Hyundai Santro: বিক্রিতে ভাটা, বাজার থেকে বিদায় নিল হুন্ডাইয়ের সবচেয়ে সস্তা গাড়ি
একসময়কার মধ্যবিত্তের গ্যারেজ রোশনাইতে ভরিয়ে তোলা Hyundai Santro গাড়ির চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার দুঃসংবাদ এল। ১৯৯৮ সালে এই এন্ট্রি-লেভেল গাড়িটির হাত ধরেই ভারতে পথ চলা সুগম হয়েছিল সংস্থার। লঞ্চ হওয়ার পর রাতারাতি একটি বৃহত্তর শ্রেণীর মানুষের পথ চলার অতিপ্রিয় সঙ্গী হয়ে ওঠে Hyundai Santro। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। নিজের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে ক্রমশই মুগ্ধ করেছে প্রস্তুতকারী সংস্থাকে। কিন্তু কয়েকটি নির্দিষ্ট কারণে ভারতে Santro-র পথচলা চিরদিনের জন্য স্তব্ধ হতে চলেছে। কী সেই কারণ?
জানা গিয়েছে, প্রধানত বাজারে চাহিদা কমে যাওয়া এবং সরকারের নতুন ছ’টি এয়ারব্যাগ নীতির কারণে এর উৎপাদন বন্ধ করতে হচ্ছে। বিগত কয়েক মাসে স্যান্ট্রোর বিক্রি গড়ে ১,৫০০-২,০০০ এর মধ্যেই থাকছে। ফলে এটি সংস্থার সর্বনিম্ন বিক্রিত মডেলের তকমা পেয়েছে। আবার সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী এন্ট্রি লেভেল স্যান্ট্রোতে ৬টি এয়ারব্যাগ দিতে হলে দাম এতটাই বেড়ে যাবে, যে সেটি আর সস্তার মডেল থাকবে না। যে কারণে উৎপাদন বন্ধেই আস্থা রেখেছে সংস্থাটি।
স্যান্ট্রো বাজারে আসার এক বছর পর প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখা দেয় Maruti Suzuki WagonR। ধীরে ধীরে Tata Tiago ও Renault Kwid প্রতিযোগিতা করতে শুরু করে। ২০০৩-এ একাধিক আপডেট সহ নতুন ভার্সনে ও Santro Xing নামে আত্মপ্রকাশ করে গাড়িটি। ২০১৫-তে প্রথমবার গাড়িটির উৎপাদন বন্ধ করে দেয় হুন্ডাই। ২০১৮-তে প্রিমিয়াম এন্ট্রি লেভেল হিসেবে ফের প্রত্যাবর্তন করে স্যান্ট্রো। তবে নামের থেকে ‘Xing’ শব্দটা সরিয়ে দেওয়া হয়।
লঞ্চের সময় স্যান্ট্রোর দাম ছিল ৩.৯-৫.৫ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম, দিল্লি)। ক্রমে এর মূল্য বাড়তে বাড়তে বর্তমানে ৪.৯-৬.৪২ লক্ষ টাকায় পৌঁছেছে (এক্স-শোরুম, দিল্লি)। এতে উপস্থিত ৬৯ পিএস শক্তি উৎপাদনকারী ১.১ লিটার পেট্রোল ইঞ্জিন (সিএনজি বিকল্পে উপলব্ধ)। ইঞ্জিনের সাথে ৫-স্পিড ম্যানুয়াল এবং অটোমেটিক ট্রান্সমিশন সহ কেনা যায়। ৭ ইঞ্চি ইনফোটেইনমেন্ট টাচস্ক্রিন, অ্যান্ড্রয়েড অটো এবং অ্যাপেল কারপ্লে, একটি রিয়ার পার্কিং ক্যামেরা, রিয়ার এসি ভেন্টস এবং ডুয়েল ফ্রন্ট এয়ারব্যাগের দেখা মেলে স্যান্ট্রোতে। উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হলেও, শোরুমে স্টক থাকা পর্যন্ত গাড়িটি কেনা যাবে বলে খবর।