7.98 লাখে MG Comet EV কিনলে কি লাভ? ভাল-খারাপ দিকগুলি জেনে নিন

Avatar

Published on:

MG Comet EV pros & cons

চলতি সপ্তাহেই ভারতের বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে নতুন সদস্য হিসেবে পদার্পণ করেছে MG Comet EV। জন্মলগ্নে ব্রিটিশ সংস্থা এমজি মোটর (MG Motor)-এর এই গাড়িটি আবার দেশের সবচেয়ে সস্তার ইলেকট্রিক মডেলের তকমা জিতে নিয়েছে। এর দাম ৭.৯৮ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)। এখন বিষয় হচ্ছে, দাম কম হলেও প্রায় ৮ লক্ষ টাকা দিয়ে এই গাড়িটি কেনা কতটা যুক্তিযুক্ত হবে। এই প্রতিবেদনে Comet EV-র ভাল ও খারাপ দিকগুলি তুলে ধরা হল।

MG Comet EV কেনার সুবিধা

  • সত্যি বলতে উপরিউক্ত মূল্যে বর্তমান দিনে একটি বৈদ্যুতিক গাড়ি পাওয়া দুষ্কর।
  • আল্ট্রা-কম্প্যাক্ট সাইজ, হালকা স্টেয়ারিং এবং ছোট টার্নিং রেডিয়াস – যানজটপূর্ণ রাস্তাতে চলার জন্য আদর্শ।
  • এমন একটি হ্যাচব্যাক যা চিপ ফিল করাবে না।
  • বাস্তব দুনিয়াতে ১৫০-১৬০ কিমি রেঞ্জ, শহরের রাস্তায় চলার জন্য আদর্শ হিসেবে ধরা হয়।
  • ড্রাইভিংয়ের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে অ্যাডজাস্টেবল ড্রাইভিং মোড এবং সিলেক্টবল রিজেন ব্রেকিং খুবই কার্যকর।
  • শূন্য নির্গমন ও চলার কম খরচের কারণে কম সময়েই ব্যবহারকারীর ভালোবাসা অর্জন করবে।
  • কেবিনে চারজন একসাথে বসে শহরের রাস্তায় আরামদায়ক ভ্রমণের স্বাদ নেওয়া যাবে।
  • ওয়্যারলেস অ্যান্ড্রয়েড অটো এবং অ্যাপেল কারপ্লে যুক্ত ১০.২৫ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন, ডিজিটাল কি শেয়ারিং ইত্যাদি থাকার কারণে আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা মিলবে।
  • উন্নত ফিচার হিসেবে রয়েছে এলইডি হেডল্যাম্প, ইন্ডিরেক্ট TPMS, কিলেস এন্ট্রি, স্প্লিট ফোল্ডিং রিয়ার সিট, সেন্সর সহ রিভার্স পার্কিং ক্যামেরা ইত্যাদি।
  • নিজের গাড়িটি ইচ্ছে মত কাস্টমাইজ করা ও বিভিন্ন অ্যাক্সেসরি দ্বারা সাজানোর সুবিধার রয়েছে।

MG Comet EV কেনার অসুবিধা

  • MG Comet EV-র অদ্ভুত এবং মজার স্টাইলিং সকলের জন্য আবেদনময়ী নাও হতে পারে।
  • এই গাড়িটি যারা পাহাড়ি রাস্তায় ভ্রমণ করতে চান তাদের জন্য উপযুক্ত নয়। কেবল শহরের রাস্তায় চলাচলের জন্য আদর্শ।
  • দুই দরজা বিশিষ্ট গাড়িটি চারজন যাত্রী বহনের উপযুক্ত। পাঁচ জন নয়।
  • ৪১ বিএইচপি মোটর থেকে ড্রাইভিংয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ পারফরম্যান্স আশা করা যায় না।
  • এটি যে কোন বাড়িতে দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় তম গাড়ি হিসেবে ব্যবহারের উপযোগী।
  • প্রতিটি সিটের সাথে শূন্য বুট স্পেস। আবার লাগেজ বহন করতে হলে পেছনের সিট ভাঁজ করে রাখতে হবে।
  • এতে ডিসি অথবা এসি ফাস্ট চার্জিং – কোনোটিই উপলব্ধ নেই। কেবল হোম চার্জার দ্বারা ৭ ঘন্টায় সম্পূর্ণ চার্জ করা যাবে।
  • অনুপস্থিত ফিচার হিসেবে রয়েছে সিট হাইট অ্যাডজাস্টমেন্ট, রিয়ার ওয়াসার এবং ওয়াইপার, স্পেয়ার হুইল।
  • এতে উপস্থিত ২-স্পিকার সাউন্ড সিস্টেম বাস্তবেই হতাশাজনক
  • গাড়িটির ১২ ইঞ্চি স্টিলের হুইল এবং ডিজাইনার কভার থাকার ফলে, কোন স্পিড ব্রেকার বা গর্তে চাকা পড়লে বিপদের আশঙ্কা রয়ে যাচ্ছে।
সঙ্গে থাকুন ➥