40 কোটি ইউজারের সুরক্ষার প্রশ্ন, WhatsApp অফার করছে এই 10 প্রাইভেসি ফিচার, দেখুন তালিকা

Avatar

Published on:

WhatsApp Offers 10 Privacy Features

অনেক বিকল্প থাকা সত্ত্বেও, সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের সম্মান বিগত কয়েক বছর ধরে WhatsApp-এর ঝুলিতেই রয়েছে। এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী প্রায় ২৪৪ কোটি এবং ভারতে ৪০ কোটি মানুষ একে অন্যের সাথে জুড়ে থাকার জন্য এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করেন। আর বিশাল ইউজারবেসের খুশির জন্য WhatsApp-ও প্রায়ই নতুন ফিচার নিয়ে আসে। শুধু তাই নয়, সংস্থাটি ইউজারদের প্রাইভেসি এবং সিকিউরিটি নিয়েও যথেষ্ঠ সচেষ্ট, এই কারণে তারা এতদিন পর্যন্ত Android এবং iOS উভয় অ্যাপেই বিভিন্ন অপশন যুক্ত করেছে। দেখতে গেলে, এই মুহূর্তে WhatsApp-এ অন্তত ১০টি প্রাইভেসি ফিচার রয়েছে, যেখানে পার্সোনাল চ্যাট লক থেকে শুরু করে প্রোফাইল পিকচার, অনলাইন স্ট্যাটাস লুকিয়ে রাখার মতো নানাবিধ সুবিধা পাওয়া যাবে। আসুন, এখন এক নজরে দেখে নিই WhatsApp-এর এইসব ফিচারগুলি।

বর্তমানে WhatsApp-এ উপলব্ধ রয়েছে এই ১০টি প্রাইভেসি ফিচার

১. চ্যাট লক: হোয়াটসঅ্যাপ অতিসম্প্রতি এই ফিচার যুক্ত করেছে, যার সাহায্যে ইচ্ছেমতো কোনো চ্যাটকে আলাদা করে পাসওয়ার্ড দিয়ে লক বা সুরক্ষিত রাখা যাবে। একবার কোনো প্রোফাইলে গিয়ে নির্দিষ্ট ‘চ্যাট লক’ (Chat lock) অপশনে ক্লিক করলেই সেই প্রোফাইলের সমস্ত চ্যাট আলাদা ফোল্ডারে সংরক্ষিত হবে।

২. অনলাইন স্ট্যাটাস হাইড: আপনি চাইলে হোয়াটসঅ্যাপে তাদের উপস্থিতি অন্যের থেকে লুকিয়ে রাখতে পারবেন। এক্ষেত্রে অনলাইন স্ট্যাটাসের নির্দিষ্ট অপশনটি সেটিং থেকে বন্ধ করে রাখলে, কেউ জানতে পারবেনা যে আপনি মেসেজিং অ্যাপটি ব্যবহার করছেন কিনা বা অনলাইন আছেন কিনা।

৩. প্রোফাইল ফটো হাইড: কয়েক মাস আগে হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হওয়া এই অপশনটি ব্যবহার করলে, আপনি নির্দিষ্ট কন্ট্যাক্টের থেকে প্রোফাইল পিকচার হাইড করে রাখতে সক্ষম হবেন।

৪. ডিসঅ্যাপেয়ারিং মেসেজ: এটি হোয়াটসঅ্যাপের একটি ঐচ্ছিক বৈশিষ্ট্য যা অন করে রাখলে নির্দিষ্ট সময় পর কোনো ইন্ডিভিজ্যুয়াল বা গ্রুপ চ্যাট আপনাআপনি ডিলিট হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে ডিসঅ্যাপেয়ারিং মেসেজ (Disappearing messages) অপশনের জন্য ২৪ ঘন্টা, ৭ দিন বা ৯০ দিনের টাইমার উপলব্ধ থাকবে।

৫. সাইলেন্ট আননোন কল: অনলাইন স্ক্যাম এড়াতে হোয়াটসঅ্যাপ সম্প্রতি এই কল সংক্রান্ত ফিচারটি চালু করেছে। এই ফিচারের কারণে প্ল্যাটফর্মটিতে কোনো অজানা ফোন নম্বর থেকে কল এলে তা নিজে থেকে সাইলেন্ট হয়ে যাবে। এতে করে প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারে কোনোরকম বিঘ্ন ঘটবেনা।

৬. গ্রুপ অ্যাড সেটিং: অনেক সময় আমরা না চাইতেও বা অজান্তেই কোনো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হয়ে যাই। তবে অ্যাপের সেটিং সেকশনে এমন একটি কন্ট্রোল অপশন আছে, যা অন করে রাখলে কেউ আপনার ইচ্ছে ছাড়া কোনো গ্রুপে আপনাকে অ্যাড করতে পারবেনা।

৭. ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক: কিছু বছর আগেই হোয়াটসঅ্যাপে এই ফিচার যুক্ত হয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি কোনো থার্ড পার্টি অ্যাপ লকের সাহায্য ছাড়াই মেসেজিং অ্যাপটিকে নিজের ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে লক করে রাখতে পারবেন। এই ফিচার অ্যাপ সেটিংসে উপলব্ধ।

৮. ব্লক: বলতে গেলে শুরু থেকেই হোয়াটসঅ্যাপ ইউজারদের ইচ্ছেমতো কাউকে ব্লক করার অপশন দেয়।

৯. ব্লু টিক হাইড: হোয়াটসঅ্যাপে রিড রিসিপ্ট (Read receipt) নামক অপশন আগে থেকেই আছে যা অফ করে রাখলে, চ্যাটের ব্লু টিক হাইড হয়ে যাবে। এতে করে আপনি কারো মেসেজ পড়ছেন কিনা, তা সেন্ডার জানতে পারবেননা।

১০. টু-স্টেপ অথেন্টিকেশন: নিজের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে এই অপশনটি ব্যবহার করা যায়। একবার টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন (two-step verification) অন করলে একটি ছয় সংখ্যার পিন সেট করতে হবে যা প্রতিবার অ্যাকাউন্টে লগইন করার সময় কাজে লাগবে।

সঙ্গে থাকুন ➥