E-commerce: প্রোডাক্টের উৎস নিয়ে ভুয়ো তথ্য, শপিং সাইটগুলিকে ২০২টি নোটিশ পাঠাল কেন্দ্র
ব্যবসায়িক স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবার ই-কমার্স সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে বড় ব্যবস্থা নিলো কেন্দ্রীয় সরকার। পণ্য সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রদানের জন্য তারা সম্প্রতি ই-কমার্স সংস্থাগুলির উদ্দেশ্যে দুই শতাধিক নোটিশ জারি করেছে! গত মঙ্গলবার একটি সরকারি ঘোষণায় একথা জানিয়ে দেওয়া হয়। বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, জামাকাপড় এবং ঘরেলু সামগ্রী বিক্রির ক্ষেত্রে প্রদত্ত তথ্যে সবথেকে বেশি পরিমাণ অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গেছে বলে সেই ঘোষণায় দাবী করা হয়েছে।
ভুল তথ্য পরিবেশনের জন্য ঠিক কোন কোন ই-কমার্স সংস্থার বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করা হয়েছে সেই বিষয়ে অবশ্য সরকারি তরফে কিছুই বলা হয়নি। তবে এক্ষেত্রে তারা মোট ২১৭টি নোটিশ জারির কথা স্বীকার করেছেন। এদের মধ্যে ২০২টি নোটিশ আবার পণ্যের উৎসগত তথ্য গোপনের জন্য জারি করা হয়েছে। এছাড়া পণ্যের সর্বোচ্চ রিটেইল মূল্য, এক্সপায়ারের তারিখ, উৎপাদনকারী/বিক্রেতার ঠিকানা সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রদানের কারণে বাদবাকি নোটিশগুলি পাঠানোর দরকার পড়েছে।
পণ্য সম্পর্কে ভুল তথ্য পরিবেশন স্বচ্ছ বাণিজ্য নীতির পরিপন্থী হলেও অভিযুক্ত ই-কমার্স সংস্থাগুলির নাম কেন প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না সে নিয়ে অনেকেই সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন। এক্ষেত্রে সরকারের গ্রাহক বিষয়ক প্রতিনিধি লীনা নন্দন জানিয়েছেন যে, আপাতত বিক্রেতা এবং গ্রাহক উভয়পক্ষকে সচেতন করতেই তারা নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর ফলে ই-কমার্স সংস্থাগুলির এখনই সাবধান হওয়া উচিত। কারণ ক্রেতার অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ নির্দিষ্ট আইনের বিচারে খতিয়ে দেখা যেতে পারে। উল্টোদিকে গ্রাহকদের নিজস্ব অধিকার সম্পর্কে যথাযথ ধারণা রাখা উচিত বলেও সরকারি প্রতিনিধি দাবী করেছেন।
এই বিষয়ে উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে সেন্ট্রাল কনজিউমার প্রোটেকশন অথরিটি বা সিসিপিএ'র (CCPA) মুখ্য কমিশনার এবং অতিরিক্ত সচিব নিধি খারের বক্তব্য, উপভোক্তাদের অভিযোগ দাখিল ও সেগুলি নিরসনের জন্য কেন্দ্র তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলিকে আরো সক্রিয় করে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে। এভাবে ন্যাশনাল কনজিউমার হেল্পলাইনের মাধ্যমে দায়ের করা বহু সমস্যা গত কয়েকমাসে সমাধান করা হয়েছে।
হেল্পলাইন ছাড়াও অনলাইন পদ্ধতিতে গ্রাহকেরা তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন বলে নিধি খারে উল্লেখ করেছেন। এভাবে ই-দাখিলের মাধ্যমে জমা পড়া অভিযোগের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও খারের বক্তব্য। এছাড়া সিসিপিএ প্রধান একথাও জানিয়েছেন যে ই-দাখিলের মাধ্যমে অভিযোগের পর তারা মোট ৫৬টি ভুয়ো বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করেছেন। এর মধ্যে ২৯টি নোটিশ আবার অবৈধ কারবার রুখতে জারি করা হয়েছে বলে তার দাবী।