Ashok Leyland প্রাকৃতিক গ্যাস চালিত বাসের পর এবার CNG ট্রাক নিয়ে এল, 700 কিমি রেঞ্জের দাবি

Avatar

Published on:

সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ভারতের ৪২ শতাংশ মানুষ বিকল্প জ্বালানির গাড়ি কিনতে আগ্রহী। অর্থাৎ পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন সেই সকল ক্রেতারা পেট্রল-ডিজেল চালিত যানবাহন থেকে একপ্রকার মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। বিকল্প জ্বালানির যানবাহনের মধ্যে বহুল প্রচলিত বৈদ্যুতিক এবং সিএনজি চালিত গাড়ি। বাজারে চাহিদার উত্থান দেখে একে একে বহু সংস্থাই নিজেদের জ্বালানি তেলচালিত গাড়ির সিএনজি মডেল বাজারে নিয়ে আসছে। এবার দেশীয় বাণিজ্যিক গাড়ি প্রস্তুতকারী Ashok Leyland বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক গ্যাস বা সিএনজি (CNG) চালিত পণ্য পরিবহনকারী ট্রাক বাজারে হাজির করল। যার নাম E-Comet Star ICV CNG। তবে সংস্থাটি প্রায় দু’দশক আগেই প্রাকৃতিক গ্যাসে চালিত বাস নিয়ে এসেছিল। সেই বাসগুলি দিল্লির ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের অধীনে এখনও বহাল তবিয়তে দৌড়ে বেড়াচ্ছে।

দু’ধরনের ওজন বহনের ক্ষমতার বিকল্পে এসেছে সেই সিএনজি ট্রাকগুলি – ১৬.১ টন এবং ১৪.২৫ টন। আবার তিন ধরনের সিএনজি সিলিন্ডারের বিকল্পে বেছে নেওয়া যাবে এগুলি – ৩৬০/৪৮০/৫৭০ লিটার। ট্রাকের সিএনজি ট্যাঙ্কটি পরিপূর্ণ থাকলে ৭০০ কিমি রাস্তা চলা যাবে বলে জানিয়েছেন অশোক লেল্যান্ড (Ashok Leyland)-এর প্রধান (এমএইচসিভি) সঞ্জীব কুমার। তাঁর কথায়, “পরিবেশবান্ধব যানবাহনের চাহিদা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, পাশাপাশি গ্রাহকদের প্রয়োজনীয়তাও বিকশিত হচ্ছে।”

সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স (SIAM) এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে ট্রাকের মধ্যে সিএনজি চালিত লরির পরিমাণ মাত্র ১০%। বাকি ৯০% হল ডিজেল চালিত। প্রাকৃতিক গ্যাসে চালিত লরির মধ্যে সিংহভাগই আবার VECV (ভিই কমার্শিয়াল ভেহিকেলস লিমিটেড) ও Tata Motors-এর। তবে অশোক লেল্যান্ড যে খুব শীঘ্রই এই জাতীয় জ্বালানির যানবাহন আরও নিয়ে আসবে, তার আভাস দিয়েছেন সঞ্জীব কুমার। তিনি বলেছেন, “২০২২-এর মে মাসের মধ্যে আমরা ১১ টনের সিএনজি ট্রাক লঞ্চ করব।”

প্রসঙ্গত, অটো বিশ্লেষক সংস্থা এফই (FE)-র মতে, বিগত কয়েক বছরে সিএনজি গাড়ির কদর বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে দুটি প্রধান কারণ রয়েছে – প্রথমত, ছ্যাঁকা লাগানো ডিজেলের দাম। দ্বিতীয়ত, দেশে সিএনজি পাম্পের সংখ্যা বৃদ্ধি। এখানে জানিয়ে রাখি, বর্তমানে ভারতের ২৫০ টি শহরে ৩,১০০টি সিএনজি আউটলেট রয়েছে। ২০২০-২১ অর্থ বর্ষের শুরুতে যেই সংখ্যাটি ছিল ২,২০৭। এছাড়াও সংস্থার কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার বিকল্প জ্বালানির যানবাহনের চাহিদা বৃদ্ধির অপর একটি কারণের কথা উল্লেখ করেছেন, তা হল ডিজেল চালিত ট্রাকের তুলনায় সিএনজি চালিত ট্রাকের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ তুলনামূলক কম।

সঙ্গে থাকুন ➥