Royal Enfield এর সেরা ক্রুজার বাইক কবে বাজারে আসছে? দাম কত হবে? এখানে রইল উত্তর

২০২৩-এ ভারতের বাজারে লঞ্চ হবে রয়্যাল এনফিল্ড (Royal Enfield)-এর সেরা ক্রুজার বাইক Super Meteor 650। এবছর ইতালির মিলানে অনুষ্ঠিত EICMA-তে প্রথমবারের জন্য বাইকটির ঝলক দেখিয়েছিল সংস্থা। এরপর ভারতে রয়্যাল এনফিল্ডের রাইডার ম্যানিয়া-তেও আত্মপ্রকাশ করে এটি। জানুয়ারি থেকে মোটরবাইকটি বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু হবে। যদিও লঞ্চের দিনক্ষণ সম্পর্কে অফিসিয়ালি কিছু জানানো হয়নি। এই প্রতিবেদনে Royal Enfield Super Meteor 650-এর ১০টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে আলোকপাত করা হল।

– নতুন সুপার মিটিওর ৬৫০ দুটি ভ্যারিয়েন্টে উপলব্ধ হবে – স্ট্যান্ডার্ড এবং টুরার। এদের আনুমানিক মূল্য যথাক্রমে ৩.৫ লক্ষ ও ৪ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) রাখার সম্ভাবনা। অর্থাৎ এটিই হতে চলেছে রয়্যাল এনফিল্ডের সবথেকে দামি মোটরসাইকেল।

– স্ট্যান্ডার্ড ভ্যারিয়েন্টটি অস্ট্রাল (ব্ল্যাক, ব্লু এবং গ্রীন) এবং ইন্টারস্টেলার (গ্রে এবং গ্রীন) কালার স্কিম সহ আসবে। এদিকে টুরার ভার্সনটি সেলেস্টিয়াল (রেড এবং ব্লু) কালার স্কিম সহ আসতে পারে।

– ফিচারের তালিকায় থাকবে একটি বৃহৎ উইন্ড স্ক্রিন এবং বড় পিলিয়ন পার্চ। আবার টুরার ভ্যারিয়েন্টে একটি ব্যাকরেস্টের দেখা মিলতে পারে। একটি ছোট পিলিয়ন সিট দেওয়া হতে পারে।

– Royal Enfield Super Meteor 650 হল সংস্থার তৃতীয় মডেল যেটি ৬৫০ সিসি প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে আসবে। যদিও এতে ব্যবহৃত চ্যাসিসটি সম্পূর্ণ নতুন।

– বাইকটির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা যথাক্রমে ২২৬০ মিমি ৮৯০ মিমি এবং ১১৫৫ মিমি। এর হুইলবেস এবং গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স যথাক্রমে ১৫০০ মিমি এবং ১৩৫ মিমি। ক্রুজার বাইকটির মাটি থেকে সিটের উচ্চতা মাত্র ৭৪০ মিমি। এর ওজন ২৪১ কেজি এবং ফুয়েল ট্যাঙ্ক ক্যাপাসিটি ১৫.৭ লিটার।

– রয়্যাল এনফিল্ডের নতুন বাইকটি একটি ৬৪৮ সিসি এয়ার এবং অয়েল কুল্ড, প্যারালাল টুইন ইঞ্জিন সমেত আসবে। যা থেকে ৭,২৫০ আরপিএম গতিতে ৪৭ বিএইচপি শক্তি এবং ৫,৬৫০ আরপিএম গতিতে ৫২ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। এটি ৬-স্পিড কনস্ট্যান্ট মেশ গিয়ার বক্স সহ হাজির হবে।

– ব্রেকিং সিস্টেমের দায়িত্ব সামলাতে সামনে ও পেছনে যথাক্রমে ৩২০ মিমি এবং ৩০০ মিমি ডিস্ক ব্রেক থাকছে। এতে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস দেওয়া হবে।

– রয়্যাল এনফিল্ড সুপার মিটিওর ৬৫০ হল কোম্পানির প্রথম মডেল যেটি Showa ইউএসডি ফর্ক এবং ফুল এলইডি হেডল্যাম্প সহ আসবে। আবার স্ট্যান্ডার্ড ফিচারের তালিকায় ট্রিপার নেভিগেশনের দেখা মিলতে পারে।

– ডিজাইনের প্রসঙ্গে বললে এতে গোলাকৃতি হেডল্যাম্প ও টেলল্যাম্প, টিয়ারড্রপ আকৃতির ফুয়েল ট্যাঙ্ক, এবং ইঞ্জিনের কেসিং ও হেড অংশটি ব্ল্যাক ফিনিশিং দেওয়া হতে পারে। এটি ১৯ ইঞ্চি ফ্রন্ট এবং ১৬ ইঞ্চি রিয়ার অ্যালয় হুইলের সাথে CEAT Zoom Cruz টায়ার সমেত আসবে।

– সুপার মিটিওর ৬৫০ একাধিক অ্যাক্সেসরিজের সাথে বেছে নেওয়া যাবে। যেমন – বার এন্ড মিরর, সোলো ফিনিশার, মেশিন্ড হুইল, ডিলাক্স ফুটপেগ, এলইডি ইন্ডিকেটর, টুরিং উইন্ডস্ক্রিন, টুরিং হ্যান্ডেলবার সহ আরও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য।