১০ হাজার টাকা পর্যন্ত অফার, iQOO 11 সবচেয়ে সস্তায় কেনার বিরাট সুযোগ এই তারিখে

Avatar

Published on:

iQOO 11 Sale Goes Live on 13 January

গতকাল অর্থাৎ ১০ই জানুয়ারি iQOO ভারতের বাজারে তাদের লেটেস্ট ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন iQOO 11 উন্মোচন করেছিল। আর আগামীকাল অর্থাৎ ১২ই জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে অ্যামাজন প্রাইম মেম্বারদের জন্য উক্ত মডেলটির ‘আর্লি অ্যাক্সেস’ সেল লাইভ হবে। যদিও সাধারণ ক্রেতাদের জন্য সেলের দ্বার ১৩ তারিখ খুলবে। তবে প্রথম সেল শুরুর ২ দিন আগেই লঞ্চ অফার সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য প্রকাশ্যে এসে গেছে, যার বিশদ আজ আমরা এই প্রতিবেদনে দেব।

প্রসঙ্গত iQOO 11 হল ভারতে আগত প্রথম Qualcomm Snapdragon 8 Gen 2 প্রসেসরের স্মার্টফোন। এছাড়া এই ডিভাইসে – ১৪৪ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের Samsung E6 AMOLED ডিসপ্লে, সর্বোচ্চ ১৬ জিবি র‌্যাম, সর্বশেষ অ্যান্ড্রয়েড ১৩ ওএস, ৫০ মেগাপিক্সেলের ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ, ভিসি লিকুইড কুলিং সিস্টেম এবং ১২০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সমর্থিত বড় ব্যাটারির মতো ফিচার পাওয়া যাবে। সর্বোপরি এটিও, পূর্বসূরির মতো লেজেন্ড ভ্যারিয়েন্টে এসেছে, যার ডিজাইন BMW Motorsport দ্বারা অনুপ্রাণিত। আর স্পেসিফিকেশনের নিরিখে ভারতীয় বাজারে বিদ্যমান – iPhone 13, OnePlus 10 Pro, Samsung Galaxy S22, Google Pixel 7, এবং Vivo X80 ফোনগুলি iQOO 11 -এর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। চলুন এবার সদ্য লঞ্চের মুখ দেখা iQOO 11 স্মার্টফোনের দাম, লঞ্চ অফার এবং স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে খুঁটিনাটি জেনে নেওয়া যাক…

ভারতে আইকো ১১ -এর দাম ও লঞ্চ অফার (iQOO 11 Price and Launch Offers in India)

ভারতে আইকো ১১ স্মার্টফোনকে দুটি স্টোরেজ কনফিগারেশনে নিয়ে আসা হয়েছে। যার মধ্যে ৮ জিবি র‌্যাম ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজ অপশনের দাম ৫৯,৯৯৯ টাকা ধার্য করা হয়েছে। আর ১৬ জিবি র‌্যাম ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজ যুক্ত হাই-এন্ড অপশনের দাম রাখা হয়েছে ৬৪,৯৯৯ টাকা। উভয় স্টোরেজ অপশনকেই – আলফা (গ্লাস ব্যাক) কালার বিকল্পে পাওয়া যাবে। আবার উক্ত ফোনের একটি লেজেন্ড (সিলিকন লেদার) ভ্যারিয়েন্টও পাওয়া যাবে, যা BMW Motorsport দ্বারা অনুপ্রাণিত। এই বিকল্পটিকে শুধুমাত্র ১৬ জিবি র‌্যাম ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজ কনফিগারেশনে পাওয়া যাবে, যার দাম থাকছে ৬৪,৯৯৯ টাকা।।

সদ্য আগত আইকো ১১ মডেলটিকে আগামী ১৩ই জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে ই-কমার্স সাইট অ্যামাজন ইন্ডিয়া এবং সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (iQOO.com) -এর মাধ্যমে পাওয়া যাবে। যদিও আগামীকাল অর্থাৎ ১২ই জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে অ্যামাজনের প্রাইম মেম্বাররা ফোনটির আর্লি সেলের অ্যাক্সেস পেয়ে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে প্রথম সেলের অংশ হিসাবে প্রযোজ্য যাবতীয় লঞ্চ অফারের ফায়দা প্রাইম মেম্বাররাও তুলতে পারবেন। অফার বিশদ নিম্নরূপ –

