Cryptocurrency Fraud: তদন্তকারীই চোর, কোটি কোটি টাকার ক্রিপ্টোকারেন্সি হাতাল আইপিএস অফিসার

By :  SUPARNA
Update: 2022-06-08 04:36 GMT

পুনে পুলিশ দ্বারা, বহু-কোটি টাকার ডিজিটাল কারেন্সি বা ক্রিপ্টোকারেন্সি জালিয়াতির অভিযোগে একজন প্রাক্তন আইপিএস (IPS) অফিসার এবং সাইবার বিশেষজ্ঞের বিরুদ্ধে ৪,৪০০ পৃষ্ঠার একটি চার্জ-শিট বা অভিযোগপত্র দাখিল করা হল পুনের একটি আদালতে। মঙ্গলবার অর্থাৎ গতকাল এমনি একটি চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ্যে আনলেন পুলিশ বিভাগীয় এক কর্মকর্তা। তার মন্তব্য অনুসারে, চলতি বছরের মার্চ মাসে, মহারাষ্ট্র পুলিশ, এক প্রাক্তন 'ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস' বা আইপিএস অফিসার রবীন্দ্র পাটিল এবং সাইবার বিশেষজ্ঞ পঙ্কজ ঘোডেকে গ্রেপ্তার করেছিল। এই দুই ব্যক্তিকে ক্রিপ্টোকারেন্সি জালিয়াতি সংক্রান্ত মামলাগুলিকে ক্র্যাক করার জন্য পুলিশ বিভাগকে সাহায্য করতে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু, 'রক্ষকই ভক্ষক' প্রবাদটিকে সত্যি প্রমান করে, এই দুই উচ্চ-পদস্থ ব্যক্তি চুপিসারে ক্রিপ্টো-কয়েন চুরি করার কাজে লিপ্ত হন। আর তদন্তে অভিযুক্ত প্রমাণিত হওয়ার দরুন, পাটিল এবং ঘোডেকে প্রতারণামূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়ার ভিত্তিতে আটক করে পুলিশ।

ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরিতে জড়িত প্রাক্তন আইপিএস ও সাইবার বিশেষজ্ঞের বিরুদ্ধে চার্জশিট ফাইল করলো পুনে পুলিশ

এই প্রতারণামূলক ঘটনা সম্পর্কে এক পুলিশ বিভাগীয় কর্মকর্তা, "এই দু'জন ব্যক্তি বেআইনি ভাবে ডিজিটাল ওয়ালেট থেকে কোটি কোটি টাকার অর্থ তাদের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করার মাধ্যমে তদন্তকারীদের প্রতারণা করেছে" বলে অভিযোগ করেছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে, "আমরা সোমবার পুনের একটি আদালতে রবীন্দ্র পাটিল এবং পঙ্কজ ঘোড়ের বিরুদ্ধে ৪,৪০০ পৃষ্ঠার একটি চার্জশিট ফাইল করেছি," বলে জানান শিবাজিনগর সাইবার থানার পরিদর্শক অঙ্কুশ চিন্তামন।

'ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস' ওরফে আইপিএস অফিসার পোস্ট থেকে স্বেচ্ছায় অবসরপ্রাপ্ত রবীন্দ্র পাটিল এবং সাইবার 'এক্সপার্ট' পঙ্কজ ঘোড়েকে, পুনে পুলিশের পক্ষ থেকে ২০১৮ সালে নথিভুক্ত দুটি ক্রিপ্টোকারেন্সি কেসের তদন্তের দায়ভার দেওয়া হয়েছিল। এই দুই ব্যক্তিকে তদন্তের সাথে সংযুক্ত করার কারণ, এই কেসগুলি ডিজিটাল কারেন্সি সংক্রান্ত হওয়ায়, তা 'টেকনিকাল ইস্যু' -এর অধীনে পড়েছিল। এক্ষেত্রে, পুলিশ বিভাগের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, তদন্ত চলাকালীন পাটিল তার নিজস্ব অ্যাকাউন্টে কিছু ক্রিপ্টোকারেন্সি স্থানান্তর করেছিলেন এবং ঘোডে এই ডিজিটাল কারেন্সির পরিসংখ্যানগুলি হেরফের করে পুলিশকে অ্যাকাউন্টগুলির স্ক্রিনশট সরবরাহ করেছিলেন।

যদিও এই বেআইনি কার্যকলাপ বেশিদিন চালাতে সক্ষম হননি রবীন্দ্র ও পঙ্কজ। কেননা, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত তদন্তে, পাটিল এবং ঘোডের জালিয়াতি উন্মোচিত হয়ে যায়। তদুপরি, অর্থ স্থানান্তরের এই পুরো ঘটনাকে বাস্তবায়িত করার জন্য , দু'জনেই তাদের সুবিধা ও প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের (টেকনিকাল অ্যানালাইসিস) জন্য পুলিশের দেওয়া তথ্য ব্যবহার করেছিল বলেও জানা গেছে।

রিপোর্ট আরও বলা হয়েছে, ঘোডে অ্যাকাউন্টের স্ক্রিনশটগুলিকে কৌশলের সাথে এডিট করার মাধ্যমে ক্রিপ্টো ওয়ালেটে থাকা অর্থের পরিমাণ কম দেখিয়েছিল এবং সেগুলিকে পুলিশের কাছে জমা করেছিল।

Tags:    

Similar News