দ্রুত ইন্টারনেট স্পিডে মজেছে গ্রাহকরা, ১ মাসের মধ্যে Airtel 5G ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছুঁলো ১০ লক্ষ
সুদীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত মাসের শুরুতে ভারতে 5G নেটওয়ার্ক লঞ্চ হয়েছে। ইতিমধ্যেই এদেশের নির্বাচিত কয়েকটি শহরে এই নতুন পরিষেবা চালু করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই টেলিকম কোম্পানি Bharti Airtel এবং Reliance Jio। বর্তমানে মুম্বাই, চেন্নাই, শিলিগুড়ি, দিল্লি, বারাণসী, নাগপুর, হায়দ্রাবাদ এবং বেঙ্গালুরু – এই আটটি শহরে Airtel 5G Plus পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে। এর ফলে বিগত এক মাস ধরে ইউজাররা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নিজেদের বিদ্যমান 4G সিমেই সংস্থার পঞ্চম প্রজন্মের হাই-স্পিড ইন্টারনেট সার্ভিস ব্যবহার করতে পারছেন। আপাতত বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে এ খবর সামনে এসেছে যে, Airtel চলতি সময়ে ইউজারদেরকে দুরন্ত গতির নেট পরিষেবা প্রদান করছে, যার ফলে অনেকেই বর্তমানে সংস্থার পঞ্চম প্রজন্মের নেট সার্ভিস ব্যবহারের মজা উপভোগ করছেন। তবে এই মুহূর্তে ঠিক কতজন Airtel-এর 5G পরিষেবা ব্যবহার করছেন, সে বিষয়ে সম্প্রতি সংস্থার তরফে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই ১০ লাখেরও বেশি মানুষ ব্যবহার করছেন Airtel-এর 5G পরিষেবা
৫জি নেটওয়ার্ক চালু হওয়ার ৩০ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে ভারতী এয়ারটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, ইতিমধ্যেই তাদের ৫জি নেটওয়ার্ক পরিষেবা ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ লাখের গন্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। নিঃসন্দেহে এত কম সময়ের মধ্যে এই বিপুল পরিমাণ সাফল্য পাওয়া রীতিমতো এক আশ্চর্যজনক ব্যাপার। ফলে সংস্থাটির জন্য এটি যে একটি দারুণ সুখবর, সেকথা বলাই বাহুল্য; এবং আগামী দিনে এয়ারটেলের ইউজারবেস আরও বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে বলেই ধরে নেওয়া যেতে পারে।
এই প্রসঙ্গে ভারতী এয়ারটেলের সিটিও রণদীপ সেখন (Randeep Sekhon) বলেছেন, ৫জি নেটওয়ার্ক চালু হওয়ার অল্প কয়েকদিনের মধ্যে গ্রাহকদের কাছ থেকে পাওয়া এই প্রতিক্রিয়া সংস্থার জন্য খুবই ইতিবাচক। ইতিমধ্যেই দেশের অধিকাংশ ৫জি সাপোর্টেড স্মার্টফোনেই এয়ারটেলের ৫জি পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে। আর যে কয়েকটি হ্যান্ডসেটে এখনও এই পরিষেবা উপলব্ধ নয়, সেগুলিতেও খুব শীঘ্রই এই দ্রুতগতির নেট সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবেন ইউজাররা। আগামী দিনে যাতে আরও অনেক বেশি সংখ্যক গ্রাহক ৪জি ছেড়ে এয়ারটেল ৫জি প্লাস নেটওয়ার্ক ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন, তার জন্য সংস্থাটি জোরকদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
4G-র তুলনায় ২০ থেকে ৩০ গুণ দ্রুত স্পিড দেবে 5G
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, চলতি সময়ে নন-স্ট্যান্ডঅ্যালোন (NSA) 5G নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইউজারদেরকে ঝড়ের গতির নেট সার্ভিস প্রদান করছে Airtel। এই টেকনোলজি 4G কোরের উপর নির্ভরশীল। সংস্থার তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে, ইউজারদের কাছে একটি 5G কানেক্টিভিটির স্মার্টফোন থাকলেই তারা তাদের বিদ্যমান 4G সিম মারফত সংস্থার দুরন্ত গতির 5G পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন। কোম্পানির দাবি অনুযায়ী, 4G-র তুলনায় 5G-তে ২০ থেকে ৩০ গুণ দ্রুত স্পিড পাওয়া যাবে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখি, চড়া দামের হ্যান্ডসেট হওয়া সত্ত্বেও iPhone-এ কিন্তু এই মুহূর্তে 5G পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না। তবে Apple-এর তরফে জানা গিয়েছে যে, আগামী ডিসেম্বরে উপযুক্ত সফ্টওয়্যার আপডেট রোলআউট হলেই iPhone ইউজাররা পঞ্চম প্রজন্মের ‘রকেটের’ গতির নেট সার্ভিস ব্যবহারের মজা উপভোগ করতে পারবেন।