Blood Moon: চলতি মাসেই ‘রক্তিম চন্দ্রগ্রহণ,’ কবে, কখন, কোথায় দেখা যাবে জেনে নিন

Avatar

Published on:

প্রকৃতিপ্রেমী হন বা না হন, চাঁদ এবং চাঁদের জ্যোৎস্নার সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভালবাসেন না – এমন মানুষ ভূ-ভারতে তথা পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া ভার! আবার সেই চাঁদের গ্রহণ দেখতে উৎসুক মানুষও এই দুনিয়ায় কম নেই। সেক্ষেত্রে এই করোনা মহামারী ও মনভারী করে দেওয়া পরিস্থিতির মধ্যেই চাঁদ সংক্রান্ত এক মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ব। আসলে আগামী ২৬শে মে, বাঙালির বৈশাখী পূর্ণিমার দিন এই বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ ঘটবে বলে জানা গিয়েছে; বিজ্ঞানীরা এই ঘটনার নাম দিয়েছেন ‘রক্তিম চন্দ্রগ্রহণ’ বা ‘ব্লাড মুন একলিপ্স’। এক্ষেত্রে, ওইদিন চাঁদের পূর্ণগ্রাস গ্রহণ হবে বলে জানিয়েছে NASA (ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন)।

কী এই ‘ব্লাড মুন’ ?

এই বিশেষ চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবী থেকে চাঁদের পৃষ্ঠদেশ দেখতে লালচে বা রক্তিম বর্ণের লাগবে। আসলে এই গ্রহণে পৃথিবী, সূর্যালোককে সম্পূর্ণরূপে চাঁদে পৌঁছাতে বাধা দেবে এবং প্রতিফলিত রশ্মি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের দ্বারা প্রতিসৃত হবে। আগ্রহীরা খালি চোখেই এটি দেখতে সমর্থ হবেন, তবে দূরবীনের মাধ্যমে এই গ্রহণ দেখার অভিজ্ঞতা আরও ভাল হবে। ২০২১ সালের এই প্রথম ও শেষ ‘ব্লাড মুন’, মোট তিন ঘণ্টা স্থায়ী হবে এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ চাইলেই এটি উপভোগ করতে পারবেন। এই বছরের পর, আবার আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ‘ব্লাড মুন একলিপ্স’ দেখা যাবে।

কখন এবং বিশ্বের কোথায় দেখা যাবে এই চন্দ্রগ্রহণ?

নাসার মতে, এই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ তিন ঘন্টার বেশি স্থায়ী হলেও বিশ্ববাসীর জন্য এটি বড়জোর ১৫ মিনিটের কাছাকাছি সময় ধরে দৃশ্যমান হবে। UTC বা কো-অর্ডিনেটেড ইউনিভার্সাল টাইম অনুযায়ী সকাল ৮:৪৭-এ (ভারতীয় সময় অনুযায়ী দুপুর ২টা ৪৭ মিনিটে) গ্রহণ শুরু হবে এবং সকাল ১১:১১টা UTC (বিকাল ৪:৪১টা ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড টাইম) পূর্ণ গ্রহণ হবে। এরপর সকাল ১১:২৫টা UTC (ভারতীয় সময় অনুযায়ী বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিট) থেকে গ্রহণ ছাড়তে শুরু করবে এবং চাঁদ সম্পূর্ণ গ্রহণমুক্ত হবে দুপুর ১টা ৪৯ মিনিটে (সন্ধ্যা ৭টা ১৯)।

এই চন্দ্রগ্রহণের দৃশ্য দক্ষিণ/পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর, ভারত মহাসাগর এবং অ্যান্টার্কটিকাতে দৃশ্যমান হবে। হনলুলু, হউস্টন, লস অ্যাঞ্জেলেস, ম্যানিলা, মেলবোর্ন, সান ফ্রান্সিসকো, সেওল, সাংহাই এবং টোকিওর মত শহরগুলিতে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দৃশ্যমান হবে। আবার ব্যাংকক, শিকাগো, ঢাকা, নিউ ইয়র্ক, টরোন্টো এবং ইয়াংগুনের মতো শহরগুলিতে এটি
দৃশ্যমান হবে আংশিকভাবে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, পূর্ব ওড়িশা, মণিপুর, ত্রিপুরা, অসম এবং মেঘালয়ের মত পূর্বদিকের বিভিন্ন রাজ্যেও এই গ্রহণ দেখা যাবে, তবে তা কেবল উপচ্ছায়া বা পেনাম্ব্রাল আকারে পরিলক্ষিত হবে। ফলে ভারতবাসীরা চাঁদের লাল বর্ণ তেমন পরিষ্কারভাবে দেখতে সক্ষম হবেন না।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সঙ্গে থাকুন ➥