চিনা প্রযুক্তি ছাড়াই ভারতে চালু হতে চলেছে 5G পরিষেবা, মিললো ট্রায়ালের অনুমতি

৫জি (5G) সাপোর্ট যুক্ত স্মার্টফোন বিক্রি হওয়া শুরু হয়ে গেলেও, ৫জি পরিষেবা কবে ভারতে চালু হবে, তাই নিয়ে ধোঁয়াশার শেষ নেই। আমরা সবাই এর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছি। তবে মনে হয় না আর খুব বেশিদিন আমাদের এই নেক্সট জেনারেশন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে অপেক্ষা করতে হবে। কারণ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ভারতে ৫জি ট্রায়াল শুরু করার অনুমতি দিয়েছে টেলিকম মন্ত্রক (DoT)। টেলিকম পরিষেবা সরবরাহকারী (TSPs) Reliance Jio, Airtel, Vodafone Idea এবং রাষ্ট্রায়ত্ত MTNL- এই সংস্থাগুলিকে আগামী দিনে শহর, মফঃস্বল ও গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ৫জি ট্রায়ালের প্রস্তুতি শুরু করতে বলেছে টেলিকম মন্ত্রক। সংস্থাগুলি এর আগে ৫জি পরিষেবা শুরু করার জন্য DoT-এর কাছে আবেদন করেছিল।

তবে উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হল, DoT এই বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে যে, এই টেলিকম কোম্পানিগুলির কেউই ZTE বা Huawei-এর মতো চিনা ৫জি গিয়ার নির্মাতাদের কোনো সরঞ্জাম ব্যবহার করবে না। চিনের সঙ্গে সীমান্তে সংঘর্ষের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। টেলিকম বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত টেলিকম গিয়ার নির্মাতাদের তালিকায় রয়েছে Ericsson, Nokia, Samsung, C-DOT এবং স্বদেশী Reliance Jio। এই ঘটনা স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, আপাতত চিনা প্রযুক্তি ছাড়াই ৫জি চালু করতে চাইছে ভারত সরকার।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, এই মুহূর্তে চিনা প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে না মানে এই নয় যে, ভবিষ্যতেও ভারতের 5G রোলআউটে চিনা সংস্থাগুলি অংশ নেবে না। এই প্রসঙ্গে DoT কর্তৃক নির্ধারিত যাবতীয় নির্দেশিকা ভারতীয় টেলিকম সংস্থাগুলিকে মেনে চলতে হবে। ফলে আগামী দিনে ভারত, চিনা প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুমতি দেবে কি না তা একমাত্র সময়ই বলতে পারে।

এছাড়াও, যে সংস্থাগুলি ট্রায়ালের অনুমতি পেয়েছে, তারা মিড-ব্যান্ড এবং মিলিমিটার ওয়েভ ফ্রিকোয়েন্সিতে সংশ্লিষ্ট কার্যাবলী সম্পন্ন করবে। এর মধ্যে রয়েছে ৩.২ গিগাহার্টজ থেকে ৩.৬৭ গিগাহার্টজ ব্যান্ড (মিড-ব্যান্ড) এবং ২৪.২৫ গিগাহার্টজ থেকে ২৮.৫ গিগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সি (মিলিমিটার ওয়েভ)। টেলিকম অপারেটরদের ৭০০ গিগাহার্টজ স্পেকট্রামে এবং ৮০০ মেগাহার্টজ, ৯০০ মেগাহার্টজ, ১৮০০ মেগাহার্টজ ও ২৫০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে ৫জি ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়া হবে। এই মুহূর্তে ট্রায়ালের সময়কাল ৬ মাসের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সংস্থাগুলিকে তাদের ৫জি সরঞ্জাম সংগ্রহ এবং সেট আপের জন্য দেওয়া ২ মাসের সময়সীমা। তবে কবে থেকে পুরোদমে ভারতে ৫জি পরিষেবা পাওয়া যাবে, তা এখনও জানা যায়নি।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন