গিরগিটির থেকেও দ্রুত রং পাল্টায় এই গাড়ি, পরিচয় করে নিন BMW i Vison Dee এর সঙ্গে

Avatar

Updated on:

BMW i Vison Dee car changes colour like chameleon

দেখতে দেখতেই এই নতুন বছরের দুই মাস পেরিয়ে হোলির উৎসব আগত আমাদের দেশে। দুই দিনব্যাপী এই রঙের উৎসবে একাকার হয়ে যায় দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র। মিষ্টি বিতরণ কিংবা বসন্তের রঙে অন্যকে রাঙানো সবকিছু মিলিয়ে এই দোল পূর্ণিমা যেন এক অন্য মাত্রা পায়। এমনই হোলির আবহকে স্মরণে রেখে ২০২৩ এর শুরুতেই BMW তাদের এক নতুন গাড়ির কনসেপ্ট প্রদর্শন করেছে। সাধারণত রং পরিবর্তনের জন্য গিরগিটি বিখ্যাত হলেও তার থেকেও দ্রুত রং বদলাবে এই সংস্থার তৈরি চার চাকা মডেল i Vison Dee।

জার্মানির সংস্থাটির তৈরি i Vison Dee কনসেপ্ট গাড়িটি আপনার মনের অবস্থা এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে তার বহিরঙ্গের রং নিজে থেকেই পরিবর্তন করতে সক্ষম। মধ্যবর্তী চেহারার এই ইলেকট্রিক স্পোর্টস সেডান গাড়িটি বিশ্বের প্রথম “কালার চেঞ্জিং কার” এর তকমা পেয়েছে। গাড়িটির নামের শেষ অংশে ব্যবহৃত “Dee” শব্দটির সম্পূর্ণ অংশ হলো- “ডিজিটাল ইমোশনাল এক্সপেরিয়েন্স”।

বিএমডব্লিউ জানিয়েছে যে তাদের এই গাড়িটির বাইরের অংশ ৩২টি আলাদা রঙ ধারণ করতে পারে যা এই মুহূর্তে এমন বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন একটি মাত্র গাড়ি বলেই বিবেচিত। এর সারা গায়ে থাকা আলাদা ২৪০ টি প্যানেল সেগমেন্টের উপর ভর করেই এমন মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ ক্ষমতার প্রয়োগ করা সম্ভব হয়েছে। তবে সংস্থার তৈরি আরো একটি রং পরিবর্তনকারী গাড়ি দেখেছিল এই বিশ্ব তবে সেখানে শুধুমাত্র কালো, সাদা এবং গ্রে এই তিনটি রংয়ে সীমাবদ্ধ ছিল।

যদিও এক্ষেত্রে অন্যান্য বহু কনসেপ্ট গাড়ির মতোই এই গাড়িটির প্রোডাকশন ভার্সন আসতে অনেকটাই সময় লাগতে পারে। এর অন্যতম বড় কারণ হলো প্রতিনিয়ত সূর্যের তাপ, ধুলোকণা এবং গাড়ির বাইরের অংশ ধোয়ার ফলে বিশেষ বডি প্যানেলগুলি দীর্ঘদিন পর্যন্ত সচল থাকা মুশকিল। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে তারা জানিয়েছে, “এখানে অসংখ্য প্যাটার্নের সমাবেশ তৈরি করা হয়েছে যা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই পরিবর্তিত হবে।” এমনকি গাড়িটির এই বিশেষ আলোর প্রদর্শনীকে তারা “রংয়ের ম্যাজিক্যাল ডিসপ্লে” বলে আখ্যায়িত করেছে।

কিভাবে তৈরি হলো এই বিশেষ স্কিন?

নিশ্চয়ই এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে আপনার মনে। E-ink নামের এক স্টার্টআপ সংস্থা ইলেকট্রনিক পেপারের সাহায্যে গাড়িটির এমন এক্সটেরিয়র স্কিন তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে। এই সংস্থা বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক গেজেট এবং মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে তৈরি করে থাকে। এমন ইলেকট্রনিক্স পেপারের মধ্যে রয়েছে কয়েক লক্ষ বিভিন্ন ধরনের রঙের পিগমেন্ট সৃষ্টিকারী মাইক্রোক্যাপসুল। তাই যখনই এর মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় তখনই নানা রকম রংয়ের খেলা দেখতে পাওয়া যায় এতে। এমনকি E-ink এর দাবি অনুযায়ী এই রং এর পরিবর্তন করতে প্রয়োজন অত্যন্ত কম পরিমাণ বিদ্যুৎ শক্তি। তাই এর ফলে গাড়ির ব্যাটারি থাকবে অক্ষুণ্য।

সঙ্গে থাকুন ➥