পরিবেশ দূষণে ভূগর্ভস্থ জ্বালানি চালিত যানবাহন অন্যতম দায়ী। এ থেকে নিস্তার পেতে একসময় বিকল্প জ্বালানির খোঁজ শুরু হয়েছিল। বিদ্যুতের পর যার মধ্যে অন্যতম যার মধ্যে ইথানল ও মিথানল। এতে গাড়ি চললে যেমন দূষণ ছড়ায় না, আবার এগুলি উৎপাদন করতেও কোনো জটিল প্রক্রিয়ার দ্বারস্থ হতে হয় না। হরেক শস্য ও তার বর্জ্য থেকেই ইথানল প্রস্তুত করা যায়। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari) বারংবার দেশের কৃষকদের অনুপ্রেরণা দিয়ে এসেছেন এই বলে, যদি ইথানল তৈরিতে সহায়ক এমন শস্য চাষ করে, তবে দেশের চাষীদের কাছে অর্থ উপার্জনের নতুন পথ উন্মুক্ত হবে। উল্লেখ্য, আখ, ভুট্টা এবং ধান থেকে ইথানলের মতো একাধিক বিকল্প জ্বালানি প্রস্তুত করা যায়।
সম্প্রতি গডকড়ী মন্তব্য করেছেন, বিদ্যুৎ, ইথানল, মিথানল, বায়ো-ডিজেল, বায়ো-সিএনজি, বায়ো-এলএনজি এবং হাইড্রোজেন – এগুলিই ভবিষ্যতে হয়ে উঠবে পরিবহণ ব্যবস্থার চালিকাশক্তি। তাঁর কথায়, “আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে আখ, ভুট্টা এবং ধান উৎপাদন হয়। যা ব্যবহারের পরেও অবশিষ্ট থাকে। তাই বিকল্প জ্বালানি, বিশেষত ইথানলকে বেছে নেওয়ার জন্য দেশের কাছে এটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সময়। যার রসদ জোগাবেন কৃষকরা।”
এদিন হিন্দুজা গোষ্ঠীর গাড়ি তৈরির সংস্থা অশোক লেল্যান্ডের শাখা সুইচ মোবিলিটি ভারতের প্রথম দ্বিতল ইলেকট্রিক বাতানুকূল বাস লঞ্চ করেছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বক্তৃতাকালে এই প্রসঙ্গে আলোকপাত করেন গডকড়ী। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ভারতের গাড়ি শিল্পের শেয়ার বাজারে দর ৭.৫ লক্ষ্য কোটি টাকা। ২০২৪-এর মধ্যে এর পরিমাণ দ্বিগুণ বাড়িয়ে ১৫ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছবে বলে আশাবাদী তিনি।
গডকড়ীর ধারনা, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম গাড়ির বাজার হিসেবে ভারতের আত্মপ্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি যোগ করেন, “স্ক্র্যাপেজ নীতি চালু হওয়ায় গাড়ি উৎপাদনের খরচ কমে গিয়েছে।” কারণ বিশ্ববাজার থেকে ভারত স্ক্র্যাপ উপাদান নিতে শুরু করেছে। মন্ত্রী বলেন, কেউ যদি নিজের জ্ঞানকে সম্পত্তিতে পরিণত করতে পারেন, তবে বর্জ্যকেও সম্পত্তিতে রূপান্তরিত করা সম্ভব।