লঞ্চ অফার হিসাবে, HDFC এবং ICICI ব্যাঙ্কের ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে পেমেন্ট করলে ফ্লাট ৫,০০০ টাকা ইনস্ট্যান্ট ডিসকাউন্ট দেওয়া হবে। আবার পুরোনো মোবাইল আপগ্রেড করার ক্ষেত্রে ৪,০০০ টাকার এক্সচেঞ্জ বোনাসও মিলবে। আর যারা আইকো ব্র্যান্ডিংয়ের ফোন আপগ্রেড করে এই নয়া ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসটি কিনবেন, তারা অতিরিক্তভাবে আরো ১,০০০ টাকা এক্সচেঞ্জ বোনাস হস্তগত করতে পারবেন।

আইকো ১১ -এর স্পেসিফিকেশন (iQOO 11 Specifications)

আইকো ১১ স্মার্টফোনে রয়েছে কর্নিং গরিলা গ্লাস ভিক্টাস দ্বারা সুরক্ষিত ৬.৭৮-ইঞ্চির ২কে (৩২০০x১৪৪০ পিক্সেল) Samsung E6 AMOLED ডিসপ্লে। এই ডিসপ্লের ডিজাইনটি পাঞ্চ-হোল স্টাইলের (কেন্দ্রীভূত) এবং এটি ১০-বিট কালার, ৫১৭ পিপিআই পিক্সেল ডেনসিটি, ১৪৪ হার্টজ রিফ্রেশ রেট (LTPO 4), এবং ৩০০ হার্টজ টাচ স্যাম্পলিং রেট (১২০০ হার্টজ ইনস্ট্যান্ট) সমর্থন করে। মাল্টিটাস্কিং ও ফাস্ট পারফরম্যান্সের জন্য উক্ত ডিভাইসটি কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২ প্রসেসর সহ এসেছে। এতে ১৬ জিবি পর্যন্ত LPDDR5x র‌্যাম এবং ২৫৬ জিবি UFS 4.0 স্টোরেজ পাওয়া যাবে। আবার অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে অ্যান্ড্রয়েড ১৩ ভিত্তিক ফানটাচ ওএস ১৩ (Funtouch OS 13) কাস্টম ইউজার ইন্টারফেস প্রিলোডেড থাকছে। সংস্থার তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে, এই লেটেস্ট স্মার্টফোনের সাথে ৩ বছরের অ্যান্ড্রয়েড আপডেট এবং ৪ বছরের সিকিউরিটি প্যাচ আপডেট দেওয়া হবে।

নবাগত iQOO 11 ফোনের ব্যাক প্যানেলে ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ রয়েছে৷ এই ক্যামেরাগুলি হল – OIS-এনাবল ৫০ মেগাপিক্সেল Samsung GN5 প্রাইমারি সেন্সর, ৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স এবং ২এক্স জুম সহ ১৩ মেগাপিক্সেল টেলিফটো শ্যুটার। আর ডিভাইসের সামনে ১৬ মেগাপিক্সেলের সেলফি স্ন্যাপার দেখা যাবে। জানিয়ে রাখি ফটোগ্রাফির মান উন্নত করতে আলোচ্য ফোনে ভিভো ভি২ (Vivo V2) চিপ ব্যবহার করা হয়েছে, যা কম আলোতেও ভালো ছবি তুলতে সক্ষম।

কানেক্টিভিটির জন্য উক্ত স্মার্টফোনে – ডুয়াল সিম স্লট, ৫জি, ওয়াই-ফাই ৬, ব্লুটুথ ভি৫.৩, GNSS, NFC, এবং ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট অন্তর্ভুক্ত। এতে – ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার সিস্টেম, একটি আইআর (IR) সেন্সর এবং অপটিক্যাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার পাওয়া যাবে। আর ওভার হিটিংয়ের সমস্যা থেকে ইউজারদের রেহাই দেওয়ার জন্য এটি ভিসি লিকুইড কুলিং সিস্টেমের সাথে এসেছে। iQOO 11 স্মার্টফোনে ৫,০০০ এমএএইচ ক্যাপাসিটির ব্যাটারি আছে, যা ১২০ ওয়াট ফাস্ট ওয়্যারড চার্জিং প্রযুক্তি সমর্থন করে।

প্রসঙ্গত, আইকো ১১ স্মার্টফোনকে দুটি কালার বিকল্পের সাথে নিয়ে আসা হয়েছে। যার মধ্যে লেজেন্ড ভ্যারিয়েন্টের পরিমাপ ১৬৪.৮৬×৭৭.০৭×৮.৭২ মিমি এবং ওজন ২০৫ গ্রাম। আর আলফা কালার অপশনের পুরুত্ব ৮.৪ মিমি এবং ওজন ২০৮ গ্রাম।

সঙ্গে থাকুন ➥