Smartphone Offer: স্মার্টফোন কিনলে দু-বোতল বিয়ার ফ্রি, ধামাকা অফার দিয়ে জেলে গেলেন দোকানদার

Avatar

Updated on:

Buy Smartphone Free Beer offer Shopkeepers Jail

সাধারণ দোকানদার বলুন কিংবা কোনো কোম্পানি, নিজেদের প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য প্রত্যেকেই নানাবিধ আকর্ষণীয় বিপণন কৌশল ব্যবহার করে (সোজা কথায় যাকে আমরা বলি অফার দেওয়া)। এক্ষেত্রে ক্রেতা তথা গ্রাহকবর্গকে প্রলুব্ধ করার সাধারণ এবং কার্যকরী কৌশল হল ‘একটি কিনলে একটি বিনামূল্যে’ (buy one get one free) জাতীয় অফার। কিন্তু এবার এই চক্করেই হাজতবাস জুটল এক দোকানদারের কপালে! ভাবছেন অফার দিতে গিয়ে কেন মানুষ জেলে যাবে, তাহলে কি কোনো জালিয়াতির ব্যাপার আছে? তাহলে বলব ‘না’। আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে যে, হোলি মরসুমে সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের এক দোকানদার স্মার্টফোন কিনলে বিনামূল্যে দুটি বিয়ার ক্যান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিক্রি বাড়াতে চেয়েছিলেন। আর মানুষের সুরার নেশা কীরকম বিশেষ করে উৎসবের সময়ে, সে বিষয়ে তো নতুন করে বলার কিছু নেই। ফলে ওই দোকানদারের অফারটি ক্রেতাদের কাছে এতটাই আকর্ষণীয় মনে হয় যে তারা দ্রুত সেই দোকানের বাইরে লাইন তৈরি করে। এই কৌশলে দোকানদারের আশানুরূপ বিক্রি বাড়ে ঠিকই, কিন্তু এটিই তাকে শ্রীঘরে যাওয়ার পরিস্থিতিতে ঠেলে দেয়!

ফোন কিনলেই মদ ফ্রি! অফার দিতে গিয়ে শ্রীঘরে দোকানদার

বর্তমান সময়ে সুবিধাজনক সস্তা অফারে বাড়ি বসে ফোন হাতে পাওয়ার কারণে অধিকাংশই অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে স্মার্টফোন বা অন্যান্য প্রোডাক্ট কেনেন। এর জেরে অফলাইন মার্কেটে বা সাধারণ বাজারে বিক্রি বেশ কমেছে। কিন্তু তা বলে দোকান থেকে ফোন কিনলেই মদ ফ্রি? পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউপি (UP)-র ভাদোহি জেলার রাজেশ মৌর্য নামের এক ব্যক্তি, তার চৌরি রোডে অবস্থিত মোবাইল ফোনের দোকানের বিক্রি বাড়াতে গ্রাহকদের প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে। এক্ষেত্রে রাজেশ একটি স্মার্টফোন কিনলে বিনামূল্যে দুটি বিয়ার ক্যান অফার মিলবে এমন অফারের পোস্টার এবং প্যাম্ফলেট বিজ্ঞাপন দেন।

কোতোয়ালি থানার স্টেশন হাউস অফিসার অজয় ​​কুমার শেঠের মতে, ওই দোকানদার অফারটি একচেটিয়াভাবে হোলির জন্য চালু করেছিল, যেখানে বলা হয় তার দোকান থেকে ৩রা মার্চ-৭ মার্চ দিনগুলির মধ্যে যে বা যাঁরা একটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন কিনবেন তাঁদের দুটি ফ্রি বিয়ার দেওয়া হবে। তবে গোটা বিষয়টি বেশ ভালমত প্রকাশ্যে আসার পর কোতোয়ালি থানার পুলিশ বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে এবং এই আপত্তিকর বিপণন কৌশলে বাধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এই বিষয়ে সেখানকার পুলিশ সুপার অনিল কুমার, মৌর্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

এরপর পুলিশ সেই দোকানে হানা দিয়ে তড়িঘড়ি ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করে এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫১ (জনসাধারণের শান্তি নষ্টকারী) ধারার অধীনে মৌর্যকে গ্রেপ্তার করে। এমনকি তাকে গ্রেপ্তার করার পরপর তার দোকানটি সিলও করে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।

প্রচারমূলক আইটেম নয় অ্যালকোহল

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রচারমূলক আইটেম হিসাবে অ্যালকোহল অফার করা আদতে অ্যাডভারটাইজিং স্ট্যান্ডার্ড কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (ASCI) নির্ধারিত নিয়মের লঙ্ঘন। শুধুমাত্র লাইসেন্স থাকা জায়গা বা দোকানই অ্যালকোহল সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রচার চালাতে পারে, তবে তা কোনো বিজ্ঞাপন প্রচারের অংশ হিসাবে নয়। উপরন্তু, ভারতে মদ্যপানের জন্য বৈধ বয়স ২১ বছর, তার চেয়ে বয়সের কম কাউকে অ্যালকোহল বিক্রি বা সরবরাহ করা বেআইনি।

সঙ্গে থাকুন ➥