5G India: আগামী বছরের আগে চালু হবে না ফাইভজি, DoT-এর কাছে সময় চাইলো টেলিকম সংস্থা
এই মুহূর্তে প্রায় প্রতিটি ভারতীয় নাগরিক দেশে 5G প্রযুক্তির আবির্ভাব দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন। দেশীয় টেলিকম অপারেটর সংস্থাগুলিও ইতিমধ্যেই 5G সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষায় অনেকটাই অগ্রসর হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে এখনো পর্যাপ্ত সময় প্রয়োজন। কারণ শহরাঞ্চলে 5G ট্রায়ালের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেলেও, গ্রামাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পরিষেবা প্রদানের উপযোগী পরিকাঠামো এখনো গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই Department of Telecommunications বা DoT দেশের বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলিকে 5G ট্রায়ালের জন্য প্রয়োজনীয় স্পেক্ট্রাম (700 MHz, 3.5 GHz ও 26 GHz) ব্যান্ড প্রদান করে। ফলে চলতি বছরের নভেম্বর মাসের মধ্যে টেলকো গুলি ট্রায়ালের কাজ শেষ করবে বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। তবে CNBC-Awaaz যে খবর সদ্য প্রকাশ্যে এনেছে তা থেকে জানা গেছে যে 5G সম্পর্কিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ শেষ করতে টেলিকম গোষ্ঠীগুলি ডটের (DoT) কাছে আরো এক বছরের অতিরিক্ত সময় চেয়ে নিয়েছে।
আজ্ঞে হ্যাঁ, 5G ট্রায়ালের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সাফল্যের জন্য Reliance Jio, Bharati Airtel ও Vodafone-Idea বা Vi -এর মতো সংস্থা ডটের (DoT) কাছে কিছুটা অতিরিক্ত সময় চেয়ে আবেদন করেছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে 5G সংক্রান্ত পরীক্ষার কাজ এখনো ততটা গতি পায়নি। এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে ভালো ফলাফল মিললেও, আরো অনেক পর্যবেক্ষণের দরকার রয়েছে।
CNBC-Awaaz তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে যে 5G ট্রায়াল শেষ করার জন্য দেশের টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ অর্থাৎ DoT, বেসরকারি টেলকোগুলিকে আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত সময় দিতে পারে। এর ফলে ভারতে 5G নেটওয়ার্কের আগমনে কিছুটা বিলম্ব ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে অক্টোবর, ২০২২-এর আগে দেশে 5G পরিষেবার আবির্ভাব সম্ভব নয় বলেও অনেকে দাবী করছেন।
মনে করিয়ে দিই, গ্রামাঞ্চলে 5G ট্রায়ালের ক্ষেত্রে এয়ারটেল সর্বপ্রথম সাফল্য পেয়েছে। ট্রায়াল পরিচালনার জন্য তারা Ericsson সংস্থার সাথে যৌথভাবে কাজ করছে।
অন্যদিকে রিলায়েন্স জিও এবং ভিআই - উভয় সংস্থার পক্ষ থেকেই 5G ট্রায়ালের ক্ষেত্রে বিশেষ তোড়জোড় লক্ষ্য করা গেছে। একাধিক সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ভিআই (Vi) 5G সংক্রান্ত পরীক্ষায় প্রাথমিক সাফল্য অর্জন করেছে। আবার রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio) মুম্বই ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে দেশের বৃহত্তম 5G ট্রায়ালের আয়োজন করেছে। এক্ষেত্রে তারা সম্পূর্ণ নিজস্ব পরিকাঠামো ও প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে, যা ভবিষ্যতে সংস্থাটিকে সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে যেতে পারে। সুতরাং, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখলে দেশে 5G নেটওয়ার্কের চালু হতে যে এখনো কিছুটা বিলম্ব আছে, সেটা বুঝতে খুব একটা অসুবিধে হয়না।