WhatsApp মেসেজের কারণে আইনত ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারত সরকার?

By :  techgup
Update: 2023-08-02 03:35 GMT

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) প্ল্যাটফর্মগুলি নিঃসন্দেহে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। এর মাধ্যমে দূরে থাকা সত্বেও মানুষ খুব সহজেই নিজের প্রিয়জনের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছে। তবে এই সুবিধার পাশাপাশি, এই প্ল্যাটফর্মগুলি খুব দ্রুত গুজব এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর কাজও করে। তাই সরকার এই ভুয়ো খবরগুলি যাচাই করে সকলকে সচেতন করার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল, PIB Fact Check সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলিতে প্রচার হওয়া একটি বিভ্রান্তিকর দাবির বিরুদ্ধে বিবৃতি প্রকাশ করেছে।

বিভ্রান্তিকর ওই মেসেজটিতে বলা হয়েছে যে, ভারত সরকার প্রতি নিয়ত হোয়াটসঅ্যাপে (WhatsApp) ব্যক্তিগত মেসেজগুলি পর্যবেক্ষণ করে। পিআইবি ফ্যাক্ট চেক, এই দাবিগুলি মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য একটি ছবি টুইট করেছে। সেই ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন মেসেজের স্ট্যাটাস বোঝাতে হোয়াটসঅ্যাপ বিভিন্ন ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে থাকে। যেমন, মেসেজ পৌঁছে গেছে সেটি বোঝানোর জন্য একটি টিক, আর মেসেজটি পড়া হয়ে গেছে বোঝানোর জন্য দুটি ব্যবহার করা হয়। এগুলি ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্মের খুবই পরিচিত এবং সাধারণ ফিচার।

ব্যবহারকারীদের বিভ্রান্ত করার জন্য ভুয়ো মেসেজটিতে একাধিক ইন্ডিকেটরের কথা বলা হয়েছে। যেমন প্রতারকদের অনুসারে তিনটি নীল টিক দ্বারা বোঝানো হয় যে সরকার বার্তাটি নোট করেছে, দুটি নীল টিক এবং একটি লাল টিকের মাধ্যমে বোঝানো হয় যে সরকার প্রেরকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে। আবার একটি নীল টিক এবং দুটি লাল টিক বোঝায় যে সরকার আপনার ডেটা যাচাই করছে। এছাড়াও তিনটি লাল টিক দেখলে বুঝতে হবে সরকার প্রেরকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে চলেছে এবং খুব শিগগির আদালতের তরফ থেকে তাকে সমন পাঠানো হবে।

হোয়াটসঅ্যাপের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াতে টিক সম্পর্কিত যে মেসেজটি ঘোরাফেরা করছে সেই মেসেজটি আসলে ভুল। কারণ, অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ প্ল্যাটফর্ম মেসেজ স্ট্যাটাসের জন্য কখনো লাল টিক ব্যবহার করে না। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠানোর সময় তার রং থাকে ধূসর এবং মেসেজ পড়া হয়ে গেলে তার রং হয়ে যায় নীল।

পিআইবি ফ্যাক্ট চেক স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, ভারত সরকার হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য কোনো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কোনো ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত মেসেজ পর্যবেক্ষণ করে না বা কোনো ব্যক্তিগত মেসেজের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে কোনো ইন্ডিকেটর ব্যবহার করা হয় না। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট অনেক আগেই বলেছিল যে, হোয়াটসঅ্যাপে প্রচারিত এই ধরনের দাবিগুলি ভিত্তিহীন ।

উল্লেখ্য, আমরা বর্তমানে এমন এক যুগে বাস করছি সেখানে ভুল তথ্য দাবানলের মতন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই এমন কোনো তথ্য শেয়ার করা বা বিশ্বাস করার আগে সেটির উৎস সম্পর্কে সচেতন হওয়া দরকার। আর এমন পরিস্থিতিতে PIB Fact Check-এর মত ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থাগুলি ভুয়ো খবর প্রতিরোধ এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির ব্যবহারকারীদের আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল করে তোলার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

Tags:    

Similar News