লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারীর মোবাইল নম্বর ফাঁসের গুজব ওড়ালো Clubhouse

Avatar

Published on:

প্রযুক্তিগত ফাঁকফোকরের কারণে কোনো সংস্থার ডেটাবেস হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে এবং তার তথ্য ইন্টারনেটে ফাঁস হয়েছে – এই ঘটনা ইদানীংকালে আর কোনো নতুন ব্যাপার নয়! খুব সম্প্রতি এই তালিকায় শামিল হয়ে বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছে iOS এবং Android-এর জনপ্রিয় সোশ্যাল অডিও অ্যাপ্লিকেশন Clubhouse। যারা জানেন না তাদের বলে রাখি, এই অডিও-ওনলি অ্যাপটি কথা বলার এবং শোনার সুবিধা সহ সরাসরি ডিসকাশন হোস্ট করে।

ডেটা ফাঁসের ঘটনা অস্বীকার করলো Clubhouse

গত শনিবার অনলাইনে ডেটা ব্রিচের খবর প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে জানা যায় যে, ক্লাবহাউস ব্যবহারকারীদের লক্ষ লক্ষ ফোন নম্বর ডার্ক ওয়েবে বিক্রির জন্য উপলব্ধ! স্বভাবতই এই খবর প্রকাশের পরে নেটদুনিয়ায় তুমুল শোরগোল পড়ে যায়। তবে ব্যবহারকারীদের আশ্বস্ত করে অ্যাপ নির্মাতা রবিবার জানিয়েছে যে, কোনও ডেটা ব্রিচের ঘটনা ঘটেনি। সংস্থাটি আরও বলেছে যে, গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা ক্লাবহাউস-এর জন্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ, এবং সেজন্য তারা প্রয়োজনীয় সবরকমের নিরাপত্তা সুরক্ষা ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।

Clubhouse-এর এক মুখপাত্র IANS-কে বলেন, “বেশ কয়েকটি বট (bot) রয়েছে, যেগুলি কোটি কোটি এলোমেলো ফোন নম্বর যথেচ্ছভাবে জেনারেট করেছে। কাকতালীয়ভাবে এই নম্বরগুলির মধ্যে কয়েকটি আমাদের প্ল্যাটফর্মে বিদ্যমান হলেও, ক্লাবহাউসের API কোনও ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রি করেনি বা এই ধরনের কাজকে সমর্থনও করে না।”

প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, শনিবার শীর্ষস্থানীয় সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জিতেন জৈন টুইটারে লেখেন যে, Clubhouse ব্যবহারকারীদের ফোন নম্বরের একটি ডেটাবেস ডার্কনেটে বিক্রির জন্য উপলব্ধ। এতে ব্যবহারকারীর ফোনবুকের অন্তর্ভুক্ত নম্বর সিঙ্ক করা হয়েছে। যদিও আরেক সাইবার সিকিউরিটি রিসার্চার রাজশেখর রাজাহরিয়া IANS-কে জানিয়েছেন যে, এই তথ্য ফাঁসের দাবিটি ভুয়ো বলে মনে হচ্ছে, কারণ অভিযুক্ত ক্লাবহাউসের ডেটায় নাম ছাড়া কেবল মোবাইল নম্বর রয়েছে। নাম, ছবি বা অন্য কোনো ডিটেলস ছাড়া এই ধরনের একটি জাল ফোন নম্বরের তালিকা খুব সহজেই তৈরি করা যেতে পারে।

ঘটনাটি গুজব না সত্যি, সেই নিয়ে হাজারো ধোঁয়াশা থাকলেও এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, অ্যাপটি চীনা সরকারের কাছে ব্যবহারকারীদের অডিও ডেটা ফাঁস করতে পারে। স্ট্যানফোর্ড ইন্টারনেট অবজারভেটরি (SIO) দাবি করেছিল যে, সাংহাই ভিত্তিক রিয়েল টাইম এনগেজমেন্ট সফ্টওয়্যার প্রোভাইডার Agora, ক্লাবহাউস অ্যাপে ব্যাক-এন্ড অবকাঠামো সরবরাহ করে।

তবে কোনোরকম সমস্যার মুখোমুখি না হয়ে ব্যবহারকারীরা যাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারে, তার জন্য Clubhouse সদা তৎপর। সংস্থাটি এখন তার ওয়েটলিস্ট সিস্টেমটি সরিয়ে দিয়েছে যাতে যে কেউ ঝামেলামুক্তভাবে প্ল্যাটফর্মে যোগ দিতে পারে। পাশাপাশি সংস্থাটি আরও বলেছে যে, মে মাসে Android ডিভাইসের জন্য লঞ্চ হওয়ার পর থেকে তাদের গ্রাহকসংখ্যা ১০ মিলিয়ন বৃদ্ধি পেয়েছে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সঙ্গে থাকুন ➥