HomeTech Newsভুল করে এই Telegram অ্যাপ ডাউনলোড করে ফেলেননি তো? হ্যাক হয়েছে আপনার...

ভুল করে এই Telegram অ্যাপ ডাউনলোড করে ফেলেননি তো? হ্যাক হয়েছে আপনার ডিভাইস

সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম CheckPoint হালফিলে, জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম Telegram -এর একটি মডিফাইড সংস্করণ আবিষ্কার করেছে। যার পর পরই এই ক্ষতিকারক অ্যাপটিকে Harmony Mobile -এর সহায়তায় শনাক্ত করে ইতিমধ্যেই ব্লক করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, আলোচ্য ছদ্মবেশী অ্যাপে ‘ট্রোজান ট্রায়াডা’ (Trojan Triada) ম্যালওয়্যার উপস্থিত। ফলে Telegram ভেবে এই অ্যাপকে মোবাইলে ইনস্টল করা মাত্রই, এটি ডিভাইসে ক্ষতিকারক কোড এম্বেড করতে থাকবে এবং ইউজারের যাবতীয় ব্যক্তিগত ডেটা চুপিসারে চুরি করার কাজে লিপ্ত হয়ে যাবে।

Telegram -এর মডিফাইড অ্যাপটি কীভাবে কাজ করে?

‘ট্রোজান ট্রায়াডা’ ম্যালওয়্যার যুক্ত অ্যাপটিকে অত্যন্ত চালাকির সাথে, টেলিগ্রাম মেসেঞ্জারের সর্বশেষ সংস্করণ ৯.২.১ হিসাবে দেখানো হয়েছে। এমনকি এই ছদ্মবেশ ধারণ করার জন্য এই অ্যাপের প্যাকেজ নাম টেলিগ্রামের অনুরূপ অর্থাৎ org.telegram.messenger দেওয়া হয়েছে। সাথে ভ্যারিফায়েড টেলিগ্রাম অ্যাপ্লিকেশনের আইকনের ব্যবহার করা হয়েছে। সর্বোপরি ডাউনলোড করার পর কোনো ইউজার যখন অ্যাপটি প্রথমবার খুলবেন, তখন তার ডিভাইসে মূল মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের লগ-ইন উইন্ডোর মতো হুবহু দেখতে একটি হোম পেজ এসে উপস্থাপিত হবে। এখানে ইউজারকে তার ফোন নম্বর এন্টার করতে বলা হবে। একই সাথে, ডিভাইসে থাকা বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন অ্যাক্সেস করার অনুমতি দিতে বলা হবে।

সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম চেকপয়েন্ট নিবিড়ভাবে এই নকল টেলিগ্রাম অ্যাপ নিরীক্ষণ করার পর আবিষ্কার করে যে, এই ম্যালিশিয়াস প্ল্যাটফর্মটি ‘ইন্টারনাল অ্যাপ্লিকেশন আপডেট’ পরিষেবা প্রদানের বাহানায় দূষিত বা ক্ষতিকারক কোড ডিভাইসে প্রবেশ করায়। আর একবার যদি কোনো ইউজার তাদের ডিভাইসে এই ছদ্মবেশী অ্যাপটি ইনস্টল করে ফেলেন, তবে তাতে লুকিয়ে থাকা ম্যালওয়্যার কোডটি গোপনে ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করতে শুরু করে দেবে। এমনটা করার মূল উদ্দেশ্য হল, ডিভাইসে থাকা যাবতীয় তথ্যাদি সংগ্রহ করা, কমিউনিকেশন চ্যানেল স্থাপন করা, কনফিগারেশন ফাইল পুনরুদ্ধার করা ইত্যাদি।

স্মার্টফোনকে ম্যালওয়্যার থেকে সুরক্ষিত রাখার উপায় :

  • আপনি যদি নিজের স্মার্টফোনকে ম্যালওয়্যার থেকে সুরক্ষিত রাখতে চান, তবে শুধুমাত্র বিশ্বস্ত উৎস থেকে অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করুন। এক্ষেত্রে আপনার মোবাইল ব্র্যান্ডের অফিসিয়াল অ্যাপ ডাউনলোডিং সাইট, গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল প্লে স্টোর ব্যবহার করতে পারেন।
  • কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে অবশ্যই সেটির ডেভেলপার কে এবং এর মালিকানা কোনো ভ্যারিফায়েড কোম্পানির অধীনে আছে কিনা তা চেক করুন। এক্ষেত্রে আপনি কমেন্ট এবং রিঅ্যাকশন সেকশন থেকে অ্যাপটি সম্পর্কে অন্যান্য ইউজারদের মতামত দেখে নিতে পারেন।
  • একটি নয়া অ্যাপ ইনস্টল করা পর, তা ডিভাইসে থাকা অন্যান্য ইন্টারনাল অ্যাপ্লিকেশন অ্যাক্সেস করার অনুমতি চায়। এমত পরিস্থিতিতে, অ্যাপটির কার্যকারিতার জন্য কোন কোন অ্যাপ্লিকেশনের পারমিশন সত্যি দরকার তা যাচাই করে দেখুন। আর যদি মনে হয় কোনো অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হচ্ছে, তবে বিশেষ সতর্ক হয়ে যান।
RELATED ARTICLES

Most Popular