Germany: পেট্রোল গাড়ি নিষিদ্ধ করতে তৈরি জার্মানি, তবে কম দূষণ সৃষ্টিকারী সিন্থেটিক ফুয়েলে ছাড়

ইউরোপীয় কমিশন গত বছর ঘোষণা করেছিল যে ২০৩৫ সাল থেকে ইউরোপের দেশগুলিতে ইন্টার্নাল কম্বাশান ইঞ্জিন (ICE) বা জ্বালানি তেল চালিত গাড়ি আর বিক্রয় করা যাবে না। আসলে বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ হল যানবাহন থেকে নির্গত বিষাক্ত কালো ধোঁয়া। আর সে কারণেই বিকল্প জ্বালানী চালিত গাড়ির বাড়বাড়ন্ত চাইছে বিশ্বের সকল দেশের সরকার। কিন্তু ‘অটোমোবাইল শিল্প তালুকের দেশ’ জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই নির্দেশে খানিকটা বেঁকে বসেছিল। এখন জার্মান সরকারের বক্তব্য, দেশে পেট্রল চালিত গাড়ির বিক্রয় বন্ধ করার নির্দেশ দিলেও, এই গাড়ির ইঞ্জিনের উপর নিষেধাজ্ঞা বসানো হবে না৷

কথাটা শুনতে তাজ্জব লাগার মতই! আসলে এই প্রসঙ্গে জার্মান সরকারের দাওয়াই, আইসি ইঞ্জিনগুলিকে এমনভাবে রূপান্তরিত করা হবে যাতে শুধু ‘সিন্থেটিক জ্বালানি’তে চলতে পারে৷ এখন প্রশ্ন এই ‘সিন্থেটিক জ্বালানি’ আসলে কী? এটি অবশ্যই একটি কম দূষণ সৃষ্টিকারী বিকল্প জ্বালানি। যা তরল এবং গ্যাসীয় উভয় বিকল্পেই উপলব্ধ। ‘সিনগ্যাস’ থেকে এটি তৈরি হয়। এই সিনগ্যাস আবার কার্বন মনো অক্সাইড অথবা কার্বন ডাই অক্সাইড-এর সাথে এবং হাইড্রোজেন-এর মিশ্রনে ফলে উৎপন্ন হয়।

পরিবহণ ক্ষেত্রটি থেকে নির্গত কার্বনের পরিমাণ কমানোর এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় দেশগুলির পরিবহণ মন্ত্রীবর্গ। সেখানে জার্মানির পরিবহণ মন্ত্রী ভলকার উইসিং (Volker Wissing) জানান, “সামান্য অথবা কোনরকম অদল বদল না করেই এই সিন্থেটিক ফুয়েল বর্তমানে গাড়িতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে যথেষ্ট পরিমাণে কার্বন নির্গমন কমে আসবে।”

পাশাপাশি হাইব্রিড যানবাহন প্রসঙ্গে উইসিং-এর প্রতিক্রিয়া, “বর্তমানে আমাদের দেশে পর্যাপ্ত হারে বৈদ্যুতিক যানবাহন নেই। আমাদের এটি বাড়ানোর প্রয়োজন। তাই এর মধ্যস্থতার সমাধান হিসেবে ভালো হয় যদি মানুষ হাইব্রিড প্রযুক্তির গাড়ি ব্যবহার করেন।” এ প্রসঙ্গে তাঁর পরামর্শ, সরকারের কখনোই কোনো একটি মাত্র প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়। তাঁর কথায়, “আমরা কেবলমাত্র বৈদ্যুতিক অথবা হাইড্রোজেন চালিত গাড়ির উপর ভরসা করে থাকতে পারবো না। আমাদের প্রয়োজন প্রযুক্তির বিকাশ ঘটানো।”