Electric Vehicle: একের পর এক অগ্নিকান্ড, ই-স্কুটারের বিক্রি নামল এই রাজ্যে, সেকেন্ড হ্যান্ড পেট্রল বাইকে ফিরছে ভরসা

Avatar

Published on:

করোনার চোখ রাঙানি সত্বেও ২০২০-এর তুলনায় গত বছর তামিলনাড়ুতে বৈদ্যুতিক যানবাহনের বিক্রি বেড়েছিল ৪২০ শতাংশ। চলতি বছরের প্রথম তিনটি মাসেও সেই ছন্দ বজায় থাকায় নিশ্চিন্তে ছিলেন নির্মাতারা। এমনকি মার্চে রাজ্যের ইতিহাসে এক মাসে সর্বাধিক ইলেকট্রিক ভেহিকেল নথিভুক্ত (৮,৬১৫টি) হয়েছিল। কিন্তু একের পর এক বৈদ্যুতিক স্কুটারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বিক্রিতে ছন্দপতন।

গরমকালে ইলেকট্রিক স্কুটারের ব্যাটারি ফেটে বিস্ফোরণ এবং লোডশেডিং বেশি হওয়ার কারণে এপ্রিলে এই ধরনের গাড়ির বিক্রিতে পতন ঘটেছে। মার্চেই তামিলনাড়ুতে ছ’টি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে বেশিরভাগ চেন্নাই এবং তার সংলগ্ন জায়গায়। তামিলনাড়ুর বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির প্রায় অর্ধেক এখান থেকেই আসে। ফলে সামগ্রিকভাবে গোটা রাজ্যে বিক্রিতে প্রভাব ফেলেছে।

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গণপরিবহন এড়িয়ে যারা বৈদ্যুতিক যানবাহনকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন, তারাই এখন সেকেন্ড-হ্যান্ড পেট্রল বাইকে ভরসা রাখছেন। যদিও গাড়ির ডিলারদের সংগঠন ফাডার স্টেট চেয়াপার্সন এস রাজভেল বলেন, “উন্নত ব্যাটারি কুলিং প্রযুক্তি রয়েছে এমন ইলেকট্রিক বাইক/স্কুটারের চাহিদা বজায় রয়েছে৷ কিন্তু কম দামী মডেলগুলির বিক্রি কমেছে।”

আবার যারা আবাসনে থাকেন, জায়গার অভাবে ই-বাইক চার্জ দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদেরকে। অগ্নিকান্ডের দরুণ আবাসিকদের ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ইভি ব্যবহারকারীদের গাড়ি চার্জ করার জন্য বেসমেন্টের পার্কিং ব্যবহার করতে নিষেধ করেছে। এই প্রসঙ্গে এক প্রাইভেট কোম্পানির সিইও বলেন, “পেট্রল ইঞ্জিন উদ্ভাবনের ১০০ বছর পরেও লঞ্চের পর টাটা ন্যানোয় আগুন ধরেছে। যখনই উদ্ভাবনের চেষ্টা করা হবে, তখনই নানা বাধা-বিঘ্ন আসবে। প্রাথমিক পর্যায়ে এরকম অনভিপ্রেত ঘটনার জন্য পিছিয়ে থাকতে পারি না আমরা।”

তবে তামিলনাড়ু ব্যতীক্রম হলেও এপ্রিলেও গোটা দেশে দু’চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি ঊর্দ্ধমুখী। গত মাসে ৪৯,১৬৬টি ইলেকট্রিক টু-হুইলার বিক্রি হয়েছে ভারতে। তুলনাস্বরূপ, ২০২১-এর ওই সময়ে ৫,১৩২ ইউনিট বেচেছিল নির্মাতারা। তবে ২০২২-এর মার্চের তুলনায় গত মাসে ৪৭৬টি কম ই-বাইক বিক্রি হয়েছে।

সঙ্গে থাকুন ➥