গত মাসে ব্যান হয়েছে ২৩ লক্ষ, এই কাজগুলি করলে আপনারও WhatsApp অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হবে
বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হল WhatsApp। ভারত সহ সারা বিশ্বের কোটি কোটি ইউজার প্রতিনিয়ত Meta মালিকানাধীন এই অ্যাপটি ব্যবহার করেন। সেক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষার পাশাপাশি যাবতীয় অসৎ কার্যকলাপ থেকে প্ল্যাটফর্মটিকে সুরক্ষিত রাখতে নিয়মিত একাধিক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে মার্কিনি কোম্পানিটি। আর এর জেরে প্রতি মাসেই প্রচুর সংখ্যক ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করে WhatsApp। গত মাসে প্রায় ২৩ লক্ষ ব্যবহারকারীদর অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছিল তারা। সংস্থার তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, কোনো গ্রাহক অ্যাপ ব্যবহারের শর্তাবলী লঙ্ঘন করলে তৎক্ষণাৎ তার অ্যাকাউন্টকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে। সবচেয়ে বড়ো কথা হল, WhatsApp সংশ্লিষ্ট ইউজারকে কোনো আগাম সতর্কতা না দিয়েই এই কাজটি করতে পারে, এবং কারোর অ্যাকাউন্ট ব্যান করা হলে তাকে মেইল বা নোটিফিকেশন মারফত সংস্থাটি সে খবর জানিয়ে দেয়। তবে প্ল্যাটফর্মের শর্তাবলী লঙ্ঘন করার পাশাপাশি অনেক সময় ইউজাররা নিজেদের অজান্তেই এই মেসেজিং অ্যাপটির মারফত এমন কিছু কাজ করে ফেলেন, যার জন্য কিন্তু সংস্থাটি তাদের অ্যাকাউন্টকে চিরতরের জন্য ব্যান করে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনাদের মনে এখন নিশ্চয়ই প্রশ্ন আসছে যে, কী কী কাজ করলে WhatsApp অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হতে পারে? এই প্রতিবেদনে আমরা এমনই পাঁচটি কাজের কথা আপনাদেরকে জানাতে চলেছি।
এই পাঁচটি কাজ করলেই হবে বিপদ, তৎক্ষণাৎ আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যান করবে WhatsApp
১. কোনো গ্রুপ কিংবা চ্যাটে ভুয়ো তথা মিথ্যে খবর ছড়ানো থেকে সর্বদা বিরত থাকুন। অর্থাৎ সোজা কথায় বললে, কোনো মেসেজ কাউকে সেন্ড করার আগে সেটির সত্যতা যথাযথভাবে যাচাই করে নিন। কারণ অ্যাপ মারফত অযথা ভুয়ো খবর রটালে কিন্তু অচিরেই নিষিদ্ধ হতে পারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট।
২. হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কখনও বাল্ক মেসেজ পাঠাবেন না। এর পাশাপাশি অটোমেটেড মেসেজ পাঠানোর জন্যও খবরদার এই মেসেজিং অ্যাপটি ব্যবহার করবেন না। কারণ কারা এই কাজ করছে, তা মেশিন লার্নিং টেকনোলজি ব্যবহার করে সংস্থাটি খুব সহজেই জেনে ফেলে। তাই এই দুটি কাজ করলেই আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট চিরতরের জন্য ব্যান করা হতে পারে।
৩. মেটা মালিকানাধীন ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটির নিয়ম অনুযায়ী, নিয়মিত ব্রডকাস্ট লিস্টের মাধ্যমে মেসেজ পাঠালে ইউজাররা আপনার মেসেজ সম্পর্কে রিপোর্ট করতে পারে। আর আপনার পাঠানো মেসেজকে কেন্দ্র করে একাধিকবার রিপোর্ট জমা পড়লে তৎক্ষণাৎ সংস্থাটি আপনার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করবে। তাই ভুলেও এরকম কোনো কাজ করবেন না।
৪. সংস্থার মতে, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনাকে প্ল্যাটফর্মের যাবতীয় শর্তাবলী মেনে চলার পাশাপাশি যে সকল ইউজারদের সঙ্গে আপনি চ্যাট করছেন, তাদের প্রত্যেকের বিচারধারা, গোপনীয়তা, এবং মতামতকেও সম্মান করতে হবে। তাই কোনো গ্রুপে কেউ আপনাকে অন্তর্ভুক্ত করতে না চাইলে ভুলেও অযথা জোরাজোরি করবেন না, নইলে কিন্তু ভবিষ্যতে হোয়াটসঅ্যাপের দরজা আপনার জন্য চিরতরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আবার, কোনো ব্যক্তি আপনাকে মেসেজ না করার অনুরোধ করার পরেও আপনি অনর্গল মেসেজ করা চালিয়ে গেলে অপর ব্যক্তিটি কিন্তু আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে পারে, যার জেরে অবিলম্বে ব্যান হবে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট।
৫. হোয়াটসঅ্যাপ মারফত কখনো কাউকে অবৈধ, অশ্লীল, হয়রানিমূলক, মানহানিকর, ঘৃণ্য, হুমকি বা ভয় দেখিয়ে কোনো ভীতিকর মেসেজ পাঠাবেন না। এছাড়া, এই প্ল্যাটফর্মটিতে কোনো পর্ন ক্লিপ শেয়ার করা থেকেও সর্বদা বিরত থাকুন। কারণ এই ধরনের কোনো কাজ করলে তৎক্ষণাৎ আপনার অ্যাকাউন্টটিকে ব্যান করবে হোয়াটসঅ্যাপ।