ভারতে 6G চালু হবে 2029 সালে, বড় ঘোষণা কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের
২০২২ সালের ১লা অক্টোবর অর্থাৎ 'ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস' (IMC 2022) ইভেন্টের প্রথম দিনে ভারতে আনুষ্ঠানিকভাবে 5G নেটওয়ার্কের ঘোষণা করেছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মহাশয়। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে গেছে পঞ্চম প্রজন্মের এই নেটওয়ার্ক পরিষেবা। আগামী বছরের মধ্যে দেশের সর্বত্র এই নেটওয়ার্ক উপলব্ধ হবে বলে জানিয়েছে টেলিকম কোম্পানিগুলি। তবে এরই মধ্যে চর্চা শুরু হয়েছে 6G নেটওয়ার্ক নিয়ে। জানিয়ে রাখি, বিশ্বব্যাপী একাধিক দেশ ইতিমধ্যেই 6G প্রযুক্তির উপর কাজ করতে শুরু করে দিয়েছে। পিছিয়ে নেই ভারত-ও। ২০২৯ সালের মধ্যেই এদেশে 6G নেটওয়ার্ক চালু হবে বলে আজ আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)।
৬তম প্রজন্মের মোবাইল সেলুলার নেটওয়ার্ক সম্পর্কে অশ্বিনী বৈষ্ণব আরো জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টেলিকম সংস্থাগুলিকে ভারতে ৬জি পরিষেবা আনার কাজে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে বলেছেন। ভারতে ইতিমধ্যেই একটা বড়সড় ৫জি গ্রাহক-বেস তৈরী হয়েছে। ২০২৮ সালের মধ্যে ৪জি (4G) -এর তুলনায় ৫জি সাবস্ক্রাইবারদের সংখ্যা আরো বহু গুন বেড়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর ২০২৯ সালে ৬জি নেটওয়ার্ক চালু হওয়ার পর, ৫জি ব্যবহারকারীদের কিছু অংশ এই নব্য প্রজন্মের নেটওয়ার্ক পরিষেবা গ্রহণ করবে।
প্রসঙ্গত, ডেকানহেরাল্ডের একটি রিপোর্ট অনুসারে - বিশ্বের দ্রুততম 5G রোলআউটের কাজ ভারতে হচ্ছে। এই মন্তব্যকে সমর্থন করে, 'পিএইচডি চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি' আয়োজিত একটি ইভেন্টে বক্তৃতা দেওয়াকালীন অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন যে, "ভারতের মতো 5G পরিষেবার এমন দ্রুত ও বৃহত্তর রোলআউট বিশ্বের আর কোথাও দেখা যায়নি।"
এক্ষেত্রে, রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio) এবং ভারতী এয়ারটেল (Bharti Airtel) সহ ভারতের প্রত্যেকটি প্রথমসারির টেলিকম অপারেটরগুলি আগামী ১ থেকে ১.৫ বছরের মধ্যে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে 5G পরিষেবা উপলব্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে। মুকেশ আম্বানির সংস্থাটি দাবি করেছে যে, তারা ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি কোণায় 5G নেটওয়ার্কের সুবিধা পৌঁছে দেবে। অন্যদিকে এয়ারটেল সংস্থার পক্ষ থেকে মন্তব্য করা হয়েছে যে, ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যেই ৫জি বন্টনের কাজ শেষ করে দেওয়া হবে। জানিয়ে রাখি, জিও এবং এয়ারটেলের হাত ধরে ৫জি ইতিমধ্যেই ভারতের প্রায় ৪০০টি শহরের মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত 5G রোলআউটের কাজ যাতে ধীর না হয়ে যায় এবং একই সাথে টেলিকম সংস্থাগুলি যাতে দ্রুততার সাথে কাজ চালিয়ে কার্যকর খরচে নতুন পরিকাঠামো স্থাপন করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার তাদের নীতিগুলি বর্তমানে সরলীকরণ করছে।