ঠান্ডা আমেজের মাঝেই বাজার গরম করছে এনফিল্ড, শুরু হিমালয়ান 450-র ডেলিভারি

Avatar

Published on:

Royal Enfield Himalayan 450 Delivery

কয়েক দিন আগেই ভারতে লঞ্চ হয়েছে Royal Enfield Himalayan 450। অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে এবার গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে শুরু করেছে অ্যাডভেঞ্চার বাইকটির চাবি। মোট তিনটি ভ্যারিয়েন্টে উপলব্ধ নতুন হিমালয়ান। যদিও তিনটি সংস্করণের মধ্যে মূলত রংয়ের পরিবর্তন দেখতে পাওয়া যায়। সেই অর্থে ফিচারের অদল বদল নেই বললেই চলে। অর্থাৎ বেস মডেল কিনলেই তাতে টপ মডেলের প্রায় সমস্ত অত্যাধুনিক বৈশিষ্ট্য পাওয়া যাবে। প্রারম্ভিকভাবে হিমালয়ান ৪৫০-এর দাম ২.৬৯ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ২.৮৪ লাখ টাকা পর্যন্ত গিয়েছে (এক্স শোরুম)। চলুন বাইকটির খুঁটিনাটি দেখে নেওয়া যাক।

Royal Enfield Himalayan 450: ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন

ভারতের অ্যাডভেঞ্চার বাইকের জগতের কান্ডারী হিমালয়ান এর নব্য ভার্সনে চালিকা শক্তি সরবরাহ করে একেবারে নতুন ইঞ্জিন Sherpa 450। সবচেয়ে বড় কথা রয়্যাল এনফিল্ডের ইতিহাসে প্রথম লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন এটি। যা ৮০০০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ৩৯.৫ বিএইচপি এবং ৫৫০০ আরপিএম গতিতে সর্বাধিক ৪০ এনএম টর্ক জেনারেট করতে পারে। সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করছে সিক্স স্পিড গিয়ারবক্স এবং স্লিপার ক্লাচ।

ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশনে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাইড-বাই-ওয়্যার প্রযুক্তি। এর ফলে বাইকের থ্রটেল রেসপন্স আলাদা মাত্রায় পৌঁছবে। থাকছে দুই ধরনের রাইডিং মোড- পারফরম্যান্স এবং ইকো। এই দুই রাইডিং মোডের মধ্যে থ্রটেল রেসপন্সের পার্থক্য লক্ষ্য করা যাবে।

Royal Enfield Himalayan 450: ইলেকট্রিক্যাল ফিচার

তাদের প্রথম বাইক হিসেবে নতুন প্রজন্মের হিমালয়ানে সম্পূর্ণ ডিজিটাল টিএফটি ডিসপ্লে ব্যবহার করেছে রয়্যাল এনফিল্ড। ব্লুটুথের মাধ্যমে মোবাইলের সঙ্গে যুক্ত অবস্থায় স্মার্টফোনের নোটিফিকেশন এমনকি ম্যাপের সাহায্যে জিপিএস নেভিগেশন এই স্ক্রিনে দেখতে পাওয়া যাবে। স্ক্রিনের সমস্ত তথ্য নিজের পছন্দমত পরিচালনা করার জন্য হ্যান্ডেলের সঙ্গে যুক্ত থাকছে একটি জয়স্টিক। বাইকটির সর্বত্রই এলইডি লাইটের ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়।

Royal Enfield Himalayan 450: সাসপেনশন ও ব্রেক

রয়্যাল এনফিল্ড হিমালয়ান ৪৫০ সম্পূর্ণ নতুন ধরনের টুইন স্পার টিউবুলার ফ্রেম এর উপর তৈরি। উঁচু-নিচু রাস্তায় সাসপেনশনের দায়িত্ব সামলাতে সামনের দিকে ৪৩ মিমি ইউএসডি ফর্ক এবং পিছনে থাকছে মনোশক অ্যাবজর্ভার। ব্রেকিং সিস্টেমের মধ্যে উভয় চাকাতেই ডিস্ক ব্রেক বিদ্যমান। সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড হিসাবে থাকছে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস। তবে প্রয়োজনে পিছনের চাকার এবিএস বন্ধ রাখা যাবে।

হিমালয়ানের সামনের দিকে ২১ ইঞ্চির চাকা থাকলেও পিছনের দিকের চাকার ব্যাস ১৭ ইঞ্চি। উভয়দিকেই স্পোক যুক্ত চাকা ব্যবহার করা হলেও আন্তর্জাতিক সংস্করণে টিউবলেস টায়ার দেখতে পাওয়া যায়। অতি দ্রুত ভারতের বাজারেও এমন স্পোক যুক্ত টিউবলেস টায়ার আনতে চলেছে রয়্যাল এনফিল্ড।

সঙ্গে থাকুন ➥