সারাবিশ্বে ৩ বিলিয়ন মানুষ ব্যবহার করেন Android ডিভাইস, পিছিয়ে Apple এর iOS

Avatar

Published on:

অ্যান্ড্রয়েড ভালো নাকি আইওএস – এ বিতর্ক নতুন নয়! এখনো পর্যন্ত এই নিয়ে ঠাট্টা-ইয়ার্কিও কম হয়নি। অনেকেই অ্যাপলের আইওএস কে এক্ষেত্রে এগিয়ে রাখেন। কিন্তু Google-এর অপারেটিং সিস্টেমটি যে কম শক্তিশালী নয় – এমনটা বহু প্রিমিয়াম ডিভাইস প্রেমী বা আইফোন ইউজারও স্বীকার করতে বাধ্য। এমনকি কিছু কিছু ফিচার সরবরাহের ক্ষেত্রে অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্ম যে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাও কোনোভাবেই দৃষ্টি এড়ায়না। এছাড়া ইউজারবেসের ক্ষেত্রেও আইওএস কে অনেকটাই পেছনে ফেলেছে অ্যান্ড্রয়েড। Google-এর সাম্প্রতিক I/O ইভেন্টে সংস্থার প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট টিমের ভাইস প্রেসিডেন্ট সমীর সামাত ঘোষণা করেছেন যে, অ্যান্ড্রয়েড, এখন সারা বিশ্বে ৩ বিলিয়নেরও বেশি সক্রিয় ডিভাইসে (শুধু ফোন নয়) উপলব্ধ। আর এই পরিসংখ্যান গোটা দুনিয়ায় সক্রিয় আইফোন ডিভাইসের সংখ্যার তিনগুণ।

রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ডেভেলপার কনফারেন্সের পর থেকে গুগল (Google) ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি সক্রিয় ডিভাইস অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করে নতুন মাইলফলক তৈরি করেছে। ২০১৭ সালে ১ বিলিয়ন সক্রিয় অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী ছিল। জানিয়ে রাখি এই হিসেব মূলত গুগল প্লে স্টোর থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে পরিগণিত হয়েছে; অর্থাৎ যে সমস্ত অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলি অন্যান্য অ্যাপ স্টোর (যেমন Amazon Fire ডিভাইস) ব্যবহার করে, তার এই হিসেবের অন্তর্ভুক্তই নয়। এমনকি, চীনের মত বড় জনঘনত্ব সম্বলিত দেশেই গুগল অ্যাপস ব্যবহৃতই হয় না। তা সত্ত্বেও সক্রিয় অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের সংখ্যা ৩ বিলিয়নেরও চেয়ে বেশি।

উল্লেখ্য, এই বছরের গোড়ার দিকেই Apple ঘোষণা করেছিল যে, বিশ্বে এখন ১ বিলিয়ন সক্রিয় আইফোন ডিভাইস রয়েছে এবং সেগুলি ঠিক মত চলছে। তাই বাজার দখলে ঠান্ডা লড়াইয়ে এই পরিসংখ্যান গুগলের জন্য অবশ্যই বড় কৃতিত্ব, যার সাহায্যে এটি আইওএস নির্মাতা অ্যাপলের (Apple) চোখে চোখ মিলিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারে।

আসলে অ্যাপলের আইফোনগুলি প্রিমিয়াম ফোন, যা বেশির ভাগ সময়েই সাধারণ ইউজারের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই বিশেষ স্মার্টফোনের জনপ্রিয়তা থাকলেও, অ্যান্ড্রয়েড এই সব মার্কেটে আধিপত্য নিয়ে ব্যবসা করছে। কারণ একাধিক নির্মাতা সংস্থা থাকার কারণে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের দাম কম, আবার বিশেষ বিশেষ সেল বা অফারের দরুন এগুলি ব্যাপক ছাড়ে কিনে ইচ্ছেমত ব্যবহার করা যায়। মাত্র ৫ হাজার টাকা ব্যয় করলেই মেলে কাজ চালানোর মত অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন। এদিকে অ্যাপল, তার সবচেয়ে সাশ্রয়ী আইফোনে (যেমন iPhone SE) ছাড় দিয়ে গ্রাহকদের প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করলেও, আগ্রহীদের নিদেনপক্ষে ২৫,০০০ টাকা ব্যয় করতে হয়। সুতরাং, খুব স্বাভাবিকভাবেই অ্যান্ড্রয়েড ফোন বেশি গ্রহণযোগ্যতা পায়।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, গুগল তার এই I/O ইভেন্টে একাধিক নতুন এবং পরিষেবা চালু করেছে। সামনে এসেছে অ্যান্ড্রয়েড ১২ অপারেটিং সিস্টেমের বিটা ভার্সনও। সব মিলিয়ে গুগল নির্মিত অ্যান্ড্রয়েডের জনপ্রিয়তা যে আগামী দিনে আরও বাড়তে চলেছে – এমনটা ধরে নেওয়াই যায়!

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সঙ্গে থাকুন ➥