Saturn Ring: ক্রমশ ক্ষয়ে যাচ্ছে শনির বলয়, তবে কি এবার নিজস্বতা হারিয়ে ফেলবে এই গ্রহ?

Avatar

Published on:

Saturn Could Lose Its Rings

জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং জ্যোতিষবিদ্যা, উভয়ক্ষেত্রেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শনি বা স্যাটার্ন (Saturn)। আমাদের সৌরমণ্ডলের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ শনি, এই ব্রহ্মাণ্ডের মহাজাগতিক রহস্যের মধ্যে একটিও বটে – তার কারণ এর চারপাশে পরিবেষ্টিত বলয়। বৃহস্পতির আকার, মঙ্গল গ্রহের বর্ণ এবং পৃথিবীর প্রাণবন্ততা যেমন তাদের নিজস্বতা, তেমনই নিজের চারপাশে থাকা রিংয়ের কারণে গ্রহমণ্ডলে ‘আইকনিক’ শনি। এই রিং বা বলয়ের জন্যই কখনও শনি গ্রহের মাটিতে পা রাখার সাহস পায়নি পৃথিবীর কোনো দেশের মহাকাশ বিজ্ঞান। কিন্তু খুব শীঘ্রই শনি নিজের এই বিশেষত্ব হারাতে চলেছে বলে মনে হচ্ছে, কারণ সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে ধীরে ধীরে বলয়টি যেন অদৃশ্য হয়ে পড়ছে। অনুমান করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে শনির বলয় সম্ভবত একেবারে গায়েব হয়ে যাবে!

ধূলিকণা এবং বরফ-পাথরের টুকরো দিয়ে তৈরি শনির বলয়

শনি যেমন মিথেন গ্যাসের ভাণ্ডার, তেমনই এর বলয় আসলে ধূলিকণা, কোটি কোটি ছোটো থেকে বড় খণ্ড খণ্ড পাথরের টুকরো এবং বরফের ছোট ছোট টুকরোর সম্মিলিত ঘূর্ণন অবস্থা। শনির মাধ্যাকর্ষণ বলের কারণেই এগুলি বলয় আকারে অবিরাম গ্রহের চারপাশে ঘুরে চলেছে, যার ব্যাস প্রায় ১ লক্ষ ৭৫ হাজার মাইল। তাই বছরের পর বছর টেলিস্কোপের মাধ্যমে গ্রহটির ওপর নজর রাখলেও, এখনও পর্যন্ত এই দীর্ঘ বলয় পথ অতিক্রম করে তাতে পা রাখতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। কিন্তু সেই বলয়ই এবার হারিয়ে যাচ্ছে, এর ঘনত্ব আগের থেকে অনেকটাই কমেছে বলে হালফিলে জানিয়েছেন জাপানের বিজ্ঞানীমহল।

শনি নিয়ে পর্যবেক্ষণকারী জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির গবেষক ড. জেমস ও’দোনোঘু (James O’Donoghue) একটি বিবৃতিতে বলেছেন যে, এই গ্রহের চারপাশে ঘূর্ণায়মান বরফের স্ল্যাবগুলি একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে এবং বলয়টি বেশ পাতলা হয়ে উঠছে। ঠিক কতটা দ্রুত এবং কেন এটি ক্ষয় হচ্ছে, তা জানতেই এখন তাঁরা ব্যস্ত। আর তাই, শনির বলয়টির অবস্থা ক্রমাগত ট্র্যাক করা হচ্ছে।

আপাতভাবে মনে করা হচ্ছে যে, গ্রহটির তীব্র মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণেই তার বলয় ক্ষয়ে যাচ্ছে এবং বরফের টুকরো বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ছে। সেক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া যদি চলতেই থাকে, তাহলে আগামীদিনে যদি শনির বলয় একেবারে অদৃশ্য হয়ে যাবে এবং এর চেহারায় ব্যাপক বদল আসবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই! যদিও এমনটা ঘটতে আরও কয়েকশো মিলিয়ন বছর সময় লাগবে বলে বিজ্ঞানীদের অনুমান।

সঙ্গে থাকুন ➥