6G প্রযুক্তি সম্পর্কিত গবেষণায় যুগান্তকারী সাফল্যের দাবি করল এলজি ইলেকট্রনিক্স (LG Electronics)। টেরাহার্টজ স্পেকট্রাম ব্যবহার করে তারা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক দূরত্বে 6G সিগন্যাল পাঠাতে পেরেছে বলে এলজি-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে। এলজি এবং বার্লিন-স্থিত ইউরোপের সবচেয়ে বড় অ্যাপ্লায়েড রিসার্চ ল্যাব, ফ্রাউনহোফার-গেসেলশ্যাফ্ট (Fraunhoffer-Gesellschaft)-এর যৌথ উদ্যোগে চালানো গবেষণায় মিলেছে এই সাফল্য।
6G সিগন্যাল পাঠানোর রেকর্ড গড়ল LG
১৩ অগাস্ট, বার্লিনে, একে অপরের থেকে ১০০ মিটার দূরত্বে অবস্থিত দু'টি ভবনের মধ্যে সিক্স-জি ডেটা স্থানান্তরে সক্ষম হয় এলজি। এর আগে রেকর্ডটি ছিল স্যামসাং (Samsung)-এর দখলে। কয়েক মাস আগে, ১৫ মিটার দূরত্বে সিক্স-জি ডেটা ট্রান্সমিশনে সক্ষম হয়েছিল স্যামসাং।
কম রেঞ্জ ও অ্যান্টেনার রিসেপশন এবং ট্রান্সমিশনের সময় পাওয়ার হারানো - এগুলো বর্তমানে ৬জি-এর প্রদর্শনে অন্যতম বাধা। ফলে আল্ট্রা ওয়াইডব্যান্ড ফ্রিকোয়েন্সিতে স্টেবেল সিগন্যাল জেনারেট করার জন্য প্রয়োজন ছিল এক নতুন সিস্টেমের।
ফ্রাউনহোফার-গেসেলশ্যাফ্ট-এর সহায়তায় একটি নতুন পাওয়ার অ্যাম্পলিফায়ার বানাতে সক্ষম হয় এলজি। যা টেরাহার্টজ স্পেকট্রামে স্টেবেল বা স্থিতিশীল সিগন্যাল ডেলিভারি করবে বলেই ধারণা করা হয়েছিল। বাস্তবেও তাই দেখা গেল। এলজি-র দাবি, পাওয়ার অ্যাম্পলিফায়ারটি ১৫৫-১৭৫ হার্টজ ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জের মধ্যে স্টেবেল কমিউনিকেশন অর্জন করতে সর্বোচ্চ ১৫ ডেসিবেল-মিলিওয়াট আউটপুটের সিগন্যাল সরবরাহ করতে পারবে।
এছাড়াও, এলজি ৬জি কমিউনিকেশনের জন্য অ্যাডাপ্টিভ বিম-ফর্মিং প্রযুক্তি ও হাই-গেইন অ্যান্টেনা তৈরি করেছে। এই ধরণের সরঞ্জাম দিয়েই ৬জি নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি সম্পর্কিত গবেষণায় বাকিদের থেকে অনেকখানি এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে এলজি।
এলজি ইলেকট্রনিক্সের প্রেসিডেন্ট এবং চিফ টেকনোলজি অফিসার ডক্টর. আই.পি পার্ক বলেছেন, এই পরীক্ষায় সাফল্য প্রমাণ করে যে আমরা আসন্ন সিক্স-জি যুগে টেরাহার্টজ রেডিও স্পেকট্রামের সফল প্রয়োগের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছি।
প্রসঙ্গত, ২০২৯ সালে বাণিজ্যিকভাবে সিক্স-জি নেটওয়ার্ক চালু হতে পারে। তার আগে এরকম হাজারো পরীক্ষা কাম্য।
৬জি, ৫জি’র থেকে ৫০ গুণ বেশি দ্রুত গতিতে ডেটা ট্রান্সফার ও ১০ শতাংশ কম ল্যাটেন্সি সরবরাহ করবে বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও দাবি আর বাস্তবতার মধ্যে ফারাকটা মাথায় রাখতে হবে। আপাতত বিশ্বজুড়ে আগে ৫জি-টা ঠিকমতো চালু হোক!