দিনে মাত্র ১ ঘন্টা কাজ করে কোটিপতি! Google-এর কর্মীর হাঁড়ির খবর জানলে আপনিও অবাক হবেন

Updated on:

Google Software Engineer Earns RS 1 Crore Yearly

টাকা ছাড়া জীবন চলেনা। বাঁচতে গেলে এবং ভালো থাকতে হলে টাকা চাই-ই চাই। এই কারণে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ প্রত্যহ টাকা রোজগারের পেছনে ছুটছেন। যদিও এই জমানায় বেশি বেশি কাজ বা পরিশ্রম করেও স্বচ্ছন্দে থাকা যাচ্ছেনা, মানুষের আয় দিন-কে-দিন কমছে। কিন্তু ধরুন এমতাবস্থায় যদি খুব অল্প কাজেই আমি-আপনি এক বছরে কোটিপতি হয়ে যেতে পারি, তাহলে কেমন হবে? শুনতে অবাক লাগলেও এমনটা বাস্তবে সত্যিই ঘটেছে। আসলে আজকাল এমন অনেক খবর সামনে আসে যা শুনলে গল্পকথা বা স্বপ্ন মনে হয় – অনেক সময় চোখ ওঠে কপালে! ঠিক এমনই একটি খবর সম্প্রতি সামনে এসেছে, যেখানে Google-এর এক সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার দাবি করেছেন যে তিনি দিনে মাত্র এক ঘণ্টা কাজ করে প্রতি বছর ১,৫০,০০০ ডলার (ভারতীয় মূল্যে ১.২ কোটি টাকা) উপার্জন করছেন৷ ফরচুনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ডেভন নামের ওই সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সাধারণত দিনে এক ঘন্টার জন্য Google-এর হয়ে কোডিং করেন। বাকি সময়টা তিনি তাঁর নিজের স্টার্টআপে কাজে লাগান।

দিনে ১ ঘন্টা কাজ, বছরে আয় ১ কোটি, কতটা সুখের এমন চাকরি,

ফরচুনের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে যে, ওই সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার যখন কাজে যোগদান করেন ঠিক তখন থেকেই তিনি জানতেন যে, তাঁকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে না। এই চাকরির আগে তিনি গুগলে ইন্টার্নশিপ করেছিলেন, সেখানে দিনে দুই ঘণ্টারও কম কাজ করে তিনি সপ্তাহে ২,০০০ ডলার উপার্জন করেন। ইন্টার্নশিপের সময় তিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভালো কাজ করে সংস্থার গুডবুকে জায়গা করে নেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গুগলের একটি পলিসি আছে, যার কারণে সংস্থাটি তার কর্মীদের ফুল-টাইম (full time) কাজ করায়না। যদিও, সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ডেভনের কাজ দিনে এক ঘন্টার নয়। আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে যে, তিনি অল্প সময়ে মানসম্মত কাজ করেন এবং কেউ সাধারণত তাঁর ওয়ার্কিং আওয়ার ঘড়ি ধরে চেক করেনা। এর ফলে তিনি দিনের একটি ঘন্টাতেই কাজ সেরে ফেলেন। তবে কেউ তাঁর দিকে আঙ্গুল তুললে তিনি কোডের লাইনে কৌশলে দেখান যে, তিনি সারা সপ্তাহই কাজ করছেন।

তবে নির্দিষ্ট সময় অফিসে না আসার বিষয়ে তাঁর ম্যানেজার বেশ শান্ত বলে তিনি দাবি করেছেন। ডেভনের বক্তব্য অনুযায়ী, গুগল, সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে কর্মীদের জন্য রিপোর্ট করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করেছে, তবে চূড়ান্ত রিপোর্টিং ম্যানেজারের উপর নির্ভর করে। সেক্ষেত্রে তাঁর ম্যানেজারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনো আপত্তি দেখা যায়নি।

সঙ্গে থাকুন ➥