Vivo X200 ও X200 Pro স্মার্টফোনের গ্লোবাল লঞ্চ হচ্ছে, ফাটাফাটি ক্যামেরা সহ থাকবে এই ফিচার
Vivo X200 সিরিজের স্মার্টফোন প্রি-অর্ডার করলে আকর্ষণীয় অফার মিলবে। বেস মডেল প্রি-অর্ডার করলে বিনামূল্যে ল্যাপটপ ব্যাকপ্যাক বা ভিভোর ইয়ারবাডস পাওয়া যাবে।
চীনের পর Vivo X200 সিরিজ আজ গ্লোবাল মার্কেটে লঞ্চ হতে চলেছে। ভিভোর তরফে ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করা হয়েছে যে, এই সিরিজের অধীনে গ্লোবাল মার্কেটে Vivo X200 ও Vivo X200 Pro ফোন দুটি ১৯ নভেম্বর আসবে। তবে চীনে আত্মপ্রকাশ করা Mini মডেলটি আন্তর্জাতিক বাজারে পাওয়া যাবে না। আজ উভয় স্মার্টফোন মালয়েশিয়ায় পা রাখবে। এই সিরিজে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৯৪০০ প্রসেসর ও দুর্দান্ত ক্যামেরা সেটআপ রয়েছে।
গ্লোবাল লঞ্চ ও প্রাপ্যতা
ভারতীয় সময় দুপুর ১:৩০ নাগাদ Vivo X200 ও Vivo X200 Pro মালয়েশিয়ায় লঞ্চ হবে। এরপর ২২ নভেম্বর পর্যন্ত স্মার্টফোন দুটি প্রি-অর্ডার করা যাবে। বেস মডেলটি মিডনাইট ব্ল্যাক এবং অরোরা গ্রিন কালারে পাওয়া যাবে। যেখানে প্রো মডেল আসবে টাইটেনিয়াম গ্রে ও মিডনাইট ব্ল্যাক কালারে। ভিভো মালয়েশিয়ায় ওয়েবসাইটে Vivo X200 Pro মডেলটি ১৬ জিবি র্যাম ও ৫১২ জিবি স্টোরেজ সহ তালিকাভুক্ত আছে। যদিও এর আরও স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্ট থাকবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।
প্রি-অর্ডার অফার
ভিভো এক্স২০০ সিরিজের স্মার্টফোন প্রি-অর্ডার করলে আকর্ষণীয় অফার মিলবে। বেস মডেল প্রি-অর্ডার করলে বিনামূল্যে ল্যাপটপ ব্যাকপ্যাক বা ভিভোর ইয়ারবাডস পাওয়া যাবে। আবার ভিভো কেয়ার প্লাস এর মাধ্যমে অতিরিক্ত ওয়ারেন্টি ও ভিভো ওয়াচ ৩ স্মার্টওয়াচে ৩০ শতাংশ ছাড় মিলবে। আবার ভিভো এক্স২০০ প্রো মডেলের সাথে উপরের সমস্ত সুবিধা সহ ৫০ ওয়াট ওয়্যারলেস চার্জার দেওয়া হবে।
স্পেসিফিকেশন ও ফিচার
চীনে ভিভো এক্স২০০ ও এক্স২০০ প্রো লঞ্চ হয়ে যাওয়ার এর স্পেসিফিকেশন ইতিমধ্যেই জানা। আশা করা যায় একই ফিচারগুলি গ্লোবাল মার্কেটে আসবে।
ডিসপ্লে: ভিভো এক্স২০০ ফোনে ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট সহ ৬.৬৬-ইঞ্চি কোয়াড-কার্ভড ডিসপ্লে রয়েছে, প্রো মডেলে ১২০ হার্টজ অ্যাডাপ্টিভ ডায়নামিক রিফ্রেশ রেট ৬.৭৮ ইঞ্চি স্ক্রিন পাওয়া যাবে।
প্রসেসর: উভয় ফোনই মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৯৪০০ চিপসেট দ্বারা চালিত। এই প্রসেসর যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স দিয়েছে।
মেমরি: উভয় ডিভাইস ১৬ জিবি র্যাম এবং ৫১২ জিবি স্টোরেজ সহ পাওয়া যাবে এবং এগুলিতে ১৬ জিবি ভার্চুয়াল র্যাম সাপোর্ট করবে।
ওএস: ফোনগুলি অ্যান্ড্রয়েড ১৫ ভিত্তিক ফানটাচ ওএস ১৫ কাস্টম অপারেটিং সিস্টেমে চলবে।
ক্যামেরা: ভিভো এক্স২০০ প্রো মডেলে ৫০ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ট্রু কালার প্রাইমারি ক্যামেরা, ৫০ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড সেন্সর এবং ২০০ মেগাপিক্সেল জেইস টেলিফটো সেন্সর সহ একটি ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ উপস্থিত। সাথে আছে V3+ ইমেজিং চিপ। বেস মডেলে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা, ৫০ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড সেন্সর এবং ৫০ মেগাপিক্সেল জেইস টেলিফোটো ক্যামেরা রয়েছে, এবং এতে V2 ইমেজিং চিপ ব্যবহার করা হয়েছে।
ফ্রন্ট ক্যামেরা: সেলফির জন্য দুটি মডেলেই রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা।
অন্যান্য ফিচার: ভিভো এক্স২০০ অপটিক্যাল ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর সহ এসেছে, যেখানে ভিভো এক্স২০০ প্রো মডেলে থ্রিডি আল্ট্রা-সোনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর উপলব্ধ। দুটি ফোনই আইপি৬৮ ও আইপি৬৯ ওয়াটার ও ডাস্ট রেজিস্ট্যান্ট সহ এসেছে।
ব্যাটারি: বেস মডেলে ৫,৮০০ এমএএইচ ব্লুভোল্ট ব্যাটারি দেওয়া হয়েছে, আবার এক্স২০০ প্রো স্মার্টফোনে রয়েছে ৬,০০০ এমএএইচ ব্লুভোল্ট ব্যাটারি। উভয় মডেল ৯০ ওয়্যার্ড চার্জিং সমর্থন করে, প্রো মডেলটি ৩০ ওয়াট ওয়্যারলেস চার্জিং সহ এসেছে।