Look Who Died: প্রতারণার জাল বিছানো হচ্ছে Facebook-এ, এই মেসেজ পেলেই সাবধান হোন

Avatar

Published on:

Facebook Look Who Died Scam

Facebook বর্তমান বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিন এর ব্যবহার করে থাকে। আর তাই প্রতারকরা এখন ফেসবুকের মাধ্যমেও শুরু করেছে নানান প্রতারণা। সম্প্রতি যেমন অস্ট্রেলিয়ায় Facebook এর মাধ্যমে ‘look Who Died’ নামের একটি নতুন জালিয়াতির কথা সামনে এসেছে। আর এই জালিয়াতির ফাঁদে পা দিয়ে ইতিমধ্যেই অনেকে বিপদে পড়েছেন। এমনকি ভারতবর্ষেও এমন কিছু ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে ফেসবুকের মেসেঞ্জারে লিঙ্ক পাঠিয়ে তথ্য চুরির চেষ্টা করেছে হ্যাকাররা।

Facebook ‘look Who Died’ জালিয়াতি কীভাবে ঘটছে

ফেসবুকের নতুন এই লুক হু ডায়েড (কে মারা গেশ দেখুন) জালিয়াতিতে হ্যাকাররা প্রথমে ফেসবুকে কোন বন্ধুর ছদ্মবেশ ধারণ করে মেসেঞ্জারে একটি লিঙ্ক পাঠায়। খবরটি পড়ার জন্য ওই লিঙ্কে ক্লিক করলেই সেখানে ফেসবুক ব্যবহারকারীর নাম এবং পাসওয়ার্ড লিখতে বলা হয়। যার পরেই হ্যাক হয়ে যায় ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি। তারপর এক সফটওয়্যারের মাধ্যমে হ্যাকাররা সেই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন সংবেদনশীল তথ্য চুরি করে নেয়, অথবা সেই প্রোফাইলের সাথে যুক্ত থাকা অন্যান্য মানুষদের একইভাবে প্রতারণা করে।

এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, এই ফিশিং স্ক্যাম শুধুমাত্র ফেসবুক নয়, ইমেল বা টেক্সট মেসেজের মাধ্যমেও হতে পারে। তাই সমস্ত ক্ষেত্রেই সচেতন থাকা ভীষণ জরুরি। সেই কারণে বিশেষজ্ঞরা সন্দেহজনক কোনও লিঙ্কে ক্লিক না করার পরামর্শ দেন। এছাড়াও, ফেসবুকের এরকম কোনো মেসেজ সম্পর্কে সন্দেহ থাকলে সরাসরি সেই বন্ধুটির সঙ্গে কথা বলে তার সত্যতা যাচাই করে নিতে পারেন৷

Facebook স্ক্যামে টাকাও চুরি যেতে পারে আপনার

হ্যাকাররা ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য ব্যক্তিগত ডেটা যেমন ইমেল, ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং জন্ম তারিখ চুরি করে। পাশাপাশি ফেসবুকের সাথে সম্পর্কিত নয় এমন অনলাইন অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে তারা এই তথ্য ব্যবহারও করে৷ আর যদি অ্যাকাউন্টের সাথে ব্যাঙ্কের বিবরণ বা কোনো রকম আর্থিক তথ্য যুক্ত থাকে, তাহলে তারা টাকাও চুরি করার চেষ্টা করে।

এইরকম ফিশিং স্ক্যামগুলির দ্বারা বিশেষত আর্থিক ক্ষতিই হয়ে থাকে। অস্ট্রেলিয়ান কম্পিটিশন অ্যান্ড কনজিউমার কমিশনের স্ক্যামওয়াচের ( Australian Competition and Consumer Commission’s Scamwatch ) মতে, শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়াতেই, ২০২৩ সালে ফিশিং স্ক্যামের কারণে ১১.৫ মিলিয়ন ডলারের (১১৫ লক্ষ টাকা) বেশি খোয়া গেছে ৷ যুক্তরাজ্য, একটি রিপোর্টে বলেছে যে, প্রতি সাত মিনিটে একজন মানুষ ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে অনলাইন শপিং প্রতারণার শিকার হন। এই স্ক্যামগুলি প্রতি সপ্তাহে গ্রাহকদের ৫০০,০০০ পাউন্ডের (৫১,২৪১,১৩৭.৪৮ টাকা) বেশি ক্ষতি করে। লয়েডস ব্যাঙ্কিং গ্রুপ অনুমান করেছে যে, সমস্ত অনলাইন শপিং স্ক্যামের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি এই ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমেই হয়ে থাকে।

এই স্ক্যাম থেকে বাঁচার উপায় কি?

১) শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে, টু স্টেপ ভেরিফিকেশন অন রাখতে হবে।

৩) অনলাইনে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার সময় সতর্ক থাকতে হবে।

৪) অজানা উৎস থেকে আসা কোনো সন্দেহজনক লিঙ্কে ক্লিক করবেন না।

৫) সফ্টওয়্যার এবং ডিভাইসগুলিকে সাম্প্রতিক নিরাপত্তা প্যাচগুলির সাথে আপডেট করে রাখতে হবে।

৬) সুরক্ষিত থাকতে অনলাইন স্ক্যাম সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।

সঙ্গে থাকুন ➥