HomeMobilesস্মার্টফোনের দুনিয়া পাল্টে দেবে নতুন প্রযুক্তি, আগামী 4 বছরের মধ্যেই ঘটে যাবে...

স্মার্টফোনের দুনিয়া পাল্টে দেবে নতুন প্রযুক্তি, আগামী 4 বছরের মধ্যেই ঘটে যাবে AI বিপ্লব

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আধুনিক প্রযুক্তি শিল্পের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। বর্তমান যুগে প্রতিটি ক্ষেত্রেই এআই-এর প্রভাব ভীষণভাবে লক্ষণীয়। নিত্যনতুন এআই নির্ভর গ্যাজেটও বাজারে আসছে। আবার চিরাচরিত ইলেকট্রনিক্সকে আরও উন্নত করতে নির্মাতারা এতে এআই (AI) ফিচারও যুক্ত করছেন। ইদানিং শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন প্রস্তুতকারকরা তাদের ডিভাইসে এআই-কে ইন্টিগ্রেট করতে শুরু করেছেন এবং এগুলি ক্রেতাদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছে। এখন এক সুপরিচিত বাজার গবেষণা সংস্থা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা মেজর এআই ক্ষমতা সহ স্মার্টফোনের বর্তমান বাজার শেয়ার দেখিয়েছে এবং আগামী কয়েক বছরে এটি কীভাবে পরিবর্তিত হবে তার ভবিষ্যদ্বাণী করেছে।

স্মার্টফোন নির্মাতারা AI-সক্ষম ফোনের ওপর বেশি জোর দিচ্ছে

মার্কেট রিসার্চ ফার্ম ক্যানালিস (Canalys) তাদের রিপোর্টে প্রকাশ করেছে যে, বর্তমানে বিশ্ববাজারে লঞ্চ হওয়া স্মার্টফোনগুলির ১৬% ইতিমধ্যেই অন্তত কিছু প্রকারের এআই ক্ষমতাকে ইন্টিগ্রেট করেছে এবং এটি ২০২৮ সালের মধ্যে ৫৪%-এ পৌঁছে যাবে বলে জানা গেছে৷ শিল্প বিশ্লেষকরা বলেছেন যে, এআই সক্ষমতা যুক্ত স্মার্টফোনের বাজার ২০২৩ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে ৬৩% চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পাবে। এটি এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং এজ-টু-এজ প্রসেসিংয়ের মতো উন্নত বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য গ্রাহকদের চাহিদা দ্বারা পরিচালিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মার্কেট রিসার্চ ফার্ম ক্যানালিস আশা করে যে, এই পরিবর্তনটি প্রথমে ফ্ল্যাগশিপ মডেলগুলিতে প্রদর্শিত হবে। বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তাই অন-ডিভাইস মডেলগুলি শুধুমাত্র হাই-এন্ড ডিভাইসে চলতে পারে। তবে, মডেলগুলি সময়ের সাথে আরও দক্ষ হবে এবং মিড-রেঞ্জ বিভাগে ধীরে ধীরে প্রসারিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মার্কেট রিসার্চ ফার্মের মতে, এআই প্রযুক্তির দ্বারা চালিত জেনারেটিভ এআই ক্ষমতা সহ ফোনের রূপান্তরমূলক সম্ভাবনা স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রির জন্য এক নতুন যুগের সূচনা করবে। আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরে, এআই সংযোজন ইউজার এক্সপেরিয়েন্স উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। মটোরোলার প্রেসিডেন্ট এবং লেনোভো মোবাইল বিজনেসের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, সার্জিও বুনিয়াক, মোটোরোলার স্মার্টফোন বিজনেসের সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নেওয়ার সময়ও একই কথা উল্লেখ করেছেন।

গুগল (Google) এবং স্যামসাং (Samsung)-এর মতো কোম্পানিগুলি ইতিমধ্যেই তাদের সাম্প্রতিক ফ্ল্যাগশিপগুলিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ভিত্তিক একগুচ্ছ বৈশিষ্ট্যকে ইন্টিগ্রেট করেছে, যদিও, এখনও কোনও কোম্পানি ‘এআই ফোন’ বা অনুরূপ ব্র্যান্ডিংয়ের সাথে স্মার্টফোন বাজারে আনেনি৷ হুয়াওয়ে (Huawei), অনর (Honor), ওপ্পো (Oppo), শাওমি (Xiaomi) এবং ভিভো (Vivo) সহ বিভিন্ন চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা তাদের হাই-এন্ড পণ্যগুলিতে যতটা সম্ভব এআই ফিচার অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। ডিভাইসগুলিতে জেনারেটিভ এআই ক্ষমতাগুলিকে যুক্ত করার যে পদ্ধতি তারা গ্রহণ করেছে, তার মধ্যে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে ইন-হাউস চিপ তৈরি করা থেকে শুরু করে ট্রেনিং মডেল পর্যন্ত সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular