দেদার ছাড় অথচ ছোট গাড়ির ক্রেতা নেই, SUV কিনতে ভিড় শোরুমে শোরুমে

এক সময় ভারতের যাত্রী গাড়ির বাজারের প্রধান স্তম্ভ ছিল এন্ট্রি-লেভেল মডেল। জীবনে প্রথমবার গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে সিংহভাগ মানুষ এই জাতীয় মডেলগুলি বেছে নিতেন। কিন্তু সময়ের সাথে গাড়ির প্রতি মানুষের পছন্দ বদলাচ্ছে। ২০২২-এর ডিসেম্বরের পরিসংখ্যান অন্তত সে কথাই বলছে। দেখা গেছে গত মাসে এদেশে ইউটিলিটি ভেহিকেলের চাহিদা দুই অঙ্কের সংখ্যায় বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে এন্ট্রি লেভেল মডেলের উপর ডিসকাউন্ট থাকা সত্ত্বেও আশানুরূপ বৃদ্ধি নজরে পড়েনি।

এদিকে যে কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের বেশি অবদান রাখে গাড়ি শিল্প। যত বেশি সংখ্যক গাড়ি বিক্রি হয় অর্থনীতি ততই চাঙ্গা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়। বর্তমানে ইউটিলিটি ভেহিকেল বা ইউভি (UV) সেগমেন্ট দ্রুততম বৃদ্ধির সাক্ষী থাকছে। মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki)-র ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধির শতকরা হার ২২.৩% এবং মাহিন্দ্রা (Mahindra)-র ক্ষেত্রে তা ৬২.২%। ফলে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট মডেলের গাড়ির চাহিদা কী হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে!

সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স বা সিয়াম-এর প্রকাশিত গত মাসের পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে এন্ট্রি লেভেল এবং সেডান মডেলের চাইতে ইউটিলিটি ভেহিকেলের প্রতি মানুষের আগ্রহ অনেকাংশই বেশি ছিল। এদিকে কাঁচামালের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার ফলে খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে নির্মাতাদের। অগত্যা গাড়ি সংস্থাগুলিও তাদের বিভিন্ন মডেলের দাম বৃদ্ধির পথ বেছে নিয়েছিল।

উক্ত পদক্ষেপ সত্ত্বেও তুলনামূলক দামি ইউটিলিটি ভেহিকেলের উর্দ্ধমুখী চাহিদা বাস্তবেই নজির স্থাপন করেছে। এদিকে গত মাসে বিশ্বের বৃহত্তম টু-হুইলার নির্মাতা হিরো মোটোকর্প সহ টিভিএস মোটর (৩.৩%) ও বাজাজ (২২%) বিক্রিতে ঘাটতি দেখা গিয়েছে। দু’চাকার গাড়ির বিক্রিতে এই পতন গ্রামাঞ্চলের ক্রেতাদের চাহিদায় ভাটার আভাস দেয়।

যদিও এমতাবস্থায় Mahindra (২৭.২%) এবং Escorts Kubuta (১৮.৭%) আয় বৃদ্ধি তাজ্জব করার মতোই। এদিকে বাণিজ্যিক গাড়ির চাহিদাও বৃদ্ধি পেতে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি কমার্শিয়াল গাড়ির বাজারে নেতৃত্ব প্রদানকারী সংস্থা আইশার মোটরস এবং অশোক লেল্যান্ড-এর বিক্রিবাটায় যথাক্রমে ১৭.৩% ও ৪৪.৯% উত্থান ঘটেছে।