HomeAutomobileবড় সিদ্ধান্ত বাজাজের, নাম পাল্টে Pulsar NS400Z হয়ে যাচ্ছে Dominar NS400Z

বড় সিদ্ধান্ত বাজাজের, নাম পাল্টে Pulsar NS400Z হয়ে যাচ্ছে Dominar NS400Z

Bajaj Pulsar NS400Z দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে চলতি মাসের শুরুতেই ভারতে লঞ্চ হয়েছে। সংস্থার ফ্ল্যাগশিপ মডেল হিসেবে এসেছে এটি। বিদেশেও পালসার যে কতটা জনপ্রিয় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে ভারতে মুক্তি পাওয়ার ক’সপ্তাহের মধ্যেই বাইকটি অন্যান্য দেশে পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে বাজাজ। লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা, ইউরোপ এবং আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি সহ আন্তর্জাতিক বাজারে বাইকটি লঞ্চ করবে বলে নিশ্চিত করেছে বাজাজ অটো (Bajaj Auto)। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, Bajaj Pulsar NS400Z ব্রাজিলে ভিন্ন নামে পদার্পণ করতে চলেছে।

Bajaj Pulsar NS400Z ব্রাজিলে Bajaj Dominar NS400Z নামে বিক্রি হবে

বাজাজ অটো’র কার্যনির্বাহী আধিকারিক রাকেশ শর্মা জানিয়েছেন, Bajaj Pulsar NS400Z ব্রাজিলে Dominar NS400Z নামে লঞ্চ করবে। আগেও, ভারতে এই বাইক লঞ্চের ঘোষণাকালে শর্মা বলেছিলেন যে, পালসার ব্র্যান্ডের যত বাইক আসবে, ডমিনার নামেই ব্রাজিলে বিক্রি হবে। যেমন Pulsar NS160 ও Pulsar NS200 সে দেশে যথাক্রমে Dominar 160 ও Dominar 200 নামে লঞ্চ হয়েছে।

ব্রাজিলে Dominar 400-ও বিক্রি করে বাজাজ। আর সে কারণেই NS400Z নামে স্ট্রিটফাইটার বাইকটিকে আলাদা বোঝাতে সুবিধা হবে বাজাজের। স্থানীয় কপিরাইট আইনের উপর নির্ভর করে কোম্পানি বিভিন্ন দেশের বাজারে প্রোডাক্টের নাম পরিবর্তন করে থাকে। ব্রাজিলের বাজারে বাজাজ, পালসার ব্র্যান্ডের মডেলগুলিকে ডমিনার হিসেবে বিক্রি করলেও মালয়েশিয়া’তে Modenas মডেল হিসাবে ক্রেতাদের হাতে তুলে দেয়। Modenas হচ্ছে মালয়েশিয়া’তে বাজাজের লোকাল পার্টনার। তারাই এই বাইকের অ্যাসেম্বল করে থাকে।

ব্রাজিলে মোটরসাইকেল বিক্রির জন্য স্থানীয় কিছু বিধিতে পরিবর্তন ছাড়া Bajaj Pulsar রেঞ্জের মডেলগুলি ভারতীয় ভার্সনের সাথে সমান বৈশিষ্ট্য যুক্ত। নতুন Bajaj Pulsar NS400Z-এ থাকছে Dominar 400-এর ইঞ্জিন, চ্যাসিস, গিয়ারবক্স, রিয়ারভিউ মিরর সহ আরও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ। সঙ্গে মিলবে নতুন রিয়ার সাবফ্রেম, নয়া সাসপেনশন এবং ব্রেকিং সেটআপ, নতুন এলসিডি কন্ট্রোল সহ আরও অন্যান্য নতুন ফিচার্স।

Bajaj Pulsar NS400Z-এ বিশেষ ফিচার্সের তালিকায় উপস্থিত বিভিন্ন রাইডিং মোড – স্পোর্ট, রোড, রেইন এবং অফ রোড। এছাড়া রয়েছে সুইচেবল ট্রাকশন কন্ট্রোল, ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি সমেত টার্ন বাই টার্ন নেভিগেশন। বাইকটির ৩৭৩ সিসি, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, লিকুইড কুল্ড মোটর থেকে সর্বোচ্চ ৩৯ বিএইচপি শক্তি এবং ৩৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। ৬-গতির গিয়ারবক্সের সাথে আছে স্লিপ ও অ্যাসিস্ট ক্লাচ। সবচেয়ে সস্তার ৪০০ সিসির এই বাইকের এক্স-শোরুম মূল্য ভারতে ১.৮৫ লাখ টাকা রাখা হয়েছে।

RELATED ARTICLES

আরও পড়ুন