এখনই সুপারফাস্ট 5G নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে চান? মাথায় রাখুন এই তিনটি বিষয়

Avatar

Published on:

How to Get Super Fast 5G Network Service

বহুদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে, চলতি অক্টোবর মাসের শুরুতে দেশে লঞ্চ হয়েছে 5G নেটওয়ার্ক। প্রাথমিকভাবে এই নতুন পরিষেবা চালু করেছে Jio এবং Airtel, যার ফলে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতের নির্বাচিত কিছু জায়গার মানুষ হাই স্পিড ইন্টারনেট তথা উন্নত কানেক্টিভিটি উপভোগ করতে পারছেন – তাও আবার ফ্রি-তে। সেক্ষেত্রে আপনিও যদি এই মুহূর্তে পঞ্চম প্রজন্মের দুরন্ত গতির নেটওয়ার্ক পরিষেবার স্বাদ চেখে দেখতে চান, তাহলে আপনাকে কিছু জিনিস মাথায় রাখতেই হবে। নাহলে হাতের নাগালে থাকলেও, আপনার কোনো কাজে আসবেনা 5G! এখন নিশ্চয় আপনার মনে প্রশ্ন আসছে যে, 5G পরিষেবা পেতে ঠিক কী কী বিষয় খেয়াল রাখতে হবে? তাহলে আসুন চটপট এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জেনে নিই।

এই শহরগুলিতে বাস করলে তবেই এখন মিলবে 5G পরিষেবা

৫জি লঞ্চ হলেও এখন সারা দেশে এর কভারেজ উপলব্ধ নয়। বর্তমানে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই এবং বারাণসীর মত চারটি শহরের মানুষ জিও ট্রু ৫জি (Jio True 5G) নেটওয়ার্কের সিগন্যাল পাচ্ছেন। অন্যদিকে এয়ারটেল ৫জি প্লাস (Airtel 5G Plus) পরিষেবা শিলিগুড়ি, মুম্বাই, দিল্লি, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোর, হায়দ্রাবাদ, নাগপুর এবং বারাণসী সার্কেলে উপলব্ধ করা হয়েছে। তাই এখন কেবল এই সমস্ত জায়গার মানুষই হাইস্পিড নেটওয়ার্ক কাজে লাগাতে পারছেন। তবে সম্প্রতি জানা গিয়েছে যে, আগামী সপ্তাহগুলিতে জিও ট্রু ৫জি পরিষেবা আহমেদাবাদ, ব্যাঙ্গালোর, চণ্ডীগড়, গান্ধীনগর, গুরুগ্রাম, হায়দ্রাবাদ, জামনগর, চেন্নাই, লখনউ এবং পুনের মত ৭টি নতুন জায়গাতেও অ্যাক্সেস করা যাবে। আবার এয়ারটেল গ্রাহকরা কলকাতা, আহমেদাবাদ, গান্ধীনগর, গুরুগ্রাম, পুনে, জামনগর এবং চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা হলে পাবেন ৫জি নেটওয়ার্ক।

হাতে অবশ্যই থাকতে হবে 5G স্মার্টফোন

মনে রাখবেন, ৫জি পরিষেবা পেতে আপনার বর্তমানে আলাদা সিম কার্ড নেওয়ার বা রিচার্জ করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু এর জন্য ৫জি সাপোর্টেড স্মার্টফোন কাছে থাকতেই হবে। সেক্ষেত্রে যদি আপনারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৫জি সিগন্যাল না পান, তবে আপনাদের স্মার্টফোনের সেটিংস (Settings) অ্যাপ খুলে ‘সিম অ্যান্ড নেটওয়ার্ক’ (Sim & Network) অপশনে যেতে হবে। এখান থেকে নির্দিষ্ট সিম ক্যারিয়ার বেছে নিয়ে ক্লিক করতে হবে ‘প্রেফার্ড নেটওয়ার্ক টাইপ’ (Preferred Network Type)-এ। এবার যদি আপনার স্মার্টফোনটি ৫জি কানেক্টিভিটি সমর্থন করে, তাহলে আপনি অন্যান্য নেটওয়ার্ক বিকল্পগুলির ঠিক পাশে তার অপশন দেখতে পাবেন। সেক্ষেত্রে ভালো সিগন্যাল পেতে আপনাকে নেটওয়ার্ক মোডটি ‘অটো’ (Auto) করে রাখতে হবে।

ফোনে থাকতেই হবে এই ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডগুলি

মনে রাখবেন যে, শুধু ৫জি সাপোর্টেড স্মার্টফোন থাকলেই কাজ খতম তা নয়। এক্ষেত্রে হ্যান্ডসেটে লো ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড, মিড ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড এবং মিলিমিটার ওয়েভ বা এমএমওয়েভ (mmWave) ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড – তিন ধরণের অপশন থাকা আবশ্যক। কারণ ভারতে এই তিনটি ব্যান্ডের মাধ্যমেই এখন ৫জি পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।

সেক্ষেত্রে বলে রাখি, লো ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডগুলি ৭০০ মেগাহার্টজ থেকে ৩৬০০ মেগাহার্টজ রেঞ্জের মধ্যে কাজ করে। উঁচু বিল্ডিং কিংবা ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকায় এন২৮ (n28) নামে পরিচিত এই ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডগুলি থেকে খুব ভালো পরিষেবা দেয়। অন্যদিকে এন৭৮ (n78) মিড ফ্রিকোয়েন্সি ব্র্যান্ডগুলির রেঞ্জ ৩৩০০ মেগাহার্টজ থেকে ৩৮০০ মেগাহার্টজ, এগুলি বিশ্বের বেশিরভাগ স্মার্টফোনে ব্যবহৃত হয়। সর্বশেষ বিকল্প অর্থাৎ এমএমওয়েভ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডগুলি ২৪.২৫ গিগাহার্টজ থেকে ২৭.৫ গিগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সির রেঞ্জের মধ্যে কাজ করে। এগুলি মূলত এন২৫৮ (n258) ব্যান্ড হিসেবে পরিচিত এবং ব্যান্ডগুলি মারফত ১০ জিবিপিএসের চাইতেও বেশি স্পিড পাওয়া যেতে পারে।

সঙ্গে থাকুন ➥