জীবন্ত কবর দিয়েছিল স্বামী, মহিলাকে উদ্ধার করল Apple Watch

Avatar

Published on:

Apple Watch rescue of Woman buried alive in Grave by her Husband

অ্যাপল ওয়াচ (Apple Watch) এখন শুধুমাত্র ইউজারের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখা বা দৈনন্দিন অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাক করার মধ্যে নিজের কার্যাবলী সীমাবদ্ধ রাখেনি। বরং স্বাস্থ্য সচেতনকারীর পাশাপাশি উদ্ধারকর্তার ভূমিকাও পালন করছে। পূর্বে আমরা এমন অনেক উদাহরণ পেয়েছি যেখানে টিম কুকের সংস্থার এই ওয়্যারেবলটি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী একাধিক ব্যক্তির প্রাণরক্ষা করেছে। কিন্তু সম্প্রতি যে ঘটনার দৌলতে অ্যাপল ওয়াচের নাম পুনরায় খবরের হেডলাইনে উঠে এসেছে তা একদমই আলাদা, কারণ ওয়্যারেবলটি এবার রোগ সনাক্ত করে বা আকস্মিক দুর্ঘটনার হাত থেকে ইউজারকে রক্ষা করেনি। বরং, এক ঘাতক স্বামীর দ্বারা জীবন্ত অবস্থায় কবর দেওয়া মহিলাকে উদ্ধার করে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। আসুন সম্পূর্ণ ঘটনাটি জেনে নেওয়া যাক।

জীবন্ত কবর দেওয়া মহিলাকে উদ্ধার করল Apple Watch

পূর্বেও একাধিকবার অ্যাপল ওয়াচ অনিয়মিত হৃদস্পন্দন সনাক্ত করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের জীবন বাঁচিয়েছে। এমনকি, ডিভাইসটির ‘ফল ডিটেকশন’ (fall detection) ফিচারও অসংখ্যবার মানুষের উদ্ধারে কাজে এসেছে। কিন্তু এবার, অ্যাপল ওয়াচ ওয়াশিংটনের এক মহিলাকে অতিশয় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি থেকে পালাতে সাহায্য করেছে। এক্ষেত্রে ‘ডেইলি মেইল’ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে – সুক আন (Sook An) নামের এক ৪২ বছর বয়সী মহিলাকে তার স্বামী ছুরি বিদ্ধ করে খুন করার চেষ্টা করে। তারপর, তার গলায় ডাক্ট টেপ জড়িয়ে তাকে সিয়াটলের থেকে প্রায় ৬০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত একটি জায়গায় জীবন্ত অবস্থায় কবর দেওয়া হয়েছিল।

যদিও জ্ঞান ফেরার সঙ্গে সঙ্গে সেই মহিলা স্বচেষ্টায় কবর থেকে বের হতে সক্ষম হন এবং প্রায় তৎক্ষণাৎ পরিহিত অ্যাপল ওয়াচ ব্যবহার করে ৯১১ নম্বরে ডায়াল করে পুলিশে খবর দেন। কিছু সময় পর পুলিশ বিভাগীয় কর্মকর্তারা সুককে উদ্ধার করেতে আসলে তিনি বারংবার একটা কথাই বলেছে যে, তাকে অপহরণ করা হয়েছে এবং “আমার স্বামী আমাকে মেরে ফেলতে চাইছে”।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সুক আন -কে যখন খুঁজে পাওয়া যায় তখন তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। “তার গলায়, মুখের নিচের দিকে এবং গোড়ালির চারপাশে তখনও ডাক্ট টেপ জড়ানো ছিল। এমনকি তার পা, হাত ও মাথায় গভীর ক্ষত দেখা গিয়েছিল এবং কবর দেওয়ার কারণে পোশাক ও চুল মাটিতে ভরে গিয়েছিল।”

মহিলাটি আরো জানিয়েছেন যে, তিনি অ্যাপল ওয়াচ ব্যবহার করে তার ২০ বছর বয়সী মেয়েকে একটি এমার্জেন্সি নোটিফিকেশনও পাঠিয়ে ছিলেন। কিন্তু সুকের স্বামী এই বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গেই হাতুড়ি দিয়ে তার মেয়ের স্মার্টওয়াচ ভেঙে ফেলেন।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে ইমানী মাইলস (Imani Miles) নামের এক ১২ বছর বয়সী শিশুর শরীরে বাড়তে থাকা এক বিরল ধরণের ক্যান্সার আবিষ্কার করতে সহায়তা করেছিল অ্যাপল ওয়াচ। জানা যায়, ওয়্যারেবলটি ওই তরুণীকে বারংবার অস্বাভাবিকভাবে উচ্চ হৃদস্পন্দনের বিষয়ে অবহিত করছিল। আর বারবার এরূপ নোটিফিকেশন আসতে থাকায়, মেয়েটিকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে তাকে প্রাথমিকভাবে অ্যাপেন্ডিক্সের জন্য চিকিৎসা করা হয়। তবে শীঘ্রই রিপোর্টে ধরা পরে যে, একটি টিউমার তার অ্যাপেন্ডিক্সে অবস্থিত ছিল। যার দরুন ডাক্তাররা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, ইমানী নিউরোএন্ডোক্রাইন ক্যান্সারে ভুগছিল, যা ক্যান্সারের একটি অত্যন্ত বিরল রূপ। যার পর, মেয়েটির অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল এবং এখন সে অনেকটাই সুস্থ। ফলে অ্যাপল ওয়াচ না থাকলে ১২ বছরের এই তরুণীকে জীবন-মরণ অবস্থার মুখোমুখি হতে হত।

সঙ্গে থাকুন ➥