Kia Carens: দু'মাসের মধ্যে বুকিং ছাড়াল 50000, কারেন্সের হাত ধরে গাড়ির বাজারে ভিত শক্ত করছে কিয়া
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ভারতের বাজারে পা রেখেছিল Kia Carens। যদিও এর বুকিং ১৪ জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। তার দু’মাসও হয়নি। আর এরই মধ্যে Kia Carens-এর বুকিংয়ের পরিমাণ ৫০ হাজার পেরোনোর কথা ঘোষণা করল দক্ষিণ কোরিয়ান সংস্থাটি। বুকিংয়ের ৬০% এসেছে দেশের টিয়ার ১ এবং ২ শহর থেকে। আবার
এদিকে বিশ্বজুড়ে সেমিকনডাক্টর চিপের অপ্রতুলতা সত্ত্বেও গত মাসে লঞ্চ হওয়ার ১৩ দিনের মধ্যে মোট ৫,৩০০ টি Carens (কারেন্স) বিক্রয় করেছে Kia (কিয়া)। বুকিং শুরু হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে কিয়া কারেন্সের পেট্রল সংস্করণটির তুলনায় ডিজেল ভ্যারিয়েন্টের চাহিদা অধিক থাকলেও বর্তমানে তা প্রায় সমান সমান বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। অন্যদিকে অটোমেটিক ট্রান্সমিশন বিকল্পের জন্য বুকিংয়ের হার ৩০%।
এই প্রসঙ্গে Kia-র মুখ্য ব্যবসা আধিকারিক মিউং-সিক-সোহন (Myung-Sik-Sohn) বলেছেন, “সমগ্র বিশ্বে সেমিকন্ডাক্টর চিপের আকালের কারণে ভারতের অটোমোবাইল শিল্প একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে আমাদের উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটায় জোগান দিতেও সমস্যা হচ্ছে। আশা করি এ বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক থেকে চিপের অভাব মিটতে চলেছে। দ্রুত ডেলিভারি করার জন্য আমাদের অনন্তপুর কারখানাতে তৃতীয় পর্যায়ের উৎপাদন মার্চ ২০২২ থেকেই শুরু করেছি।”
প্রসঙ্গত, Kia Carens পাঁচটি ভ্যারিয়েন্টে বেছে নেওয়া যায় - প্রিমিয়াম, প্রেস্টিজ, প্রেস্টিজ প্লাস, লাক্সারি ও লাক্সারি প্লাস। এর ১.৫ লিটার ডিজেল মোটরটি থেকে ১১৩ বিএইচপি শক্তি এবং ২৫০ এনএম টর্ক পাওয়া যায়। আবার এর ১.৫ লিটার পেট্রল ইঞ্জিনটি থেকে ১১৩ বিএইচপি শক্তি এবং ১৪৪ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। অন্যদিকে ১.৪ লিটার টার্বো পেট্রল ইঞ্জিনটি থেকে ১৩৮ বিএইচপি শক্তি এবং ২৪২ এনএম টর্ক পাওয়া যায়। তিনটি ইঞ্জিনের সাথেই রয়েছে ৬-স্পিড ম্যানুয়াল/অটোমেটিক গিয়ারবক্স।