অনলাইনে আর্থিক জালিয়াতির শিকার? পুলিশের সহায়তা পেতে এখনই ফোন করুন এই নম্বরে
হ্যাকারদের সৌজন্যে অনলাইন ট্রানজ্যাকশনে টাকা হাপিশ হওয়ার খবর এখনকার দিনে আর নতুন কিছু নয়। e-KYC কেলেঙ্কারি এবং এই সম্পর্কিত জালিয়াতির দরুন UPI-ভিত্তিক অ্যাপ ব্যবহার করে বা অন্যান্য আরও একাধিক উপায়ে সাধারণ মানুষের টাকা হারানোর ঘটনা দেশে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এই জাতীয় ঘটনা রুখতে সম্প্রতি দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে যে, নাগরিকরা ১৫৫২৬০ নম্বরে ফোন করে এই জাতীয় জালিয়াতির কথা জানাতে পারেন। নম্বরটিতে ফোন করলেই দিল্লি পুলিশ ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সাহায্যের আশ্বাস দিচ্ছে, তবে ঠিক কীভাবে সাহায্য করা হবে সে সম্পর্কে এখনও বিশেষ কিছু জানা যায়নি। এমনকি দিল্লি পুলিশ একথাও দাবি করেছে যে, ১৫৫২৬০ নম্বরে ফোন করে তৎক্ষণাৎ জালিয়াতির ঘটনা রিপোর্ট করলে নাগরিকরা তাদের হারানো অর্থ ফেরত পেতে পারেন।
এই হেল্পলাইন নম্বরটি সিটিজেন ফিনান্সিয়াল সাইবার ফ্রড রিপোর্টিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের অংশ যা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা (Law Enforcement Agencies) এবং ব্যাঙ্ক ও আর্থিক মধ্যস্থতাকারীদের (Financial Intermediaries) একীভূত করার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। দিল্লি ছাড়াও, সাতটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের (ছত্তিশগড়, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশ) জনগণ হেল্পলাইন নম্বরটি ব্যবহার করতে পারবেন।
২০২১ সালের জুন মাসে এই পরিষেবা চালু করা হয় এবং সরকার দাবি করেছে যে, লঞ্চের পর থেকে ১৫৫২৬০ হেল্পলাইনটি প্রতারকদের হাতে পৌঁছানোর আগেই ১.৮৫ কোটি টাকারও বেশি অন্যায়ভাবে হাতিয়ে নেওয়া অর্থ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এর মধ্যে দিল্লি এবং রাজস্থানের প্রতারিতদের যথাক্রমে ৫৮ লক্ষ এবং ৫৩ লক্ষ টাকা রক্ষা করা গেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (Ministry of Home Affairs) এক বিবৃতি অনুযায়ী, এই হেল্পলাইন নম্বরের সঙ্গে সমস্ত প্রধান সরকারী ও বেসরকারী ব্যাঙ্ক যুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলি হল - স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক, ইনডাসইন্ড, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস, ইয়েস এবং কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক। এর পাশাপাশি PayTM, PhonePe, Mobikwik, Flipkart এবং Amazon-এর মতো সমস্ত মেজর ওয়ালেট এবং মার্চেন্টরাও এর সঙ্গে যুক্ত আছে।
মন্ত্রণালয় তার বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে যে, হেল্পলাইন এবং রিপোর্টিং প্ল্যাটফর্মটির এই সাফল্যের সুবাদে একাধিকবার অন্যায়ভাবে হাতিয়ে নেওয়া অর্থ হ্যাকারদের কাছে পৌঁছাবার আগেই আটকানো সম্ভব হয়েছে। এমনকি হ্যাকাররা বিভিন্ন রকমের কারসাজি করলেও এই সার্ভিস তাদেরকে জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে। অর্থাৎ খুব স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যাচ্ছে যে, এই হেল্পলাইন নম্বর দ্বারা মানুষ ব্যাপকভাবে উপকৃত হচ্ছেন।