলে সাবধান হন: পাবলিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি, এই ধরণের কানেকশনে যুক্ত থাকার সময় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য বা পাসওয়ার্ডের মতো সংবেদনশীল তথ্য কোথাও এন্টার করবেননা।
৪. ভালো অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন: একটি ভালো অ্যান্টিভাইরাস সফ্টওয়্যার ফোনকে ম্যালওয়্যার থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। তাই সব সময় এই জাতীয় অ্যাপ বা সফ্টওয়্যার ব্যবহারের চেষ্টা করুন।
৫. ফিশিং আক্রমণ থেকে সাবধান: সন্দেহজনক মনে হয় এমন কোনো লিংক বা ইমেইলে ক্লিক করবেননা। এতে অজান্তেই নানা বিপদে পড়বেন।
৬. পাসওয়ার্ড ব্যবহার: ডিভাইসে অন্যের অ্যাক্সেস এড়াতে পাসওয়ার্ড বা পিন তা লক রাখুন।
ফোনে ম্যালওয়্যার আছে মনে হলে কী করবেন?
যদি সমস্ত সাবধানতা অবলম্বন করেও আপনার মনে হয় যে কোনোভাবে ফোনে ম্যালওয়্যার আছে, তাহলে সেক্ষেত্রে তিনটি কাজ করণীয়।
১. সেফ মোড ব্যবহার: এই মোড এনাবেল করলে কোনো তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ চলেনা। ফলত এতে করে ঠিক কোন অ্যাপ্লিকেশনটি ম্যালওয়্যার সংক্রামিত তা শনাক্ত করা যেতে পারে।
২. ফ্যাক্টরি রিসেট: আপনি যদি ফোনের ম্যালওয়্যার অপসারণ করতে সক্ষম না হন, তবে তা ফ্যাক্টরি রিসেট করতে পারেন। এতে ফোনের সমস্ত ডেটা মুছে যাবে।
৩. সার্ভিস সেন্টারের সাহায্য নিন: আপনি যদি নিজে ফোনের ম্যালওয়্যার রিমুভ করতে না পারেন, তাহলে কোনো বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে পারেন অথবা প্রয়োজনে সার্ভিস সেন্টারে যেতে পারেন।