Android Smartphone-এ কাজে লাগান এই 8 টিপস, সারাদিন ব্যবহারেও চার্জ শেষ হবেনা!

Avatar

Published on:

Android Smartphone Battery Improve Tips

Android Smartphone tips: আজকের এই সময় দ্রুতগতির, ইন্টারনেট ও আধুনিক প্রযুক্তির, যেখানে স্মার্টফোন (Smartphone) জীবনের একটি অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। কাজের প্রয়োজন থাক বা না থাক, হাতের মুঠোয় ফোন না থাকলে অনেকেই কার্যত স্থবির হয়ে পড়েন। কিন্তু সর্বক্ষণ ব্যবহারের ফলে স্মার্টফোনের ব্যাটারির উপর প্রভাব পড়ে। অন্যদিকে আজকালকার ফোনে একাধিক আধুনিক ফিচার থাকার কারণেও সেটির চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যায়। অনেক সময় এমনও হয় যে, প্রয়োজনের সময়েই দরকার পড়ে চার্জারের – তা সে ফোনে ৬,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি ক্যাপাসিটিই থাক না কেন। তবে স্বস্তির বিষয় এটাই যে, অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারি লাইফ বাড়ানোর এবং এক চার্জে সারাদিন কাটিয়ে দেওয়ার জন্য বেশ কিছু সহজ অথচ কার্যকর উপায় রয়েছে৷ এই প্রতিবেদনে আমরা সেগুলিই আপনাদের সাথে শেয়ার করব…

ফোনের চার্জ বাঁচাতে কাজে লাগান এই ৮টি টিপস

১. ব্রাইটনেস হ্রাস: সাধারণত যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ডিসপ্লে সবচেয়ে বেশি শক্তি খরচ করে এবং দ্রুত চার্জ কমে যাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে ব্যাটারি লাইফ বাড়াতে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ব্রাইটনেস সর্বদা কমিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। সবচেয়ে ভালো হয় অটোমেটিক ব্রাইটনেস মোডটি এনাবেল করে রাখলে, কারণ এটি পরিবেশগত অবস্থার উপর ভিত্তি করে স্ক্রিনের উজ্জ্বলতার সামঞ্জস্য রাখে এবং চার্জ বাঁচায়।

২. স্ক্রিন লক টাইম কমান: অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের স্ক্রিন বেশি সময় অন থাকলে চার্জ কমবে। তাই স্ক্রিন লকের সময়কাল যতটা সম্ভব কমিয়ে রাখুন। এতে করে ফোন নিষ্ক্রিয় থাকা অবস্থায় ডিসপ্লেও অফ থাকবে, বাঁচবে ব্যাটারি।

৩. রিফ্রেশ রেট কমান: আধুনিক স্মার্টফোনগুলিতে হাই রিফ্রেশ রেটের (পড়ুন ১৬৫ হার্টজ পর্যন্ত) ডিসপ্লে থাকে। কিন্তু বেশি রিফ্রেশ রেটে ফোন ব্যবহার করা সেটির ব্যাটারি লাইফ তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে। তাই চার্জ বাঁচাতে ৬০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটে বা অ্যাডাপ্টিভ রিফ্রেশ রেট অপশন অন রেখে ফোন চালান।

৪. ভাইব্রেশন অফ করুন: ফোনে ভাইব্রেশন মোড অন থাকলে তা বেশি শক্তি খরচ করে। তাই ব্যাটারি লাইফ ‘রক্ষা’ করার জন্য যেকোনো রকমের ভাইব্রেশন অফ করে দিন।

৫. অ্যাপ বন্ধ করুন: একসাথে একাধিক অ্যাপ খুলে রাখলে ফোনের ব্যাটারি দ্রুত ফুরিয়ে যেতে পারে। তাই শক্তি সংরক্ষণের জন্য অব্যবহৃত অ্যাপগুলি সবসময় বন্ধ রাখার করুন। এছাড়া ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপগুলি সিস্টেম রিসোর্স ব্যবহার করে, যে কারণে ব্যাটারি খরচ বৃদ্ধি পায়। তাই ব্যাকগ্রাউন্ড সেটিংসের দিকে নজর দিন।

৬. পাওয়ার-সেভিং মোড অন করুন: অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনগুলি পাওয়ার-সেভিং মোডের সাথে আসে। এই মোড কিছু সেটিংস বা অপশন সাময়িকভাবৈ বন্ধ করে এবং কিছু ক্ষেত্রে CPU-এর কার্যক্ষমতা স্কেল করে ব্যাটারির আয়ু বাড়ায়। তাই এটি ব্যবহার করতেই পারেন। তবে সবসময় এই ফিচার অন রাখাল ভালো নয়।

৭. সিঙ্ক সেটিংস: ডেটা সিঙ্ক (যেমন ইমেইল, সোশ্যাল মিডিয়া আপডেট) মোড সবসময় এনাবেল থাকলে, তার কারণে চার্জ কমতে পারে। তাই ফোনের সিঙ্ক সেটিংস সামঞ্জস্য করুন এবং এর জন্য শুধুমাত্র Wi-Fi কানেকশন ব্যবহার করুন।

৮. গাঢ় থিম বেছে নিন: ডার্ক মোড বা কালো থিম-ওয়ালপেপার স্ক্রিনের পিক্সেল বন্ধ করে ব্যাটারির আয়ু বাঁচায়। তাই এই বিষয়টিও মাথায় রাখুন।

সঙ্গে থাকুন ➥