দেশীয় স্মার্টফোন কোম্পানি Lava এবার নিজেদের স্মার্টফোন ছাড়াও অন্যান্য ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন তৈরী করতে শুরু করলো। ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ফিনল্যান্ডের কোম্পানি, Nokia ভারতে তাদের স্মার্টফোনের জন্য Lava International এর সাথে হাত মিলিয়েছে। শুধু তাই নয়, রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের স্মার্টফোন উৎপাদন করার জন্য মোটোরোলাও লাভার সাথে আলোচনারত। আসলে শক্তিশালী সাপ্লাই চেন ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে ও সরকারের প্রোডাকশন লিঙ্কড ইন্সেন্টিভ স্কিমের সুবিধা নিতেই Lava এব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে বলে ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
লাভার চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর, Hari Om Rai এপ্রসঙ্গে জানিয়েছেন, 'আমাদের পরিকল্পনা আছে সেইসব কোম্পানির অংশীদার হওয়ার যারা সাপ্লাই চেন শেয়ার করবে। আমরা এখন নোকিয়া ও মোটোরোলা -র স্মার্টফোন তৈরী করবো। সমস্ত Nokia ফোন Lava দ্বারা তৈরী হবে। আমরা তাদের সাপ্লাই চেনের সাথে আমাদেরকে যুক্ত করছি। এছাড়াও আমরা এই বছরের জন্য পিএলআই লক্ষ্য পূরণ করতে সক্ষম হব। '
তবে শুধু Nokia বা Motorola নয়, লাভা জানিয়েছে ফোন তৈরীর জন্য দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিকম কোম্পানিগুলিও তাদের সাথে কথাবার্তা চালাচ্ছে। এদের মধ্যে একটি সংস্থার সাথে আলোচনা বেশ অনেকদূর এগিয়েছে বলেও তারা জানিয়েছে। জানিয়ে রাখি কয়েকমাস আগে Airtel জানিয়েছিল তারা সস্তায় 4G স্মার্টফোন আনার পরিকল্পনা করছে। ফলে লাভার বিবৃতির পর, এয়ারটেল তাদের সাথে কথা বলছে কিনা সে জল্পনাও উঠে আসছে।
প্রসঙ্গত আমদানির মাত্রা কমিয়ে দেশীয় উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ভারত সরকার এবছর প্রোডাকশন লিঙ্কড ইন্সেন্টিভ (PLI) স্কিম লঞ্চ করেছিল। এই স্কিমের জন্য মোট ষোলোটি গ্লোবাল, ডোমেস্টিক ও ইলেকট্রিক কম্পোনেন্ট নির্মাতাদের নির্বাচন করা হয়েছিল। Micromax, Padget Electronics, UTL Neolyncs, Optiemus Electronics ছাড়াও Lava-এখন ভারত সরকারের প্রোডাকশন-লিঙ্কড ইন্সেন্টিভ (PLI) স্কিমের আওতায় আছে। ফলে এবছর কোম্পানি স্মার্টফোন তৈরীর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারলে সরকারের থেকে অনেক ইন্সেন্টিভ পাবে। সেকারণেই তারা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন তৈরী করতে চাইছে।
তবে শুধু এদেশের নয়, লাভা বিদেশের বাজারেও কনট্রাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের কাজ করে থাকে। বিদেশে তাদের ক্লায়েন্টদের মধ্যে আছে AT&T এবং General Electric-এর মতো প্রখ্যাত সংস্থা। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে লাভার ৫,২৬৯ কোটির আয়ের একটি বড়ো অংশ এই বিদেশী ক্লায়েন্টদের থেকেই এসেছে।