শীঘ্রই মিলবে সুখবর, 4G পরিষেবার জন্য অতিরিক্ত নম্বর চাইলো BSNL
সম্প্রতি টেলিযোগাযোগ বিভাগ বা ডিওটি (DoT) Bharat Sanchar Nigam Limited অর্থাৎ BSNL-কে পাঞ্জাব সার্কেলে 4G-র জন্য নাম্বারিং রিসোর্স বরাদ্দ করেছে। উল্লেখ্য, নাম্বারিং রিসোর্স বরাদ্দের অনুরোধ BSNL-এর তরফ থেকেই এসেছিল। এক্ষেত্রে বলে রাখি, প্রত্যেকটা সার্কেলের জন্য আলাদা আলাদাভাবে টেলিকম কোম্পানিগুলিকে নম্বর ধার্য করতে হয় এবং তার একটা নির্দিষ্ট সীমা থাকে। অর্থাৎ, প্রতিটি রাজ্যের জন্য নির্ধারিত নম্বর রিসোর্স ধার্য করা থাকে। এখন কোনো টেলিকম কোম্পানি যদি ডিওটি-র কাছে অনুরোধ করে যে তাদের আরও বেশি নম্বর রিসোর্স দরকার, তখন ডিওটি তাদেরকে তা সরবরাহ করে। শুধু তাই নয়, সংস্থাগুলির আদৌ তার প্রয়োজন আছে কি না, সেটাও ডিওটি চেক করে দেখে নেয়। সেক্ষেত্রে হালফিলে BSNL পাঞ্জাব এলএসএ (লাইসেন্সড সার্ভিস এরিয়া অর্থাৎ লাইসেন্সপ্রাপ্ত পরিষেবা অঞ্চল)-এর জন্য এমএসসি (MSC) কোড বরাদ্দের অনুরোধ করেছিল। আর সম্প্রতি পাওয়া খবর বলছে যে, রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম কোম্পানিটির অনুরোধ মঞ্জুর করেছে টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
পাঞ্জাব সার্কেলে 4G-র জন্য নাম্বারিং রিসোর্স পেল BSNL
রিপোর্ট অনুযায়ী, সরকারি মালিকানাধীন টেলিকম কোম্পানিটি যাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এদেশে ৪জি পরিষেবা লঞ্চ করতে পারে, তার জন্য ইদানীংকালে ডিওটি বিএসএনএলকে নাম্বারিং রিসোর্স প্রদান করেছে। ফলে খুব শীঘ্রই এদেশে সংস্থার ৪জি পরিষেবার আগমন ঘটবে বলে আশা করা যেতে পারে। তবে এর জন্য বিএসএনএলকে ভিএলআর (VLR) সার্টিফিকেট এবং ইউটিলাইজেশন ডেটা ডিওটি-র কাছে জমা দিতে হবে, যাতে টেলিযোগাযোগ বিভাগ খতিয়ে দেখতে পারে যে, সেই নাম্বারিং রিসোর্সগুলির যথাযথ সদ্ব্যবহার করা হয়েছে কি না৷
কবে এদেশে BSNL-এর 4G পরিষেবা চালু হবে?
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে এদেশে ৪জি পরিষেবা চালু করতে রীতিমতো বদ্ধপরিকর বিএসএনএল। দেশীয় প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে গোটা দেশে ৪জি রোলআউট করার জন্য সংস্থাটি টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস বা টিসিএস (TCS) এবং সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অফ টেলিম্যাটিক্স (C-DoT)-এর সাহায্য নিচ্ছে। এছাড়াও, তেজস নেটওয়ার্কস (Tejas Networks) স্থানীয়ভাবে নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সম্প্রতি পাওয়া খবর অনুযায়ী, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম কোম্পানিটি ৫০ টি রেডিও ইউনিট নিয়ে লাইভ নেটওয়ার্কে স্বদেশে তৈরি সলিউশনটির টেস্টিংয়ের কাজ শুরু করার পরিকল্পনা করেছে। জানিয়ে রাখি, বিএসএনএল ১,০০,০০০ টি ৪জি সাইট লঞ্চ করার কথা ভেবেছে, যার জন্য ১৫,০০০-১৬,০০০ কোটি টাকা খরচ হবে।
কেন BSNL-এর 4G পরিষেবা চালু হতে এত দেরি হচ্ছে?
একথা আমাদের সকলেরই জানা যে, পূর্বে একাধিকবার BSNL-এর 4G রোলআউটের দিনক্ষণ প্রকাশ্যে এলেও বিভিন্ন কারণে তা পিছিয়ে গিয়েছে। কিন্তু বারংবার এই বিলম্বের পিছনে আসল কারণ কী? সেক্ষেত্রে বলি, যেহেতু দেশীয় প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে সংস্থাটি এদেশে 4G পরিষেবা নিয়ে আসতে চাইছে, তার জন্যই মূলত দেরি হচ্ছে বলে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে দেশীয় প্রযুক্তিটিকে কেন্দ্র করে যাবতীয় পরীক্ষানিরীক্ষার কাজ যেহেতু অনেকটাই এগিয়ে গেছে, তাই অনেকেই মনে করছেন যে, এদেশে BSNL-এর 4G পরিষেবা আসতে আর খুব বেশি সময় লাগবে না। আবার ইতিমধ্যেই এ খবরও পাওয়া গিয়েছে যে, কোম্পানির 4G সার্ভিস রোলআউট হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই এদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির 5G পরিষেবার আগমন ঘটবে। সেক্ষেত্রে এবার বাস্তবে ছবিটা ঠিক কী দাঁড়াবে, সেটা একমাত্র সময়ই বলতে পারবে।