Space X: ১৪ বছরের বালককে দেখে মুগ্ধ Elon Musk, লাখ লাখ টাকার প্যাকেজে যোগ দিলেন স্পেস এক্স-এর ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে

Avatar

Published on:

Space X Joined 14 Years Software Engineer

বর্তমান যুগে অনেক বাচ্চাই বিশেষ প্রতিভা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। তার মধ্যে কিছু কিছু বাচ্চাকে বিস্ময় বালক বললেও কোন দোষ হবে না। আর এমনই এক বাচ্চার প্রতিভা দেখে অবাক হয়েছেন Starlink-এর মালিক ইলন মাস্ক (Elon Musk)। আর তিনি এতটাই মুগ্ধ হয়েছেন যে, ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরকে Space X-এ চাকরিও দিয়েছেন। যে কিশোরের কথা এতক্ষণ ধরে বলা হচ্ছে তার নাম কাইরন কাজী (Kairan Quazi), বর্তমানে সে, সর্বকনিষ্ঠ স্পেস এক্স ইঞ্জিনিয়ার। কাইরন তার লিঙ্কডইন অ্যাকাউন্ট এবং ইনস্টাগ্রামে এই কথা শেয়ার করে নিজেই সকলকে জানিয়েছেন।

এলএ টাইমস তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে যে, কাজী মাত্র ১১ বছর বয়সে কম্পিউটার সাইন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যায়ন শুরু করে এবং এই মাসেই সে শান্তা ক্লারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করতে চলেছে। উল্লেখ্য, স্পেস এক্সে চাকরি পেতে কাজীকে একটি কঠিন অথচ মজাদার ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। বর্তমানে ওই কিশোর স্পেস এক্স-এর মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করবে বলে জানা গিয়েছে।

স্টারলিঙ্কে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত কাজী

কাজী লিঙ্কডইনে লিখেছেন, তিনি এই গ্রহের সবথেকে ভালো কোম্পানির একটি অংশ হতে যাচ্ছেন এবং তিনি খুব শীঘ্রই একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে স্টারলিঙ্ক ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের সাথে কাজ শুরু করতে চলেছেন। তিনি আরো লেখেন, এটি একটি এমন কোম্পানি যারা বয়সকে বাঁধা হিসেবে না দেখে, তার বুদ্ধিমত্তাকে সম্মান জানিয়েছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, ওয়াশিংটনের রেডমন্ডে বসবাসকারী কাজী, স্পেস এক্সে কাজ করার জন্য তার মায়ের সাথে ক্যালিফোর্নিয়ার প্লেসেন্টনে স্থানান্তরিত হতে পারেন। কয়েক সপ্তাহ আগে তিনি একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বলেছিলেন যে, তিনি স্পেসএক্সে তার চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর এখন তিনি চাকরির স্বীকৃতিপত্রের একটি ছবি পোস্ট করে সফলতার কথাও তার অনুসরণকারীদের জানিয়েছেন।

ছোটবেলা থেকেই বুদ্ধিমান ছিলেন কাজী

এলএ টাইমসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, কাজী শৈশব থেকে একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। প্রতিটি নতুন জিনিস সম্পর্কে জানতে চাইতেন। তিনি মাত্র দু বছর বয়সেই কথাও বলতে শুরু করেন। অল্প বয়সেই তিনি একাধিক বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে ফেলেন। তৃতীয় শ্রেণীতে পড়াকালীন তিনি অনায়াসেই তার হোমওয়ার্ক করে ফেলতেন। সেই প্রতিভা দেখে তার পিতামাতা তাকে কমিউনিটি কলেজে ভর্তি করে দেন এবং বর্তমানে সে সর্বকনিষ্ঠ স্পেসএক্স ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করতে চলেছে।

প্রসঙ্গত, অবসর সময়ে কাজী ইতিহাস সম্পর্কিত গেম খেলন। তিনি জনপ্রিয় লেখক ফিলিপ কে ডিকের কল্পবিজ্ঞানের বই পড়তেও বেশ পছন্দ করেন। এছাড়াও, তিনি সাংবাদিক মাইকেল লুইসকে অনুসরণ করেন, যিনি ফিনান্সিয়াল ক্রাইসিস ও বিহেভিয়ার ফাইন্যান্স সম্পর্কে লিখে থাকেন।

সঙ্গে থাকুন ➥