এই দেশে বিক্রি বন্ধ হল iPhone 13 ও iPhone 12-এর, অন্যান্য দেশেও Apple-এর ডিভাইস হতে পারে ব্যান

Avatar

Published on:

মার্কিন টেক জায়েন্ট Apple (অ্যাপল) যে বর্তমানে তাদের পরবর্তী প্রজন্মের ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন অর্থাৎ iPhone 14 সিরিজের ডিভাইসগুলি গ্লোবাল মার্কেটে লঞ্চ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেকথা আমাদের সকলেরই জানা। আর দু মাস পরেই হয়ত এই প্রিমিয়াম হ্যান্ডসেটগুলি বাজারে পা রাখবে। তবে এর মধ্যেই একটি বড়োসড়ো ধাক্কার মুখোমুখি হল সংস্থাটি। আসলে সম্প্রতি একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে, Apple-এর জনপ্রিয় iPhone 13 (আইফোন ১৩) ও iPhone 12 (আইফোন ১২) মডেলগুলি কলম্বিয়ায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অর্থাৎ, কলম্বিয়ায় সংস্থাটি আর এই স্মার্টফোনগুলি বিক্রি করতে পারবে না, এমনই নির্দেশ দিয়েছে সেদেশের বোগোতা আদালত। কিন্তু হঠাৎ কেন এমন নির্দেশিকা জারি করা হল? কেন নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া নেমে এল Apple-এর ওপর? আসুন জেনে নিই৷

আদালতের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, অ্যাপল কলম্বিয়ায় কোনো ৫জি (5G) কানেক্টিভিটিযুক্ত ডিভাইস (যেমন – আইফোন ১৩, আইফোন ১২, কিংবা ৫জি সাপোর্টেড আইপ্যাড) বিক্রি করতে পারবে না। সংস্থাটি পেটেন্ট চুরি করেছে বলে আদালতের তরফে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, ৫জি হার্ডওয়্যার এসেন্শিয়াল পেটেন্ট চুরির অভিযোগে এপ্রিলে বোগোতার একটি আদালতে অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালে এরিকসন (Ericsson)-কে একচেটিয়াভাবে ৫জি-র স্ট্যান্ডার্ড এসেন্শিয়ালসের পেটেন্ট ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়, যা ২০৩৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৈধ থাকবে। এদিকে সেই পেটেন্টই ব্যবহার করে বসে আছে Apple। তাই সাম্প্রতিক মামলায় এরিকসনের পক্ষেই আদালত তার রায় দিয়েছে, আর এর ফলে বেশ বড়োসড়ো ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে অ্যাপল।

সেক্ষেত্রে আদালতের এই নির্দেশিকার পর অ্যাপল উল্লিখিত প্রোডাক্টগুলির নতুন স্টক ইমপোর্ট করতে কিংবা বিজ্ঞাপন দিতে পারবে না। তদুপরি, সংস্থাটি ইতিমধ্যেই জমা থাকা স্টকের প্রোডাক্টও বিক্রি করতে পারবে না বলে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে। এছাড়া, অ্যাপলকে আরও জোরদার ধাক্কা দিতে এসবের পাশাপাশি অ্যান্টিস্যুট ইঞ্জেকশনও প্রয়োগ করেছে আদালত। এর অর্থ হল, এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য টেক জায়েন্টটি বাইরের কোনো আদালতে আপিল করতে পারবে না।

তবে এই নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে Apple আদালতকে জানিয়েছে, যেহেতু 5G নেটওয়ার্ক এখনও সেদেশে উপলব্ধ নয়, তাই ওই কম্পোনেন্টগুলি তারা এখনও ব্যবহার করেনি। কিন্তু এর প্রত্যুত্তরে আদালত বলেছে যে, 5G-র ট্রায়াল আর কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে। সেক্ষেত্রে পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্ক উপলব্ধ হলে মানুষ এই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে এবং পেটেন্টের লঙ্ঘন হবে। ফলে দু-পক্ষের দ্বন্দ্বে আগামী দিনে কোথাকার জল কোথায় গড়ায় এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশেও Apple একই অবস্থার মুখে পড়ে কিনা, এখন সেটাই দেখার…

সঙ্গে থাকুন ➥