মোদী সরকারের জন্য ভারতে ব্যবসায় ভাঁটা! অভিযোগ করে খোলা চিঠি দিল Xiaomi, জানুন বিশদ
২০১৪ সালে ভারতে পা রাখার পরপরই বাজারকে কার্যত নিজের স্মার্টফোন সম্ভারের মাধ্যমে মন্ত্রমুগ্ধ করে ফেলে Xiaomi। অল্প সময়ের মধ্যে সংস্থাটি এত বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে, যাতে করে তারা ভারতের এক নম্বর স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত-ও হয়ে ওঠে। কিন্তু করোনা অতিমারীর সময় থেকে কার্যত ছবিটা পাল্টে যায়, এদেশের মানুষের চীন সংক্রান্ত বীতশ্রদ্ধ মনোভাব এবং তার সাথে চীনা কোম্পানিগুলির প্রতি ভারত সরকারের কড়াকড়ি – বিভিন্ন কারণে অন্যান্য ব্র্যান্ডগুলির মতোই Xiaomi-র ব্যবসাতেও প্রভাব পড়ে। বর্তমানে, যদিও ভারতীয় স্মার্টফোন বাজারে যেসব চীনা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির সবচেয়ে বেশি শেয়ার রয়েছে তাদের মধ্যে Xiaomi অন্যতম, তবুও সংস্থাটিকে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এবার এই বিষয়টি নিয়েই মোদী সরকারকে সরাসরি চিঠি দিয়েছে Xiaomi।
সরকারকে খোলা চিঠি দিয়ে আস্থা ফেরাতে চাইছে Xiaomi
এই মুহূর্তে শাওমির কাছে ভারতের স্মার্টফোন বাজারের সবচেয়ে বেশি (প্রায় ১৮ শতাংশ) শেয়ার রয়েছে। সেক্ষেত্রে গত ৬ই ফেব্রুয়ারি একটি চিঠিতে সংস্থাটি, ভারত সরকারকে জানিয়েছে যে চীনা কোম্পানিগুলির প্রতি কেন্দ্রের বিরূপ মনোভাব এবং বারবার তদন্তের কারণে সাপ্লায়াররা যথেষ্ট চিন্তিত। তাই সরকার যেন এমন কোনো পদক্ষেপ নেয় যাতে সাপ্লায়ারদের আস্থা ফেরত আনা যায়, এরকম আর্জিও জানিয়েছে শাওমি। শাওমি ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট মুরালিকৃষ্ণান বি. এই প্রসঙ্গে সরকারকে কম্পোনেন্ট সাপ্লায়ারদের উদ্বেগ নিরসন করার, আর তারা যাতে নির্বিঘ্নে ভারতে ম্যানুফ্যাকচারিং সেন্টার স্থাপন করতে পারে সেই বিষয়টি দেখার অনুরোধ করেছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চাইনিজ টেক ব্র্যান্ড শাওমি বহুদিন ধরেই ভারতে তার স্মার্টফোন তৈরি করে এবং তাদের বেশিরভাগ কম্পোনেন্ট শুধুমাত্র ভারতেই পাওয়া যায়। তবে এমন অনেক যন্ত্রাংশ আছে, যা তাদের নিজের ঘরের বাজার অর্থাৎ চীন থেকে আমদানি করতে হয়। সেক্ষেত্রে সরকার, সম্প্রতি সংস্থাটিকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে কীভাবে দেশের কম্পোনেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং খাতকে উন্নত করা যায় – তার জবাবেই শাওমি, সরকারকে এই চিঠি পাঠিয়েছে। সোজা কথায় বললে এখন কেন্দ্রের সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতেই খোলা চিঠি দিয়েছে তারা।
চীনা কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে ভারত সরকার
২০২০ সালে ভারত-চীন সীমান্ত উত্তেজনার পর থেকেই কেন্দ্র সরকার, চীন-ভিত্তিক অ্যাপ এবং কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়। এছাড়াও সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভিভো (Vivo) এবং শাওমি জাতীয় সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কর ফাঁকি, ভিসা সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘন এবং ভুলভাবে বাইরে টাকা ট্রান্সফারের অভিযোগ উঠেছে, এদের নিয়ে তদন্তও চালানো হয়েছে। তবে উভয় সংস্থাই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।