Bharat Sanchar Nigam Limited: রোজ খরচ ৭ টাকার কম, BSNL দিচ্ছে রোজ ৩ জিবি ডেটা সহ এত কিছু
আপনি যদি সরকারি মালিকানাধীন টেলিকম কোম্পানি Bharat Sanchar Nigam Limited বা BSNL-এর গ্রাহক হন এবং হালফিলে সংস্থার কোনো দীর্ঘমেয়াদী প্রিপেইড প্ল্যানের সন্ধানে থাকেন, তাহলে আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র আপনারই জন্য। কারণ আজ আমরা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির ঝুলিতে মজুত থাকা এমন একটি প্রিপেইড রিচার্জ প্ল্যানের কথা আপনাদেরকে জানাতে চলেছি, যেটি ৪৫৫ দিনের বৈধতা সহ আসে। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি প্ল্যানটির মারফত দৈনিক ৩ জিবি করে ডেটাও পেতে সক্ষম হবেন ইউজাররা। এই প্রসঙ্গে বলে রাখি, বর্তমানে ভারতের অন্য কোনোও টেলিকম অপারেটরের ঝুলিতে এমন জবরদস্ত রিচার্জ প্ল্যান মজুত নেই, যাতে ৪৫৫ দিনের বৈধতা পাওয়া যাবে। ফলে যারা লম্বা ভ্যালিডিটি সম্পন্ন এবং সেইসাথে রোজ বেশ অনেকটা পরিমাণে ডেটা মিলবে, এরকম কোনো রিচার্জ প্ল্যানের সন্ধান করছেন, তাদের জন্য BSNL-এর আলোচ্য প্ল্যানটি এককথায় আদর্শ। আসুন, সংস্থার উক্ত প্ল্যানটির সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
BSNL-এর ২৯৯৮ টাকার প্রিপেইড রিচার্জ প্ল্যান
আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদেরকে বিএসএনএলের যে প্ল্যানটির কথা জানাতে চলেছি, সেটির দাম ২৯৯৮ টাকা। এই প্ল্যানে প্রতিদিন ৩ জিবি ডেটা এবং রোজ ১০০ টি করে এসএমএস সহ আনলিমিটেড ভয়েস কলিংয়ের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, প্রতিদিন মাত্র ৬.৫৯ টাকা (প্রায়) খরচ করলেই ৩ জিবি ডেটা ব্যবহারের সুযোগ পাবেন ইউজাররা! নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, প্ল্যানটি রিচার্জ করলে ব্যবহারকারীরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন। সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হল, আলোচ্য প্ল্যানটি সারা ভারতের গ্রাহকদের জন্য উপলব্ধ।
এখনও পর্যন্ত এদেশে 4G পরিষেবাই রোলআউট করে উঠতে পারেনি BSNL
তবে বিএসএনএলের যে-কোনো রিচার্জ প্ল্যান ব্যবহারের ক্ষেত্রে মূল অসুবিধা হল সংস্থাটির নিম্নমানের পরিষেবা। একদিকে যেখানে এয়ারটেল (Airtel) এবং জিও (Jio) ইতিমধ্যেই গত বছরের অক্টোবর মাসের গোড়ার দিকে এদেশের নির্বাচিত কয়েকটি শহরে ৫জি (5G) পরিষেবা রোলআউট করে ফেলেছে, সেখানে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম কোম্পানিটি এখনও পর্যন্ত ভারতে ৪জি (4G) সার্ভিসই নিয়ে আসতে পারেনি। দীর্ঘদিন ধরে সংস্থাটির ৪জি রোলআউটের একাধিক দিনক্ষণ প্রকাশ্যে আসলেও বিভিন্ন কারণে প্রতিবারই তা পিছিয়ে গিয়েছে। তবে ইদানীংকালে টেকপাড়ায় ব্যাপকভাবে রটে গেছে যে, চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ভারতে ৪জি সার্ভিস লঞ্চ করে টেলিকম দুনিয়ায় কামব্যাকের পরিকল্পনা করেছে সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানিটি। আবার এও শোনা গিয়েছে যে, ২০২৩-এ ৪জি চালু হলেই পরের বছর সম্ভবত লঞ্চ হবে বিএসএনএলের ৫জি। সেক্ষেত্রে এখন সত্যি সত্যিই বাস্তবে এই ঘটনা ঘটবে কি না, সেটা একমাত্র সময়ই বলতে পারবে।
4G রোলআউট করে ফেললে রিচার্জ প্ল্যানের দাম বাড়াতে পারে BSNL
আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি, সম্প্রতি BSNL-এর জন্য ১.৬৪ লক্ষ কোটি টাকার পুনরুজ্জীবন প্রকল্প অনুমোদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়া, সরকারের তরফে নানা ধরনের সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিটিকে, যাতে 4G এবং 5G রোলআউটকে কেন্দ্র করে সংস্থাটিকে কোনো অসুবিধার মুখোমুখি হতে না হয়। উল্লেখ্য যে, দেশীয় প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে গোটা দেশে 4G চালু করতে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস বা টিসিএস (TCS) এবং সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অফ টেলিম্যাটিক্স (C-DoT)-এর সাহায্য নিচ্ছে BSNL। এছাড়াও, তেজস নেটওয়ার্কস (Tejas Networks) স্থানীয়ভাবে নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন যে, যদিও এই মুহূর্তে ইউজারদের সুবিধার্থে BSNL সাশ্রয়ী মূল্যে একাধিক প্রিপেইড রিচার্জ প্ল্যান অফার করে থাকে, তবে 4G পরিষেবার আগমন ঘটলে সংস্থাটি তাদের প্ল্যানগুলির দাম বেশ খানিকটা বাড়াবে। সেক্ষেত্রে এবার বাস্তবিকভাবে গোটা ঘটনাটা ঠিক কী ঘটবে, এখন সেটাই দেখার।